নিঝুম দ্বীপে থাকা-খাওয়া, ঢাকা থেকে যাওয়ার সহজ ভ্রমন গাইড
ভ্রমণের মৌসুম:
নিঝুম দ্বীপে বর্ষাকালে গেলে কাঁদায় গোসল করতেই হবে। দ্বীপের এমাথা থেকে ওমাথা কাদপানি মাড়িয়ে পাড়ি দিতে হবে।যদিও এতে একধরণের আনন্দ রয়েছে। কিন্তু গ্রীষ্মকালে গেলে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের ভয় তো থাকবেই। এ ভয়ে আনন্দ করার কথা ভুলতে বসবেন। সে সময়ে নিজেকে দুধর্ষ অভিযাত্রীর মতো মনে হবে। এপ্রিল থেকে সাগর ধীরে ধীরে অশান্ত হতে থাকে এবং ঢেউয়ের উচ্চতাও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। ট্রলারে চড়ে বিক্ষুদ্ধ মেঘনা ও সাগরের সে চ্যানেল পাড়ি দিতে প্রয়োজন অসীম সাহস। তাই নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে শীতকাল মানে অক্টোবর থেকে এপ্রিল। শীতে সব জায়গায় যাওয়ার উপযুক্ত থাকে,দেখা যায় নীল মেঘনা। সমস্যা একটাই খাবারের দাম বেড়ে যায়। শীত মৌসুমে সাগর শান্ত থাকলেও বছরের যেকোনো সময় এখানে আসা যায়। যারা উচ্ছাস,উচ্ছলতা আর রোমাঞ্চে জীবনকে অর্থবহ ও স্মরণীয় করতে চান,তারা নিঝুম দ্বীপকে ঘিরে সেই আশার ষোলকলা পূর্ণ করতে পারেন। আর যদি আপনি হন অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, তাহলে কথা দিচ্ছি নিঝুম দ্বীপ আপনাকে একদমই নিরাশ করবে না। নিঝুম দ্বীপে যাওয়াটা বেশ সময় ও শ্রমসাপেক্ষ, তাই বয়স্ক অথবা কম বয়সীদের সেখানে না নিয়ে যাওয়াই ভালো।
নিঝুম দ্বীপে বর্ষাকালে গেলে কাঁদায় গোসল করতেই হবে। দ্বীপের এমাথা থেকে ওমাথা কাদপানি মাড়িয়ে পাড়ি দিতে হবে।যদিও এতে একধরণের আনন্দ রয়েছে। কিন্তু গ্রীষ্মকালে গেলে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের ভয় তো থাকবেই। এ ভয়ে আনন্দ করার কথা ভুলতে বসবেন। সে সময়ে নিজেকে দুধর্ষ অভিযাত্রীর মতো মনে হবে। এপ্রিল থেকে সাগর ধীরে ধীরে অশান্ত হতে থাকে এবং ঢেউয়ের উচ্চতাও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। ট্রলারে চড়ে বিক্ষুদ্ধ মেঘনা ও সাগরের সে চ্যানেল পাড়ি দিতে প্রয়োজন অসীম সাহস। তাই নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে শীতকাল মানে অক্টোবর থেকে এপ্রিল। শীতে সব জায়গায় যাওয়ার উপযুক্ত থাকে,দেখা যায় নীল মেঘনা। সমস্যা একটাই খাবারের দাম বেড়ে যায়। শীত মৌসুমে সাগর শান্ত থাকলেও বছরের যেকোনো সময় এখানে আসা যায়। যারা উচ্ছাস,উচ্ছলতা আর রোমাঞ্চে জীবনকে অর্থবহ ও স্মরণীয় করতে চান,তারা নিঝুম দ্বীপকে ঘিরে সেই আশার ষোলকলা পূর্ণ করতে পারেন। আর যদি আপনি হন অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, তাহলে কথা দিচ্ছি নিঝুম দ্বীপ আপনাকে একদমই নিরাশ করবে না। নিঝুম দ্বীপে যাওয়াটা বেশ সময় ও শ্রমসাপেক্ষ, তাই বয়স্ক অথবা কম বয়সীদের সেখানে না নিয়ে যাওয়াই ভালো।
থাকার ব্যবস্থা:
নিঝুম দ্বীপে থাকার কোনো সমস্যা নেই। এখানকার হোটেল বা রিসোর্ট গুলোতে একটু ঘুরে ঘুরে দরদাম করে নিতে হবে। আগে থেকে বুক করে গেলে দরদামের কোন সুযোগ থাকে না এবং সেক্ষেত্রে ভাড়া একটু বেশীই চায়। দ্বীপে নামার সাথে সাথে মোটর সাইকেল ওয়ালারা আপনাকে ঘিরে ধরবে, তাদের নিয়ে যাওয়া কোন হোটেল ভাড়া নিবেন না।
১। নিঝুম রিসোর্ট (অবকাশ হোটেল) নামার বাজারঃ
১। নিঝুম রিসোর্ট (অবকাশ হোটেল) নামার বাজারঃ
দর্শনীয় স্থানঃ
১. কমলার দ্বীপ: সেখানের কমলার খালে অনেক ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এছাড়াও আশে পাশের দ্বীপগুলো সুন্দর। পুরো দ্বীপটা হেঁটে হেঁটে ঘুরে আসা যায়,মন ভরে যাবে।
২. চৌধুরী খাল ও কবিরাজের চর: যেতে হবে বিকেল এ সন্ধ্যার আগে,চৌধুরীর খাল নেমে ঘন্টা খানেক হাঁটলেই বনের মধ্যে হরিন এর পালের দেখা পেতে পারেন।একটা ট্রলার রিজার্ভ নিন ১০-১৫ জনের গ্রুপ এর জন্য ১০০০-১২০০ টাকা।ওরাই হরিন দেখিয়ে আনবে,সন্ধ্যার সময় কবিরাজের চর এ নেমে সূর্যাস্ত ও হাজার হাজার মহিষের পাল দেখতে ভুলবেন না।
৩. চোয়াখালি ও চোয়াখালি সী-বিচ: চোয়াখালি তে গেলে খুব সকালে হরিন দেখা যায়।মটর সাইকেল ওয়ালাকে বলে রাখুন খুব সকালে আপনাকে হোটেল থেকে নিয়ে হরিন দেখিয়ে আনবে।লাক ভালো হলে নামার বাজারের পাশেই খুব ভোরে হরিন দেখা যায়।
৪. ম্যানগ্রোভ বন: নিঝুম দ্বীপ বনায়ন প্রকল্প।আছে কেওড়া গাছ আর লতাগুল্ন।নিঝুম দ্বীপে ছোট ছোট পোলাপাইন রা গাইড এর কাজ করে,এদের সাথে নিয়ে সকাল বেলায় বনের ভেতর ঢুকে পড়ুন।হরিন দেখতে পারবেন।
৫. নামার বাজার সী-বিচ: নামার বাজার থেকে হেঁটে যেতে ১০ মিনিট লাগে।এখান থেকে সূর্য উদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন,এখানে বারবিকিউ করে মজা পাবেন।বিচ থেকে বামে কিছু দূর হেটে প্রসিদ্ধ খেজুর গাছের সারি দেখতে ভুলবেন না।
৬. দমার চর: বঙ্গোপসাগরের কোলে সম্প্রতি আরো একটি অনিন্দসুন্দর সমুদ্র সৈকত জেগে উঠেছে। সৈকতটি একেবারে আনকোরা, কুমারী। একে এখন ডাকা হচ্ছে 'ভার্জিন সি বিচ' বলে। নিঝুম দ্বীপের লোকজন এবং মাছ ধরতে যাওয়া লোকেরা এই নয়নাভিরাম সৈকতকে বলে ‘দেইলা’ বা বালুর স্তুপ। তাদেরকে আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি যে আসলে এটা একটা সমুদ্র সৈকত। যা কিনা কক্সবাজরের সমুদ্র সৈকতের চেয়েও অনেক বেশী সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। যা এখনো অনেক ট্যুরিস্ট এর কাছেই আজান অচেনা। এখানে অনেক নাম না জানা পাখির দেখা পাবেন খুব সকালে যদি যান। ট্রলার ভাড়া ৩০০০-৩৫০০ টাকা।
আপনি যদি হাতে সময় নিয়ে যান তবে ট্রলার রিজার্ভ নিয়ে ভোলার ঢালচর, চর কুকরি - মুকরি থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
নিঝুম দ্বীপে হরিণ দেখতে হলে ভ্রমণকালীন সময়ে কিছু বিষয়ের প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখা উচিত। বনে চলাচলের সময় একদম নিঃশব্দে চলতে হবে। কোনো প্রকার শব্দ অথবা উচ্চ গলায় কথা বলা যাবে না। কারণ বনের পশু পাখিদের যেকোনো শব্দ শোনার তীব্র ক্ষমতা রয়েছে। সামান্য হৈচৈ করলেই এখানে হরিণের দেখা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। জঙ্গলে ট্রেকিংয়ের সময় যথাসম্ভব সবাই হালকা রংয়ের সুতি পোশাক পরিধান করবেন। বন্য প্রাণীদের দৃষ্টিও খুব প্রখর হয়ে থাকে। অতি উজ্জ্বল পোশাকের পরিধানের কারণে দূর থেকেই বন্যপ্রাণীরা তাঁদের শিকার দেখে ফেলে। তবে নিঝুম দ্বীপে হরিণ এবং মহিষ ছাড়া অন্য কোনো হিংস্র প্রাণী নেই। তাই ভয় পাবার কোনো কারণ নেই।
ক্যাম্পিং এর সুবিধা
ক্যাম্পিং এর সুবিধা প্রচুর। ক্যাম্পিং মূল দ্বীপেই করা ভালো। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আশপাশের চরগুলোতে মাঝেমধ্যে ডাকাত বা জলদস্যুরা হানা দিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টির কারণে জলদস্যুদের প্রকোপ অনেকটাই কমে গিয়েছে।একটু খোঁজখবর নিয়ে ও দেখেশুনে পুরা দ্বীপে যেখানে মন চায় সেখানেই তাঁবু টাঙ্গানো যাবে। জন্তু জানোয়ারের কোনো ভয় নেই। সবচাইতে ভালো যায়গা হলো উঁচার বাজারের পাশের খাল পার হয়ে সাগর পাড়ের বিশাল (৫/৬ মাইল) খোলা ঘাসের মাঠটা অথবা নামার বাজার বিচে নেমেই বাপাশে ঝোপগুলোর সামনে। চৌধুরী খালের আশেপাশ করা যাবে তবে বন্দরটিলার ও দিকে নয়। অবস্থা বুঝে এবং গ্রুপ বড় হলে অনায়াসে ওখানে তাবু ফেলতে পারবেন। সুবিধাটা হল হরিণ দেখার সম্ভাবনাটা বেড়ে যাবে। স্থানীয় কাউকে ক্যাম্পিং করার জন্য গাইড হিসেবে নিয়ে নিন। বাজার- সদাই,লাকড়ি,রান্না-বান্না ও পানির ব্যবস্থা ওরাই করবে। এমনকি রাত জেগে ক্যাম্প সাইট পাহারা ও দিবে। ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মত দিয়ে দিবেন ক্যাম্পিং আর ঘুরাসহ।খুশি হবে ওরা। মাঝারি বয়সের ছেলেপুলে হলে ভালো হয়। একটা নাম্বার রাখেন রুবেলের 01817607445। খুব ভালো ছেলে। পরিবার সমেত আপনার সাহায্যে লেগে যাবে। নামার বাজারেই বাড়ি।
৩. চোয়াখালি ও চোয়াখালি সী-বিচ: চোয়াখালি তে গেলে খুব সকালে হরিন দেখা যায়।মটর সাইকেল ওয়ালাকে বলে রাখুন খুব সকালে আপনাকে হোটেল থেকে নিয়ে হরিন দেখিয়ে আনবে।লাক ভালো হলে নামার বাজারের পাশেই খুব ভোরে হরিন দেখা যায়।
৪. ম্যানগ্রোভ বন: নিঝুম দ্বীপ বনায়ন প্রকল্প।আছে কেওড়া গাছ আর লতাগুল্ন।নিঝুম দ্বীপে ছোট ছোট পোলাপাইন রা গাইড এর কাজ করে,এদের সাথে নিয়ে সকাল বেলায় বনের ভেতর ঢুকে পড়ুন।হরিন দেখতে পারবেন।
৫. নামার বাজার সী-বিচ: নামার বাজার থেকে হেঁটে যেতে ১০ মিনিট লাগে।এখান থেকে সূর্য উদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন,এখানে বারবিকিউ করে মজা পাবেন।বিচ থেকে বামে কিছু দূর হেটে প্রসিদ্ধ খেজুর গাছের সারি দেখতে ভুলবেন না।
৬. দমার চর: বঙ্গোপসাগরের কোলে সম্প্রতি আরো একটি অনিন্দসুন্দর সমুদ্র সৈকত জেগে উঠেছে। সৈকতটি একেবারে আনকোরা, কুমারী। একে এখন ডাকা হচ্ছে 'ভার্জিন সি বিচ' বলে। নিঝুম দ্বীপের লোকজন এবং মাছ ধরতে যাওয়া লোকেরা এই নয়নাভিরাম সৈকতকে বলে ‘দেইলা’ বা বালুর স্তুপ। তাদেরকে আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি যে আসলে এটা একটা সমুদ্র সৈকত। যা কিনা কক্সবাজরের সমুদ্র সৈকতের চেয়েও অনেক বেশী সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। যা এখনো অনেক ট্যুরিস্ট এর কাছেই আজান অচেনা। এখানে অনেক নাম না জানা পাখির দেখা পাবেন খুব সকালে যদি যান। ট্রলার ভাড়া ৩০০০-৩৫০০ টাকা।
আপনি যদি হাতে সময় নিয়ে যান তবে ট্রলার রিজার্ভ নিয়ে ভোলার ঢালচর, চর কুকরি - মুকরি থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
নিঝুম দ্বীপে হরিণ দেখতে হলে ভ্রমণকালীন সময়ে কিছু বিষয়ের প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখা উচিত। বনে চলাচলের সময় একদম নিঃশব্দে চলতে হবে। কোনো প্রকার শব্দ অথবা উচ্চ গলায় কথা বলা যাবে না। কারণ বনের পশু পাখিদের যেকোনো শব্দ শোনার তীব্র ক্ষমতা রয়েছে। সামান্য হৈচৈ করলেই এখানে হরিণের দেখা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। জঙ্গলে ট্রেকিংয়ের সময় যথাসম্ভব সবাই হালকা রংয়ের সুতি পোশাক পরিধান করবেন। বন্য প্রাণীদের দৃষ্টিও খুব প্রখর হয়ে থাকে। অতি উজ্জ্বল পোশাকের পরিধানের কারণে দূর থেকেই বন্যপ্রাণীরা তাঁদের শিকার দেখে ফেলে। তবে নিঝুম দ্বীপে হরিণ এবং মহিষ ছাড়া অন্য কোনো হিংস্র প্রাণী নেই। তাই ভয় পাবার কোনো কারণ নেই।
ক্যাম্পিং এর সুবিধা
ক্যাম্পিং এর সুবিধা প্রচুর। ক্যাম্পিং মূল দ্বীপেই করা ভালো। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আশপাশের চরগুলোতে মাঝেমধ্যে ডাকাত বা জলদস্যুরা হানা দিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টির কারণে জলদস্যুদের প্রকোপ অনেকটাই কমে গিয়েছে।একটু খোঁজখবর নিয়ে ও দেখেশুনে পুরা দ্বীপে যেখানে মন চায় সেখানেই তাঁবু টাঙ্গানো যাবে। জন্তু জানোয়ারের কোনো ভয় নেই। সবচাইতে ভালো যায়গা হলো উঁচার বাজারের পাশের খাল পার হয়ে সাগর পাড়ের বিশাল (৫/৬ মাইল) খোলা ঘাসের মাঠটা অথবা নামার বাজার বিচে নেমেই বাপাশে ঝোপগুলোর সামনে। চৌধুরী খালের আশেপাশ করা যাবে তবে বন্দরটিলার ও দিকে নয়। অবস্থা বুঝে এবং গ্রুপ বড় হলে অনায়াসে ওখানে তাবু ফেলতে পারবেন। সুবিধাটা হল হরিণ দেখার সম্ভাবনাটা বেড়ে যাবে। স্থানীয় কাউকে ক্যাম্পিং করার জন্য গাইড হিসেবে নিয়ে নিন। বাজার- সদাই,লাকড়ি,রান্না-বান্না ও পানির ব্যবস্থা ওরাই করবে। এমনকি রাত জেগে ক্যাম্প সাইট পাহারা ও দিবে। ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মত দিয়ে দিবেন ক্যাম্পিং আর ঘুরাসহ।খুশি হবে ওরা। মাঝারি বয়সের ছেলেপুলে হলে ভালো হয়। একটা নাম্বার রাখেন রুবেলের 01817607445। খুব ভালো ছেলে। পরিবার সমেত আপনার সাহায্যে লেগে যাবে। নামার বাজারেই বাড়ি।
চৌধুরী খালে ক্যাম্পিং করতে চাইলে ট্রলার ভাড়া নিতে হবে। রান্নার হাড়ি পাতিল চুলা আর লাকড়ির ব্যবস্থা মাঝিই করবে।অতিরিক্ত গাইড নেয়ার দরকার নাই। মাঝি গাইড হিসেবে কাজ করবে। খরচ দিতে হবে ২০০০ টাকার মত। নামার বাজারেই অনেক নৌকাওয়ালা পাবেন।
বাথরুম পাবেন নামার বাজার মাছের আড়তে।। গোসল করতে পারবেন নিঝুম রিসোর্টের পিছনে ডাকবাংলোর পুকুরে।।
যে যে জিনিস সাথে নেয়া প্রয়োজন:
নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার জন্য আগে থেকেই সবধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভালো। যেমন- কী পোশাক নিবেন, যদি শীতের মৌসুমে নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণে যান,তাহলে সঙ্গে নিতে হবে পর্যাপ্ত শীতের কাপড়, কান টুপি, রোদ টুপি, ভালো গ্রিপের জুতা, হেড ল্যাম্প কিংবা টর্চ লাইট, বাইনোকুলার অবশ্যই সঙ্গে নিবেন, ক্যামেরা, জুম লেন্স, দরকারি ওষুধ, ওরস্যালাইন, পতঙ্গনাশক ক্রীম, পানির বোতল, গামছা ইত্যাদি। পুরো দ্বীপেই সীমিত সময়ের জন্য সোলার প্যানেল অথবা জেনারেটর ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কাজেই বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বুঝে-শুনে ব্যবহার করাই ভালো। পাওয়ার ব্যাংক অবশ্যই অবশ্যই সাথে নিবেন।
আর তেমন কিছুই লাগবে না, এরপর ও যদি কিছু লাগে মোটামুটি সব-ই পাওয়া যাবে জাহাজমারা বা নামার বাজারে।
টিপস:
শুধুমাত্র রবি এবং গ্রামীনফোন এর নেটওয়ার্ক পাবেন। বিচে স্থানীয় পিচ্চিদের সাথে ফুটবল খেলতে ভুলবেন না।
ঢাকা থেকে হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে ২ ভাবে যাওয়া যায়:
A।সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে হাতিয়া।
B।ট্রেন বা বাসে নোয়াখালী হয়ে।
A।বাসের/ট্রেনে নোয়াখালীর হয়ে হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপ:
বাথরুম পাবেন নামার বাজার মাছের আড়তে।। গোসল করতে পারবেন নিঝুম রিসোর্টের পিছনে ডাকবাংলোর পুকুরে।।
যে যে জিনিস সাথে নেয়া প্রয়োজন:
নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার জন্য আগে থেকেই সবধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভালো। যেমন- কী পোশাক নিবেন, যদি শীতের মৌসুমে নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণে যান,তাহলে সঙ্গে নিতে হবে পর্যাপ্ত শীতের কাপড়, কান টুপি, রোদ টুপি, ভালো গ্রিপের জুতা, হেড ল্যাম্প কিংবা টর্চ লাইট, বাইনোকুলার অবশ্যই সঙ্গে নিবেন, ক্যামেরা, জুম লেন্স, দরকারি ওষুধ, ওরস্যালাইন, পতঙ্গনাশক ক্রীম, পানির বোতল, গামছা ইত্যাদি। পুরো দ্বীপেই সীমিত সময়ের জন্য সোলার প্যানেল অথবা জেনারেটর ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কাজেই বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বুঝে-শুনে ব্যবহার করাই ভালো। পাওয়ার ব্যাংক অবশ্যই অবশ্যই সাথে নিবেন।
আর তেমন কিছুই লাগবে না, এরপর ও যদি কিছু লাগে মোটামুটি সব-ই পাওয়া যাবে জাহাজমারা বা নামার বাজারে।
টিপস:
শুধুমাত্র রবি এবং গ্রামীনফোন এর নেটওয়ার্ক পাবেন। বিচে স্থানীয় পিচ্চিদের সাথে ফুটবল খেলতে ভুলবেন না।
ঢাকা থেকে হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে ২ ভাবে যাওয়া যায়:
A।সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে হাতিয়া।
B।ট্রেন বা বাসে নোয়াখালী হয়ে।
A।বাসের/ট্রেনে নোয়াখালীর হয়ে হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপ:
A/১ ঢাকা থেকে বাসে একুশে অথবা ইকোনো পরিবহনের বাসে যেতে হবে নোয়াখালীর সোনাপুরে। প্রতিদিন মোটামুটি সকাল দুপুর ও সন্ধ্যায় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে নোয়াখালীর সোনাপুর এর দিকে বাস ছেড়ে যায়, আবার ধানমন্ডি জিগাতলা কাউন্টার থেকে ফকিরাপুল হয়ে একুশে পরিবহনের বাস ছাড়ে রাত ১০.২০ মিনিট।
অথবা
আপনি ট্রেনে যেতে পারেন নোয়াখালীর মাইজদি পর্যন্ত। ঢাকা কমলাপুর থেকে বৃহস্পতি বার বাদে, প্রতিদিন বিকাল ৪.২০ মিনিট এ ৭১২ নং আন্তঃনগর উপকুল এক্সপ্রেস নোয়াখালী এর দিকে ছেড়ে যায়, মাইজদি পৌঁছে রাত ১০.২২ মিনিট। ভাড়া - ২৩০ থেকে ৫০৩ টাকা।
A/২ নোয়াখালীর সোনাপুর / মাইজদি থেকে লোকাল বাস বা সিএনজিতে করে। সি এন জি সারাদিন চলে ভাড়া জনপ্রতি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। নামতে হবে চেয়ারম্যান ঘাটে। টেম্পু বা বাসে খরচ আরো কম।
A/৩ চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সি-ট্রাক, ট্রলার ও স্পীড বোট ছাড়ে হাতিয়া চ্যানেল পাড়ি দিয়ে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে। সময় লাগে দুই ঘন্টা। সি-ট্রাক ছাড়ে প্রতিদিন সকাল ৮ টায়। ফোন নম্বর - ০১৭৫৬৮৪৬১০৬।
সি ট্রাক ভাড়া: ৮০ টাকা প্রতিজন।
ট্রলার ভাড়া : ১২০ - ১৫০ টাকা প্রতিজন।
স্পীড বোট ভাড়া: ৪০০-৫০০ টাকা প্রতিজন।যাত্রীদেরকে নামাবে হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে।
নলচিরা থেকে নিঝুম দ্বীপ:
A/৪ নলচিরা থেকে বেবিটেক্সিতে (৬০০-৭০০ টাকা) করে যেতে হবে জাহাজমারার মোক্তারিয়া ঘাটে। সরাসরি নলচিরা ঘাট থেকে মোটর সাইকেল রিজার্ভ করেও মোক্তারিয়া ঘাট এ যাওয়া যায় ভাড়া দুই জন ৩৫০ - ৪৫০ টাকা। তাছাড়া জিপ ভাড়া নিয়ে যেতে পারবেন ৪০০০-৪৫০০ টাকার মধ্যে। ভাড়া যাই হোক দরদাম করে নিবেন।
A/৫ সেখান থেকে ট্রলারে ১৫ মিনিট লাগবে নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে।ভাড়া জনপ্রতি - ১০ টাকা।
A/৬ এরপর আপনি যদি নামার বাজার থাকেন তবে ভ্যান/মোটর সাইকেল এ যেতে হবে। ভাড়া ৮০-১০০ টাকা মটরসাইকেলে দুইজন।
নোট:
*তবে দলবেঁধে গেলে ট্রলার রিজার্ভ করে সরাসরি চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নিঝুম দ্বীপ যাওয়া যায় ৫০০০-৬০০০ টাকায়।ঘাট থেকে নদীপথে হাতিয়া অথবা নিঝুম দ্বীপে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে জোয়ারের জন্য।
** বন্দর টিলায় ও থাকতে পারেন আপনি তবে নামার বাজার থাকা বেস্ট। নলচিরা থেকে নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাট যাওয়ার ফিরতি সী ট্রাক ছাড়ে সকাল ১১ টায়।
B।লঞ্চে ঢাকা থেকে হাতিয়া:
B/১ লঞ্চে গেলে ঢাকার সদরঘাট থেকে যেতে হবে - ঢাকা থেকে হাতিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রতিদিন ২ টা লঞ্চ বরাদ্দ রয়েছে - মোট ৪ টা লঞ্চ রোটেশন পদ্ধতিতে ডেইলি ২ টা করে ছেড়ে যায়। লঞ্চ গুলোর নাম এম.ভি ফারহান - ৩ ও ৪ এবং এম. ভি. তাসরিফ - ১ ও ২। চারটাই লাক্সারিয়াস লঞ্চ।
প্রতিদিন বিকাল ৫.০০ মিনিটে ফারহান সিরিজ এবং সন্ধ্যা ৬.০০ মিনিটে তাসরিফ সিরিজ হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। লঞ্চ ১ মিনিট ও লেট করে না। সেগুলো হাতিয়ার তমুরদ্দী ঘাটে পৌঁছবে পরদিন সকাল ৮-৯ টায়। নামতে হবে হাতিয়ার এই তমুরদ্দী ঘাটে।
ঢাকায় ফেরত যাবার লঞ্চ ফারহান ছাড়ে দুপুর ১২.৩০ টায় এবং তাসরিফ ছাড়ে ১.৩০ টায়।
লঞ্চ গুলো কালিগঞ্জ - মল্লিকপুর (মেহেন্দীগঞ্জ) - ইলিশা বিশ্বরোড (ভোলা) - দৌলত খাঁ (ভোলা) - বাংলাবাজার - হাকিমুদ্দিন - মির্জাকালু - শরাশগঞ্জ - ভোলা তজুমুদ্দিন - মনপুরা (রামনেওয়াজ লঞ্চ ঘাট) হয়ে হাতিয়ার তমুরদ্দী ঘাটে পৌঁছে।
যোগাযোগ:
এম.ভি. ফারহান - ৩ :১৭৮৫৬৩০৩৬৬
এম. ভি. ফারহান - ৪ :১৭৮৫৬৩০৩৭০, ০১৭৮৫৬৩০৩৬৮, ০১৭৮৫৬৩০৩৬৯
এম.ভি. তাসরিফ- ১ : ১৭৩০৪৭৬৮২২, ০১৭১০৬২৬১৭০
এম.ভি. তাসরিফ-২ : ১৭৩০৪৭৬৮২৪
ভাড়া:
ডেকে-১৫০ টাকা
কেবিন সিঙ্গেল- ৭০০/৮০০ টাকা
কেবিন ডাবল-১৪০০/১৬০০ টাকা
কেবিন-ফ্যামিলি-২৫০০/৩০০০,
কেবিন ভিআইপি -৪০০০/৫০০০ হাতিয়া এর তমুরদ্দী ঘাট পর্যন্ত।
নোট:
তুলনামূলক বেশী ভাড়া গুল তাসরিফ লঞ্চের। মূলত সরকার নির্ধারিত ভাড়া ডেক ৩৫০, কেবিন সিঙ্গেল ১২০০, ডাবল ২৪০০ । ২০১৭ এর অক্টোবর মাস পর্যন্ত এই ভাড়াতেই যেতে হতো সবাইকে। তবে সম্প্রতি তাসরিফ লঞ্চ দুটি এ পথে যুক্ত হওয়ায় প্রতিযোগীতা করে ভাড়া কম নিয়ে থাকে ।
বিকল্প পথে :
কোন কারণে হাতিয়ার লঞ্চ মিস করলে বিকাল ৬.৩০ মিনিট এ সম্পূর্ণ নতুন ভাবে চালু করা এম ভি টিপু-৫ অথবা এম ভি পানাম ২ লঞ্চ এ করে তজুমুদ্দিন অথবা মনপুরা নেমে গিয়ে হাতিয়ার লঞ্চ ধরতে পারবেন অথবা মনপুরা থেকে ট্রলার এ হাতিয়া যেতে পারবেন। এই লঞ্চ দুটো এই রুটে চলেঃ
ঢাকা - চাঁদপুর - কালিগঞ্জ (মেহেন্দীগঞ্জ) - বিশ্বরোড (ভোলা) - দৌলত খাঁ (ভোলা) - মির্জাকালু - শরাশগঞ্জ - ভোলা তজুমুদ্দিন - মনপুরা (রামনেওয়াজ লঞ্চ ঘাট) ও মনপুরা হাজির হাট লঞ্চ ঘাট।
বিশেষ কারণে যদি এই দুটো অর্থাৎ টিপু -৫ বা পানামা ২ লঞ্চ ও মিস করেন তবে বিকাল ৬.৩০ মিনিটে(তবে এরা ছাড়তে একটু লেট করে সদরঘাট এ খুজে দেখুন ৬.৪৫ এর আগে ছাড়ে না) এম ভি ফারহান-৬ অথবা ফারহান-৭ লঞ্চ এ করে তজুমুদ্দিন গিয়ে হাতিয়ার লঞ্চ ধরতে পারবেন অথবা তজুমুদ্দিন থেকে ট্রলার এ হাতিয়া যেতে পারবেন। এম ভি ফারহান - ৬ অথবা ফারহান - ৭ লঞ্চ দুটো এই রুটে চলেঃ
ঢাকা-ফতুল্লা-কালিগঞ্জ(মেহেন্দীগঞ্জ)-বিশ্বরোড (ভোলা)-দৌলত খাঁ (ভোলা)-মির্জাকালু-শরাশগঞ্জ-ভোলা তজুমুদ্দিন-শরশী সী-ট্রাক ঘাট-মঙ্গল শিকদার- বেতুয়া (চরফ্যাশন)।
তমুরদ্দি থেকে নিঝুম দ্বীপ:
B/২ তমুরদ্দি থেকে বেবিটেক্সিতে (৬০০-৭০০) করে যেতে হবে জাহাজমারার মোক্তারিয়া ঘাটে। সরাসরি মোটর সাইকেল রিজার্ভ করে মোক্তারিয়া ঘাট এ যাওয়া যায়। ভাড়া দুই জন ৩৫০ - ৪৫০ টাকা। তাছাড়া জিপ ভাড়া নিয়ে যেতে পারবেন ৪০০০-৪৫০০ টাকার মধ্যে। ভাড়া যাই হোক দরদাম করে নিবেন।
B/৩ সেখান থেকে ট্রলারে ১৫ মিনিট লাগবে নিঝুম দ্বীপের বন্দরটিলা ঘাটে। ভাড়া জনপ্রতি - ১০ টাকা।
B/৪ এরপর আপনি যদি নামার বাজার থাকেন তবে ভ্যান/মোটর সাইকেল এ যেতে হবে। ভাড়া ৮০-১০০ টাকা।এক মটরসাইকেলে দুইজন।
নোট:
প্রতিদিন সকাল ১০ টায় তমুরদ্দি থেকে ফিশিং ট্রলার সরাসরি নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার যায়। কপাল ভালো থাকলে এবং এডভেঞ্চার প্রিয় হলে যেতে পারেন মেঘনা নদীর বুক চিরে ট্রলার এ নিঝুম দ্বীপে।ভাড়া যার কাছে যেমন রাখে ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া আপনি ট্রলার রিজার্ভ করতে পারেন নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার।ভাড়া ট্রলার সাইজ অনুযায়ী ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা।একই ভাবে ফিরতি পথে নামার বাজার থেকে সকাল ১০ টায় একটি ট্রলার তমুরদ্দি ঘাটে যায়।
চট্টগ্রাম থেকে হাতিয়া:
চট্রগাম থেকে হাতিয়া আসতে হলে,চট্টগ্রাম থেকে হাতিয়াগামী জাহাজ এম ভি বার আউলিয়া, এম ভি মনিরুল হক অথবা এম ভি আব্দুল মতিন এ উঠে হাতিয়ার নলচিরা ঘাট এ নামতে হবে।শুক্র ও রবিবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৮.৩০ এ চট্টগ্রাম সদরঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে যায় হাতিয়ার উদ্দেশ্যে। সন্দীপ হয়ে হাতিয়া পৌছে বিকাল ৫ টায়।এ ভ্রমণে একই সাথে বঙ্গোপসাগর ভ্রমণ এবং সন্দীপ ও হাতিয়া দেখা হয়ে যাবে। আবহাওয়া খারাপ থাকলে কিছুটা রোলিং হয় কিন্তু এ ভ্রমণটা ১০০% নিরাপদ।
ভাড়া : প্রথম শ্রেনী/ দ্বিতীয় শ্রেনী/ চেয়ার কোচ।
সন্দীপ : ১২০০/- ৬২০/- ২৩০/-
হাতিয়া : ২২১৫/- ১১১০/- ৩৫০/-
তারপর নলচিরা থেকে নিঝুম দ্বীপ পর্যন্ত নোট অনুসরন করুন(উপরে A/৪,A/৫,A/৬)
খুলনা বা বরিশাল থেকে হাতিয়া:
বাস এ চলে আসুন বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড।সেখান থেকে অটোতে লঞ্চ ঘাট । বরিশাল লঞ্চ ঘাট থেকে ইলিশা চলে যান ছোট লঞ্চ এ । ইলিশা থেকে রাত ১২ টার দিকে ফারহান ৩/৪ পাবেন সরাসরি হাতিয়া যাওয়ার জন্য। বরিশাল থেকে ইলিশা না যেতে চাইলে বা রাত ১২ টা বেশি দেরী মনে করলে, রাত ১০ টার মধ্যে বরিশাল থেকে অটোরিক্সা/সি এন জি বা মাহেন্দ্র দিয়ে মেহেন্দীগঞ্জ এর মল্লিকপুর ঘাটে চলে আসুন। সেখান থেকে ১০ টার পরপর ফারহান ৩/৪ লঞ্চ পাবেন সরাসরি হাতিয়া। খুলনা থেকে হাতিয়া যাওয়ার জন্য ঢাকা আসার চেয়ে কালিগঞ্জ - মল্লিকপুর থেকে লঞ্চ এ উঠলে ১৫/১৬ ঘন্টার মতো সময় সেফ।
তারপর তমুরদ্দি থেকে নিঝুম দ্বীপ নোট অনুসরণ করুন(উপরে B/২, B/৩ ,B/৪)
আরো কোন তথ্য জানতে BIWTC ফোন দিতে পারেন : ০৩১-৬৩৬৮৭৩,৬১৩৩৫৮, ৬১৭৯৭৬।
যেভাবেই যান কেন নিঝুম দ্বীপ খুব রিমোর্ট এরিয়া। যেতে আসতেই আনন্দ কেড়ে নেয়। যতটা সম্ভব নিজের বুদ্ধিমত্তা খাটায়ে জার্নিটা সহজ করার চেষ্টা করবেন।
আর দেরি না করেই আজকেই বন্ধুদের সাথে পরিকল্পনা করে ফেলুন। দেখে আসুন নিস্তব্ধ নিঝুম দ্বীপের অকল্পনীয় সৌন্দর্য।মনের ক্যানভাসে তুলির আঁচড়ে যোগ করে নিন স্বদেশের আরেকটি চমৎকার আল্পনা।
বিঃ দ্রঃ
সময়ঃ
উত্তম সময় হলো শীতকাল। বর্ষাকালে একেবারে কাদায় গোসল করবেন, আর একটু পরপর পিছলা খাওয়া ফ্রি। বর্ষাকালে নিঝুম দ্বীপে গেলে আছাড় খাওয়ার অভ্যাস হয় :)। গ্রীষ্মকালে রোদ আর হঠাৎ বৃষ্টির দেখা ভ্রমণ মাটি করে দিতে পারে। আর জুন-জুলাই এবং সেপ্টেম্বর-নভেম্বর মাসে সবচেয়ে ঝামেলার জিনিসটা হলো ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছাস।
বিপদাপদঃ
এই এলাকাটা জলদস্যুদের আস্তানা। তাই যথাসম্ভব সাবধান থাকাই শ্রেয়। জলদস্যুদের কেউ কেউ স্থানীয় পুলিশের সাথে হাতও করে রেখেছে। তাদের নেতা রাস্তা দিয়ে যাবার সময় রিকশা-গাড়ি সব রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়- এরকম প্রভাবশালী তারা।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.