সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    যে ৭ বিষয়ে নারীরা প্রায়ই মিথ্যা বলে থাকেন!


    নারীর মনের খবর জানেন কেবল নারী নিজেই! ছবিটি প্রতীকী, ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত।
    মিথ্যা আজকাল কমবেশি সকলেই বলে থাকেন। বিশেষ করে আধুনিক সমাজের কৃত্রিমতার ভিড়ে নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে বেশীরভাগ মানুষই ব্যস্ত মিথ্যে কথার ফুলঝুড়ি সাজাতে। মিথ্যা বলে আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইক কামানো খুবই সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও চাকরি বা ক্যারিয়ারে উন্নতি, কারো সাথে শত্রুতা, অর্থ উপার্জন, কোন বাড়তি সুবিধা পাওয়া ইত্যাদি আরও কত কারণেই না মানুষ মিথ্যা বলে। আর হ্যাঁ, সবচাইতে বেশি মিথ্যা কিন্তু মানুষ বলে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রে! শুনতে অবাক মনে হলেও একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন যে এটি সত্যি, যদিও হবার কথা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। এসবের মাঝে কিছু মিথ্যা নির্দোষ, কিন্তু কিছু মিথ্যা এমন যে বদলে যেতে পারে সব কিছুই।
    আজকের ফিচারে থাকছে এমন কিছু মিথ্যার কথা, যেগুলো নারীরাই বেশি বলে থাকেন।অন্যদের সাথে তো বটেই, বিশেষ করে স্বপ্নের পুরুষ বা স্বামীর সাথে কিংবা তার ব্যাপারে এই মিথ্যেগুলো বেশীরভাগ নারীই বলেন।
    ১. আসল বয়স
    নারী মাত্রই মনের মাঝে সুপ্ত বাসনা লুকিয়ে থাকে যৌবন আজীবন ধরে রাখার এবং তারা মনে করেন বয়স হচ্ছে মানেই তিনি আর সুন্দরী নন। তাই বয়স নিয়ে মিথ্যাই নারীরা বলে থাকেন সবচাইতে বেশি। নিজের বয়স কিছুটা কমিয়ে বলতে, বিশেষ করে পুরুষদের সামনে বয়স লুকোতে তারা দ্বিধা করেন না।


    প্রাক্তন প্রেমকে মেয়েরা সহজে ভুলতে পারেন না। ছবি :ইন্টারনেট

    ২. প্রাক্তন প্রেম
    বর্তমান প্রেমিক বা স্বামীর কাছে প্রাক্তন প্রেমিকের ব্যাপারে আসল সত্য কোন নারীই বলেন না এবং পুরুষেরা সেটা শুনতেও পছন্দ করেন না। প্রাক্তন প্রেমের ব্যাপারে বলার সময়ে সকলেই নিজের দোষটা বাদ দিয়ে বলে থাকেন বর্তমান প্রেমিককে খুশি করতে। নারীরা এটাও কখনো স্বীকার করেন না যে প্রাক্তন প্রেমিকের কথা তিনি আজও ভুলতে পারেন নি।
    ৩. সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখান
    সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের জীবনের ব্যাপারে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করেন অসংখ্য নারী। অনেকে দেখান যে তিনি খুব বেশি সুখী, অনেকেই আবার দেখাতে চান যে তিনি খুব বেশি দুঃখী। অথচ সত্য নয় দুটোর একটিও। নিজের এডিট করা ফেক ছবি, অন্যের ছবি নিজের নামা চালানো, নিজের ফিগারের ব্যাপারে মিথ্যা ইত্যাদিও নারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলে থাকেন। আর এই সবই নারীরা করে থাকেন অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ ও নিজেকে সেরা প্রমাণের বাসনা থেকে।
    ৪. অন্য নারীর ব্যাপারে
    অন্য নারীদের ব্যাপারে অনেক নারীই নিজের প্রেমিক বা স্বামীকে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যে কথা বলে থাকেন। কারণ আর কিছুই নয়, ঈর্ষা ও নিজের মনের মাঝে হারিয়ে ফেলার ভয়। নারীরা এটা মোটেও গ্রহণ করতে পারেন না যে প্রেমিক বা স্বামীর চোখে অন্য কোন নারীকে তার চাইতে ভালো মেয়ে মনে হচ্ছে।
    ৫. বরের উপার্জন
    বিশেষ করে আমাদের সমাজের নারীরা বরের উপার্জন নিয়ে মিথ্যে প্রায়ই বলেন। সকলেই একটু বাড়িয়ে বলতেই পছন্দ করেন, কারণ আমাদের সমাজে এখনও বরের উপার্জন দিয়েই স্ত্রীর সম্মান বিচার করে সকলে।


    অর্থের ব্যাপারে মিথ্যা বলাও খুব সাধারণ।ছবি :ইন্টারনেট 

    ৬. নিজের সৌন্দর্যের ব্যাপারে
    সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য বেশীরভাগ নারীই চেষ্টার ত্রুটি করেন না। নানান রকম ডায়েট, রূপচর্চা, পার্লারে যাওয়া ইত্যাদি চলতেই থাকে। কিন্তু নারীরা এই তথ্য কাউকে জানাতে রাজি নন। বেশীরভাগ নারীই নিজেকে প্রাকৃতিক সুন্দরী প্রমাণ করতে হরেক রকম মিথ্যা বলেন, বিশেষ করে প্রেমিক বা স্বামীর সামনে। নিজের আসল সৌন্দর্য টিপসগুলোও নারীরা কখনোই কাউকে পুরোপুরি জানান না।
    ৭. নিজের দোষ স্বীকারে
    নিজের দোষের ক্ষেত্রেও নারীরা পারদর্শী। বিশেষ করে স্বামী বা প্রেমিকের সামনে মেয়েরা কখনোই নিজের দোষ স্বীকার করেন না। বরং ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এটাই প্রমাণ করতে চান যে অন্য সকলেই দোষী, কিন্তু তিনি দোষী নন।
    হতে পারে এই মিথ্যাগুলো নির্দোষ, কিন্তু মিথ্যা তো মিথ্যাই। কাউকে কিছু বলতে না চাইলে মিথ্যা না বলে এড়িয়ে যাওয়া ভাল। জানেন তো, মিথ্যা বলার বুদ্ধিমত্তার কিছু নেই।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !