জেতার জন্যই যাচ্ছি!

একদিন আগেই ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল। এখন চলছে ব্যবচ্ছেদ! এই দল নিয়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে বিশ্লেষণ হচ্ছে। জাতীয় দলের তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল মনে করেন, প্রতিবারই এমন হয়! এটা কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়। তবে দিন শেষে এই দলটাই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে বিশ্বকাপে। তাই কিভাবে তারা আরও ভালো খেলার জন্য অনুপ্রাণিত হতে পারে সে কাজই করা উচিত।
এবারের বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডে বলেই বেশ আশাবাদী তামিম। কেননা দুই বছর আগে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডেই সেমিফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। এবার স্বপ্নের বিশ্বকাপে ট্রফি জয়ের মিশন নিয়েই যাচ্ছেন টাইগাররা। তামিম বলেন, ‘বিশ্বকাপে ১০ দল অংশ নিচ্ছে। সবাই যাচ্ছে জেতার জন্য। আমরাও যাচ্ছি জেতার জন্য। এটাই মাথায় রাখি যে আমরা জিততে চাই। যদি আমি বলি শুধু অংশগ্রহণ করার জন্য যাচ্ছি তাহলে যাওয়ার কোনো মানেই হয় না। আমার কথা হল, আমরা পারি বা না পারি, আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা জিততে পারি। এই বিশ্বাসটা নিয়েই আমাদের যেতে হবে।’
ইংল্যান্ড হচ্ছে তামিমের দ্বিতীয় হোম ভেন্যু। ড্যাসিং ওপেনার বাংলাদেশের পরই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন ইংল্যান্ডে খেলতে। তাই এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত তামিম। কিন্তু ব্যক্তিগত লক্ষ্য জানতে চাইলে দিলেন কূটনৈতিক উত্তর, ‘আমি কোনো লক্ষ্য স্থির করতে পছন্দ করি না। আমার যে প্রক্রিয়ায় আছি তা মেনে চলার চেষ্টা করি। দল আমার কাছে যা দাবি করবে, আমি যেন তা দিতে পারি। এটাই আমার এক নম্বর লক্ষ্য।’
ইংল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ দল যেন অনেকটা স্বাগতিক দলের মতো সমর্থন পায়। যা ক্রিকেটারদের ভালো খেলতে আরও উজ্জীবিত করে। তামিম মনে করেন, এবারও দর্শকের সমর্থন থাকবে এবং তার প্রতিদান দেওয়ার জন্য প্রস্তুত টাইগাররা। ড্যাসিং ওপেনার বলেন, ‘ ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যখন ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলছিলাম, আমার কাছে মনে হয়েছে আমি ঢাকায় খেলছি। সেখানে বাংলাদেশের সাপোর্টার ইংল্যান্ড থেকেও বেশি ছিল। আমি নিশ্চিত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডে থাকা বাংলাদেশিরাও আসবে, এবং সারা বিশ্ব থেকেও আসবে। বাংলাদেশ থেকেও অনেকে যাবে। এটাই আশা করব আমরা যেন সাপোর্ট পাই, শুধু সাপোর্ট না, আশা করি আমরা সমর্থকদের কিছু ফিরিয়ে দিতে পারব।’ ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপে ফেবারিট কে? এমন প্রশ্নে তামিম বলেন, ‘অবশ্যই ভারত ফেভারিট। ইংল্যান্ডও ফেভারিট। এখানে অনেক টিমই আছে তাদের আপনি সহজে নিতে পারবেন না। অস্ট্রেলিয়া আছে, পাকিস্তান আছে। আরও অনেক দল আছে। এটা নির্ভর করে ওই টুর্নামেন্টে কে ফর্মে আছে, দল হিসেবে। দেখি কি হয়, ক্রিকেটে যে কোনো কিছুই কিছু হতে পারে। এটা অনিশ্চয়তার খেলা। ৯৬ এ কেউ প্রত্যাশা করেনি শ্রীলঙ্কা জিতবে। আপনি জানবেন না, ক্রিকেট সবার জন্য কি চমক জমা করে রেখেছে।’
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.