সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    রাজউক কী ব্যবস্থা নিয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে তথ্য চায় দুদক

    দুদক

    অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে রাজধানীতে গড়ে ওঠা কয়েক হাজার বহুতল ভবনকে কালো তালিকাভুক্ত করে সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক।২০১৩ সালের মে মাসে ওই অনুসন্ধান কাজে হাতও দেয়া হয়; কিন্তু পরে সেই অনুসন্ধান কাজ থেমে যায়। বনানীতে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনার পর আবারও রাজধানীর অবৈধ ভবনের নানা বিষয় সামনে আসায় দুদকও নড়েচড়ে বসেছে।

    পুরনো সেই অনুসন্ধান নতুন করে সচল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার দুদক থেকে রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়ে ৬ হাজার ২০৪টি নকশাবহির্ভূত ভবনের বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দুদককে দিতে বলা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।জানা গেছে, দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়- ‘২০১৩ সালে হাইকোর্টে দায়ের হওয়া একটি রিট পিটিশনের শুনানিকালে রাজধানীতে রাজউক কর্তৃক অনুমোদিত নকশাবিধি বহির্ভূত অবৈধভাবে তৈরি হওয়া ভবনের একটি তালিকা দাখিলের জন্য আদালত থেকে আদেশ দেয়া হয়।তাৎক্ষণিকভাবে দুদকের সে সময়ের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা রাজউক থেকে ৬ হাজার ২০৪টি ভবনের তালিকা সংগ্রহ করে কমিশনে দাখিল করেন। পরে সেই তালিকা আদালতে দাখিল করা হয়।

    এক্ষেত্রে ওই ভবনগুলোর বিষয়ে রাজউক ইতিমধ্যে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়ে কোনো দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করা হয়েছে কিনা- সে বিষয়ে তথ্যাদি পর্যালোচনা প্রয়োজন।চিঠিতে আরও বলা হয়- নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে অবৈধভাবে ৬ হাজার ২০৪টি ভবন নির্মাণের বিষয়ে রাজউকের পক্ষ থেকে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করা আবশ্যক।এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যারা অবৈধ ও নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ফের অনুসন্ধানে মাঠে নামছে দুদক।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, রাজউকের নকশাবহির্ভূত কালো তালিকাভুক্ত ভবনের বিষয়ে আবার নতুন করে সেই অনুসন্ধানটি সচল করা হবে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আমরা রাজউককে চিঠি দিয়েছি। যেসব কর্মকর্তা অবৈধ ভবন নির্মাণে সহায়তা করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, এখন অবস্থা এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, অনিয়মকেই নিয়মে পরিণত করা হচ্ছে। যারা এভাবে নিয়ম ভাঙছেন এবং অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করছেন তাদেরও তালিকা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    দুদকের অপর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে রাজউকের কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব চাওয়া হবে। তারা প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে অনিয়ম দুর্নীতি করে। এতদিন তাদের ছাড় দেয়ার কারণেই রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন তৈরি হচ্ছে। আবার কেউ কেউ গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবও করে দেন। দুদকের অপর একটি অনুসন্ধান কাজ করতে গিয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্লট, বেশ কিছু বাড়ি ও ভবনের অনেক নথির হদিস পাওয়া যায়নি। এ কারণে ওই নথি কোথায় আছে, কারা শত শত নথি গায়েবের সঙ্গে জড়িত- তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুদক থেকে কিছু দিন আগে রাজউককে একটি চিঠি দেয়া হয়। সেই চিঠির কোনো সদুত্তর এখনও আসেনি বলে জানা গেছে।

    অবৈধ ভবনের বিষয়ে দুদক থেকে ২০১৩ সালের মে মাসে উপপরিচালক সাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়েছিল। অনুসন্ধানের শুরুর দিকেই দুদকের ওই অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে কয়েক হাজার নকশাবহির্ভূত ভবনের তালিকা সংগ্রহ করেন।

    অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সে সময় জানিয়েছিলেন, ওই তালিকায় অন্তত ১০ হাজার ভবন রয়েছে। যুগান্তরে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের সূত্র ধরে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছর ২০ জুন হাইকোর্ট রাজধানী ঢাকায় নকশাবহির্ভূত কালো তালিকাভুক্ত ভবনের তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখনও সেই বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক (আইন) মো. মঈদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমরা ওই তালিকার বিষয়ে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেছি।


    সূত্র- যুগান্তর


    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !