বাংলাদেশের পঞ্চপাণ্ডবকে যেভাবে মূল্যায়ন করলেন রমিজ
বিশ্বকাপের জন্য ইতিমধ্যে ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে মর্যাদার আসরে লড়াইয়ের জন্য অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শক্তিশালী দলই পাঠাচ্ছে বিসিবি। দলের অন্যতম সেরা ইতিবাচক দিক অভিজ্ঞতায় টইটম্বুর এক ‘কোর গ্রুপ’। নিঃসন্দেহে সেই গ্রুপের সদস্য পঞ্চপাণ্ডব। তাদের প্রশংসায় মেতেছেন পাকিস্তানের সাবেক ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা।তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিবাচক দিক কোর গ্রুপ। এ গ্রুপের সদস্যরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলছে। তারা হলো মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওরা খুব ভালো খেলছে, পারফরম করছে, দলকে বাজে অবস্থা থেকে বের করে জেতাচ্ছে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির মূল্যায়ন করে রমিজ বলেন, সে একজন অনবদ্য অধিনায়ক। ঠাণ্ডা মেজাজে ক্যাপ্টেন্সি করে। কঠিন পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্তটা নিয়ে থাকে। একটু মজার ছলে তিনি বলেন, এখন তো ও সংসদ সদস্যও। এখন যদি কেউ তার কথা না শোনে তা হলে ‘কানুনি চাবুকও’ চালাতে পারবে।দলের নির্ভরতার প্রতীক উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিক সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ দলে অনেক ট্যালেন্ট আছে। সে মিডলঅর্ডারে দারুণ একজন ব্যাটসম্যান। যখন দলের পরিস্থিতি খারাপ থাকে তখন দাঁড়িয়ে যায় ও। কঠিন পরিস্থিতিতে সেও মাশরাফির মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও সেটা ব্যাট হাতে। ভালো জুটি গড়ে, ঘাবড়ে যায় না। কিপার হিসাবেও বেশ ভালো। কিপিংয়ের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে ক্যাপ্টেনকে ফিল্ড সেটআপ করাতেও সাহায্য করে।
সাকিবের বিষয়ে জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার বলেন, সে বিশ্বমানের অলরাউন্ডার। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। দলকে সে কঠিন পরিস্থিতি ও বড় মঞ্চে খুব বেশি সাহায্য করে।ইংল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তামিমের পরিসংখ্যান দেখে তাকে আলাদা করেছেন রমিজ। তিনি বলেন, সে বিশ্বমানের ওপেনার। ইংলিশ কন্ডিশনে তার রেকর্ড খুবই ভালো। কাউন্টি ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতাও আছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে দুটি টেস্ট সেঞ্চুরিও আছে ওর। উইজডেন ক্রিকেটার অব দি ইয়ারও মনোনীত হয়েছিল ও। সম্প্রতি বিপিএলের ফাইনালে দারুণ এক ইনিংস খেলেছে। ১১টা ছক্কা হাঁকিয়েছিল। কোনো দলে এ রকম বিশ্বমানের ওপেনার থাকলে চাপটা কম হয়ে যায় অনেক।পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য বলেন, এর পর আছে মাহমুদউল্লাহ। সে নীরবে-নিভৃতে দলের জন্য কাজ করে যায়। ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য আছে। দলের বিপর্যয়ের কাণ্ডারি। সর্বোপরি তারা ভালো করলে এবার ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে তাদের ভালো করার সুযোগ আছে।
সূত্র- যুগান্তর
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.