জেনে নিন ২০০৭-২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান
২০০৭ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ভারত আর সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে এই বিশ্বকাপেই নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছিলো টিম বাংলাদেশ। আর নিজেদের মাটিতে ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলেও ক্যারিবিয়ানদের কাছে ৫৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জাও পেয়েছিলো অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ।২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। আসরটা বসেছিলো ক্যারিবিয় উপকূলে।এই বিশ্বকাপেই ক্রিকেটের মহারণে অভিষিক্ত হয়েছিলেন তামিম-মুশফিক-সাকিবরা।আর গ্রুপ পর্ব থেকে ভারতকে বাড়ি পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের জাত চিনিয়েছিলো টাইগাররা।
প্রথমবারের মতো সুপার এইটে খেললেও ৭ ম্যাচের মাত্র ১ টিতেই জয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ।আর সেই দলটা ছিল ক্রিকেটের আরেক পরাশক্তি দক্ষিণ আফ্রিকা।শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হ্যাটট্রিক শিরোপার আসরে উইন্ডিজদের আয়োজন নিয়ে নানা সমালোচনার ঝড় উঠেছিলো সেবার।টিকেটের বাড়তি দাম বা মাঠে খাবার আর বাদ্যযন্ত্র নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বাঁকা চাহনি পেয়েছিল ক্যারিবিয়ান বোর্ড। তবে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ছিল পাকিস্তানের কোচ বব উলমারের মৃত্যু রহস্য।পাকিস্তানের হারের একদিন পরেই টিম হোটেলে মিলেছিলো কোচের লাশ। দেশটির পুলিশ প্রথমে একে হত্যাকাণ্ড বললেও তদন্তের পর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছিলো।
চার বছর পর দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশ ভারত-বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানের যৌথ আয়োজনে হওয়ার কথা ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ।তবে ২০০৯ এ শ্রীলঙ্কা দলের ওপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় আয়োজকের যোগ্যতা হারায় পাকিস্তান।সেবার নিজেদের মাটিতে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসেবটা মেলাতে পারেনি টিম বাংলাদেশ।ইংল্যান্ড বধের সুখস্মৃতি থাকলেও উইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ রানে গুটিয়ে যাবার লজ্জাও মিলেছিলো এই আসরে। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় লজ্জাটা এসেছিলো স্বাগতিক দর্শকদের কার্যকলাপে।ক্যারিবিয়ানদের কাছে হারের পর তাদের টিম বাসে পাথর ছুঁড়েছিলো কিছু উগ্র সমর্থক। অবশ্য সেজন্য অতিথিদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলো বিসিবি।
ভারতের ২য় শিরোপা জয়ের আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে নেট রানরেটে পিছিয়ে থেকে গ্রুপ পর্বেই থেমে যায় টাইগারদের বিশ্বকাপ যাত্রা।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.