সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    ‘নতুন পরিকল্পনার মাধ্যমে ফিলিস্তিন ইস্যু চিরতরে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে’

    আল-মানার টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হাসান নাসরুল্লাহর ভাষণ


    ফিলিস্তিন ও ইসরাইলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ‘শতাব্দীর সেরা সমঝোতা’র মাধ্যমে ফিলিস্তিন ইস্যু চিরতরে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ।

    শনিবার রাতে আল মানার টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যেই ‘শতাব্দীর সেরা সমঝোতা’ তৈরি করা হয়েছে। মুসলিম দেশগুলোর উচিত যুক্তরাষ্ট্রের এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করা।এ সময় আগামী ৩১ মে কুদস দিবসকে ‘ট্রাম্পের চুক্তিবিরোধী’ দিবস হিসেবে পালন করারও আহ্বান জানান হাসান নাসরুল্লাহ।

    ফিলিস্তিনবিষয়ক যেকোনো পরিকল্পনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, ‘শতাব্দীর সেরা সমঝোতা’র অন্যতম লক্ষ্য হলো- লেবাননে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের চিরস্থায়ীভাবে লেবাননের বাসিন্দা বানানো। এটি কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না।

    ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের তার নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেই যেকোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।আগামী মাসে বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলন থেকে ‌‌ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথিত ‘শতাব্দীর সেরা সমঝোতা’ বাস্তবায়নের চেষ্টা হতে পারে বলেও সতর্ক করেন হাসান নাসরুল্লাহ।২৫ জুন বাহরাইনের রাজধানী মানামায় ফিলিস্তিনবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ওই সম্মেলনে ফিলিস্তিন সংকট সমাধানবিষয়ক পরিকল্পনা উপস্থাপিত করা হবে।

    প্রসঙ্গত ফিলিস্তিন ও ইসরাইলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নতুন ফর্মুলা পেশ করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরাইলের একটি সংবাদমাধ্যমে এটিকে ‘শতবর্ষী বা শতাব্দীর সেরা সমঝোতা’ শিরোনামে এ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়। চুক্তিটি বর্তমানে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে রয়েছে। আর এটি যদি বাস্তবায়িত হয়ে তা হলে বদলে যাবে ফিলিস্তিনের নাম।

    এতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের নতুন নাম হবে ‘নতুন ফিলিস্তিন,’ যেটি প্রতিষ্ঠিত হবে জুডিয়া, সামারিয়া (পশ্চিম তীর) এবং গাজা এলাকা নিয়ে। একই সঙ্গে ব্যতিক্রম হবে ইসরাইল পশ্চিমতীরে বসতি স্থাপন করবে।দখলমুক্ত ভূমি নিয়ে বলা হয়েছে, পশ্চিমতীরে অধিকৃত ইসরাইলি ভূমি এবং অন্যন্য বিচ্ছিন্ন ভূমি ইসরাইলের দখলে থাকবে।এ ছাড়া জেরুজালেম নিয়ে চুক্তিতে বলা হয়েছে, জেরুজালেম পৃথক বা ভাগ হবে না। এটি ইসরাইল এবং নতুন ফিলিস্তিন উভয়েই রাজধানী হিসেবে ব্যবহার করবে। আরবের নাগরিকরা জেরুজালেমে নতুন ফিলিস্তিনের নাগরিক হবেন।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !