সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    ‘যমজ’ গোল্ডেন জিপিএ-৫

    ‘যমজ’ গোল্ডেন জিপিএ-৫

    এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন পিংক ও পার্ল নামের দুই যমজ বোন।তারা উভয়ই রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।সোমবার এসএসসির ফল প্রকাশের পর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুপুর ১টায় এ যমজ বোনকে উল্লাস করতে দেখা গেছে।ফল প্রকাশের পর স্কুলের ভেতরই উল্লাসে ফেটে পড়েন এ যমজ বোন। তাদের এই উল্লাসের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেন সাংবাদিকরা।

    জানা গেছে, ভিকারুননিসায় সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হয় পিংক ও পার্ল। এর আগে ৬ষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত তারা সৌদি আরবে পড়াশোনা করেছেন।সৌদি আরবের সরকারি ডাক্তার হিসাবে কাজ করেন এ যমজের বাবা। সেখানেই বাবা-মার সঙ্গে থাকতেন তারা। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে চলে এসে ভিকারুননিসায় একসঙ্গে একই শ্রেণিতে ভর্তি হন।ঢাকায় নানার বাসায় থেকে পড়াশোনা করছেন তারা।পিংক ও পার্ল বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ যমজের এমন ফলাফলের আশা তারা আগে থেকেই করে রেখেছিলেন। তারা দুজনই বেশ মেধাবী।

    তারা জানান, ২০১৬ সালে জেএসসিতে দুজনই ভিকারুননিসা স্কুল থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।এমন সাফল্যের বিষয়ে পিংক বলেন, ‘আল্লার কাছে শুকরিয়া আমরা গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছি। এ জন্য আমরা দুজন খুবই আনন্দিত। একই স্কুল থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি এটা অনেক মজার একটা বিষয়।আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

    পিংক এর যমজ বোন পার্ল বলেন, ‘এই রেজাল্ট পেতে আমাদের বাবা-মা, খালা এবং বন্ধুদের অনেক সহযোগিতা আছে। সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞ।’

    তবে এমন কৃতিত্বের জন্য তাদের খালামনিকে বিশেষ ধন্যবাদ জানায় পিংক ও পার্ল।পিংক বলেন, ‘সৌদি থেকে বাংলাদেশে এসে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল আমাদের। এ সময় খালামনিই ছিলেন আমাদের অভিভাবক ও পথপ্রদর্শক।এমন ভালো ফলাফলের জন্য তার অবদান অনন্য।’

    সব কষ্ট শেষে ভালো ফলাফল পেয়ে খুবই ভালো লাগছে বলে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন এ যমজ বোন।এ বিষয়ে এ যমজের খালা বলেন, ‘ওদের বাবা-মা যেহেতু বাংলাদেশে থাকে না সেহেতু আমাদের ওপর অনেক দায়িত্ব ছিল। এটা বলতেই হবে যে, ওরা এক বোন আর এক বোনকে খুবই বুঝত।এবং পড়ার প্রতি দুজন দুজনকে উৎসাহ দিত। একজন ঘুমালে অন্যজনকে ডেকে পড়তে বসার জন্য বলত। এই কারণে দুজনে ভালো রেজাল্ট করতে পেরেছে।’

    এদিকে দুই সন্তানের এমন রেজাল্টে সৌদিতেই তাদের বাবা-মা আনন্দে ফেটে পরেছেন বলে জানান তিনি।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !