সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    জনশক্তিরদালালরা বেপরোয়া, পিটুনির শিকার পুলিশ কর্তা!

    বেপরোয়া দালালদের পিটুনির শিকার পুলিশ অফিসার!

    দালালের হাতে সাধারণ মানুষের হয়রানি-নাজেহাল হওয়া নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এবার এক পুলিশ কর্মকর্তা তাদের হাতে পিটুনির শিকার হলেন। একজন দু’জন নয়, রীতিমতো দলবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে ঐ পুলিশ কর্মকর্তাকে কিলঘুষি মেরেছে দালাল চক্র।মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিজের কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন এসএমপির এসআই কুতুব উদ্দিন। উপশহরস্থ জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সামনে গেলে কয়েকজন দালাল তার গতিরোধ করে। আচমকা এমন পরিস্থিতির জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না কুতুব উদ্দিন। তিনি কারণ জানতে চাইলে শুরু হয় দলবদ্ধ আক্রমণ। কিলঘুষির সাথে টানা-হেঁচড়া!

    প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারী দালালদের মধ্যে ছিল মদিনা মার্কেটের মিলন মিয়া, উপশহর তেররতন এলাকার মালেকের কলোনির নিশি কান্ত দাসের ছেলে চিহ্নিত ছিনতাইকারী রিপন দাস ও উপশহর এলাকার বিসমিল্লাহ স্টোরের ব্যবসায়ী ও দালাল রাহত আহমেদ। এরমধ্যে রিপন দাস ছিনতাই মামলায় দুইবছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

    জানা গেছে, চিহ্নিত ও অত্যন্ত প্রভাবশালী এই দালাল চক্রের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ। জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসে কাংখিত সেবা পেতে গ্রামাঞ্চল থেকে আসা সাধারণ মানুষ প্রায়ই তাদের হয়রানির শিকার হন।মিষ্টি কথার ফুলঝরি ঝরিয়ে তারা সহজ সেবার কথা বলে দ্বিগুণ/তিনগুণ টাকা আদায় করেন। তারপর শুরু করেন নানা টালবাহানা হয়রানী। দিনের পর দিন ঘুরতে ঘুরতেও আর সেবা মিলেনা।

    যদিও বা কখনো তা মিলে, সেজন্য চড়া মূল্য দিতে হয় সেবাপ্রার্থীকে। আরো ভয়ংকর খবর হচ্ছে, নগরীর সব বড়বড় পকেটচোর ও ছিনতাইকারীদের সাথে এই দালালদের আঁতাত রয়েছে।প্রায়ই তাদের এই অফিসের সামনে ঘুরঘুর করতে দেখেছেন স্থানীয়রা। যেসব সেবা প্রার্থী দালালদের কথায় রাজি হন না, তাদের পেছনে এইসব চোর-ছিনতাইকারীকে লেলিয়ে দেয় দালালরা। শুরু হয় হয়রানি।

    দিনের পর দিন তাদের এমন অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগন। এমনকি স্থানীয় এলাকাবাসীও তাদের দ্বারা প্রায়ই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন।এদিকে দালালদের হাতে শারীরিক লাঞ্চনার শিকার হওয়া ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন শাহপরাণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাফিকের এডিসি নিকোলিন চাকমা।

    তিনি বলেন, এ ব্যাপারে শাহপরাণ থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তারাই প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করবে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হযরত শাহপরাণ থানার ওসি আখতার হোসেনের মোবাইলে কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

    সূত্র- বিডি-প্রতিদিন

    সাধারণ মানুষ নির্যাতনের শিকার হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিডিয়ার ভাইরার বা ব্রেকিং নিউজ না হওয়া পর্যন্ত হলে  নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকেত পছন্দ করে। যেটা হউক নুসরাতকে পুরিয়ে হত্যা বা ছিন্তাই কিংবা ইভটিচিং। এখন দেখার বিষয় হল পুলিশ কর্তা নির্যাতনের শিকার হওয়া পর নিজ বাহিনীর লোকজন কি ব্যবস্থা নেয় অার কত সময় পর নেয়। 

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !