‘ইরান যে কোনো সামরিক হামলা ব্যর্থ করতে সক্ষম’
ইরান যে কোনো সামরিক হামলা ব্যর্থ করতে সম্পূর্ণরুপে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন একজন পাকিস্তানি বিশ্লেষক। খুররাম মিনহাস দ্য ন্যাশন পত্রিকায় একটি কলামে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ওয়াশিংটন অবশ্যই ইরানকে আফগানিস্তান ও ইরাকের মতো সাদাসিধা মনে করলে হবে না, কারণ দেশটি যথেষ্ট সামরিক ও নৌবাহিনীর ক্ষমতা রয়েছে, যা ওই অঞ্চলে ও তার বাইরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।সেখানে তিনি আরও বলেছেন, রক্ষশীল ইরানে হামলা, এটা প্রমাণিত হবে ঐতিহাসিক ভুল হিসেবে।খুররাম বলেন, ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে যাওয়ার পর তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়।
তিনি উল্লেখ করেন, ট্রাম্প ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এছাড়া অন্য রাষ্ট্রগুলোকে ইরান থেকে তেল কিনতে হুমকি দেয়। বিশ্লেষক বলেন, পরমাণু চুক্তি মানতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ৬০ দিনের সময় দিয়েছে ইরান। বলা হয়েছে, চুক্তির বিষয়গুলো অনুসরণ না করলে তেহরান পুনরায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করবে।খুররাম মিনহাজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রশাসনের বিপরীতে ট্রাম্প প্রশাসন মিশ্র সংকেত দিচ্ছে।তিনি যোগ করেন, মাইক পম্পেও বলেছেন, আলোচনার টেবিলে সব অপশন রয়েছে, যখন জন বোল্টন বলছেন, হরমুজ প্রণালীতে অধিক সংখ্যক রণতরীর বহর ও বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের যুক্তিসংগত কথা বলা উচিত। এদিকে বোল্টন ইরান বিরোধীদের সঙ্গে মিল দিয়েছে।তিনি বলেন, মিশ্র সংকেত ভবিষ্যতে জটিল পরিস্থিতি তৈরি করছে। এমন সংকেত ইতিমধ্যে নিরাপত্তা পরিস্তিতিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে।ট্রুাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে উত্তেজনা তৈরির উৎসাহ যোগাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলবে।ওয়াশিংটন ইরানকে ২০০১ সালের আফগানিস্তান ও ২০০৩ সালের ইরাকের মতো সাধাসিধা মনে করলে হবে না।এটা অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ, হরমুজ প্রণালীতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে ইরানের সক্ষমতা রয়েছে। যে করিডোর দিয়ে এই অঞ্চলের প্রতিদিন ১৭ মিলিয়ন ব্যারেল তেল বিশ্বে সরবরাহ হয়।
সূত্র: ইরনা
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.