২১০০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের একাংশ সাগরে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা!
বিশ্বে কার্বন নির্গমন বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। বর্তমানে যে হারে কার্বন নির্গমন হচ্ছে তাতে আগামী ৮০ বছরে অর্থাৎ ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বাড়তে পারে ৬২ সেন্টিমিটার থেকে ২৩৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত।এই নির্গমন কমানো না গেলে এখন থেকে আর ৮০ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২১০০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের এক বড় অংশ সাগরের পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে।।জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত এক নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস’ নামের জার্নালে এ জরিপের ফল প্রকাশিত হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি যতটা হবে বলে আগে ধারণা করা হয়েছিল- বিজ্ঞানীরা এখন সতর্ক করে দিচ্ছেন যে পানির স্তর আসলে তার চাইতে অনেক বেশি বাড়বে। গ্রিনল্যান্ড ও এ্যান্টার্কটিকায় জমে থাকা বরফ গলার হার দ্রুততর হওয়াই এর কারণ, বলছেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে ৮০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার পরিমাণ ভূমি সাগরের পানিতে তলিয়ে যাবে - এর মধ্যে থাকবে বাংলাদেশের এক বড় অংশ।বিজ্ঞানীদের মতে, বাংলাদেশের অনেক এলাকা তখন এমন হয়ে যাবে যে সেখানে লোকজনের বসবাস খুবই দুরূহ হয়ে পড়বে।
গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকায় জমে থাকা বরফ গলার হার দ্রুততর হচ্ছে, বলছেন বিজ্ঞানীরা এতদিন বিজ্ঞানীরা বলছিলেন, ২১০০ সাল নাগাদ পৃথিবীর সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বাড়বে এক মিটারের কিছু কম। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে ওই হিসেব ছিল অনেক ‘রক্ষণশীল’।নতুন জরিপে বলা হচ্ছে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়তে পারে তার প্রায় দ্বিগুণ। বাংলাদেশের অনেকখানি ভূখণ্ডই সাগরের নিচে চলে যেতে পারে। এর ফলে ৮০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার পরিমাণ ভুমি সাগরের পানিতে তলিয়ে যাবে - এর মধ্যে থাকবে বাংলাদের একটি বড় অংশ এবং মিশরের নীল নদ উপত্যকা।
বিপন্ন হবে লন্ডন, নিউইয়র্ক এবং সাংহাইয়ের মতো অনেক শহরের অস্তিত্ব। কোটি কোটি লোককে এর ফলে বাড়িঘর ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। যে জায়গাগুলো পানির নিচে চলে যাবে তার অনেকগুলোই গুরুত্বপূর্ণ ফসল ফলানো অঞ্চল, যেমন নীল নদের বদ্বীপ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.