১২ বছর বয়সে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উর্ত্তীণ সেই ‘বিস্ময় বালিকা’

মাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করল ১২ বছরের এক কিশোরী। তার এমন ফলাফলে সাড়া পড়ে গেছে এলাকায়।তার নাম সাইফা খাতুন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার আমতা নামক স্থানের বাসিন্দা সে। স্থানীয়রা তাকে ‘বিস্ময় বালিকা’ বলে ডাকে। মাত্র ১২ বছর বয়সে মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হয়ে গেলেও তার ফলাফলে খুশি নন পরিবারের লোকেরা।সাইফার বাবা শেখ মোহম্মদ আইনুলের দাবি, মেয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার মেধাতালিকায় স্থান পাবে এমনটাই আশা করেছিলেন তিনি।তিনি আরও অভিযোগ করেন, কম বয়সে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কারণে পরীক্ষার হলে রীতিমতো লাঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে সাইফাকে।
পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে মেয়েকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত ও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।তিনি বলেন, বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম কিন্তু এতে কোনো লাভ হয়নি। আর হলে সুষ্ঠু পরিবেশ না পাওয়ায় সাইফা রেজাল্ট ভালো করতে পারেনি।স্থানীয় পত্রিকাসহ আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমে এর আগেও সাইফা খাতুনকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।সেসব প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছিল যে, যে বয়সে আর পাঁচটা শিশু ভাল করে কথাই বলতে পারে না, সেই বয়স থেকে পড়াশোনা শুরু করে সাইফা। বাড়িতে পড়াশুনা করেই ৮ বছর বয়সে মাধ্যমিকের বই শেষ করে ফেলেছিল এই কিশোরী। কোনোদিন স্কুলে যায়নি সে।
সাইফাকে স্কুলে ভর্তি না করানোর কারণ তার বাবা ভারতীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তিন বছর বয়সেই বড়দের কবিতা মুখস্থ বলতে পারত তার মেয়ে। সেই বয়স থেকেই ইংরেজি ও বাংলা সংবাদপত্র দ্রুত পড়ে ফেলত সে।এভাবেই পাঁচ বছর বয়সে চতুর্থ শ্রেণির পাঠ শেষ করে ফেলেছিল সাইফা। পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করাতে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায় যে, দশ বছরের বেশি বয়স না হলে ভর্তি করানো যাবে না।এ কথা শুনে বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। তিনি মেয়েকে ঘরেই পড়াতে শুরু করেন সাইফার মা সাহানারা বেগম।
এ বছর মেয়েকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রশাসন ও মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের কাছে আবেদন জানান শেখ মোহম্মদ আইনুল। বিশেষ প্রতিভার কারণে এই বিস্ময় বালিকাকে ১২ বছর বয়সেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেয়ার অনুমতি দেয় পরিষদ।এ বছর হাওড়ার সালকিয়ার অ্যাংলো সংস্কৃত হাইস্কুল থেকে বহিরাগত পরীক্ষার্থী হিসেবে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সাইফা। দ্বিতীয় বিভাগের পাশ করেছে সে।
সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা
Bangladeshi Taka Converter
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.