যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় কী আছে?
ইরানের হুমকির কারণে মধ্যপ্রাচ্যে প্যাট্রিয়ট আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তুরস্ককে দিতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে তুরস্ক অস্বীকার জানিয়ে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকে।প্যাট্রিয়ট আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণ যোগ্য। প্যাট্রিয়ট (এমআইএম-১০৪) এটি একটি দূরপাল্লা ক্ষেপণাস্ত্র। এটি সব আবহাওয়াতে আকাশ থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র বা অন্য কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোকাবেলা করতে পারে। এটি ব্যালিস্টিক মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল ও অ্যাডভান্স এয়ারক্রাফট হামলা মোকাবেলায় বেশ পারদর্শী।
এই আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, গ্রিস, ইসরাইল, জাপান, কুয়েত, নেদারল্যান্ডস, সৌদি আরব, কোরিয়া, পোল্যান্ড, সুইডেন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, রোমানিয়া, স্পেন এবং তাইওয়ান ব্যবহার করছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের সময় এটি ব্যবহার করেছে। এটি কুয়েতে স্থাপন করা হয়েছিল।এটি সফলভাবে বিপুলসংখ্যক ভূমি থেকে ভূমি এবং গাইডেন্স মিসাইল ধ্বংস করেছিল।
প্যাট্রিয়ট আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় রাডারে কোনো বিমান থেকে হামলা শনাক্ত হলে এটি ৯ সেকেন্ডের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যায়।আধা মিনিট থেকে তিন মিনিটের মধ্যে কার্যকরী ভূমিকায় যায়।এর সবোর্চ্চ দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। তবে ২৪ কিলোমিটারের মধ্যে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। এর মাথায় ৯০ কেজি ওজনের বিস্ফোরক বহন করতে পারে।
সূত্র: যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি টেকনোলজি
তবে সাম্প্রতিক কালে ইসরাইলে হামাস ও ইসলামী জিহাদের রকেটের কাছে এটি ধরাশাই হয়েছে। যা কিনা ইরানের প্রযুক্তির ব্যবহারেই হয়েছে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.