হেসে খেলে জিতল বাংলাদেশ
২৯৩ রানের বিশাল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে গিয়ে না আবার হোঁচট খায় বাংলাদেশ! তবে তা হয়নি। ২৯৩ রানের এই বিশাল লক্ষ্য হেসে-খেলেই পাড়ি দিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে টাইগাররা হারিয়েছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে।আগে ব্যাট করতে নেমে পল স্টার্লিংয়ের সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২৯২ রান করেছিল আয়ারল্যান্ড। প্রথম তিন ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানের ফিফটিতে বাংলাদেশ সেটি পেরিয়ে যায় ৭ ওভার বাকি থাকতেই।বল হাতে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নেওয়া আবু জায়েদ রাহী হয়েছেন ম্যাচসেরা।
বাংলাদেশ এদিন মাঠে নেমেছিল চার পরিবর্তন নিয়ে। টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া রুবেল হোসেন নিজের দ্বিতীয় ওভারেই দেখা পান উইকেটের। ডানহাতি পেসার জেমস ম্যাককলামকে (৫) ফিরিয়ে ভাঙেন ২৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।তিনে নামা অ্যান্ডি বালবির্নি বেশিক্ষণ টেকেননি (২০)। তাকে ফিরিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট নেন রাহী। এরপর অনেকটা সময়জুড়েই বাংলাদেশের বোলারদের ভুগিয়েছেন স্টার্লিং ও অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড।
১৫ ম্যাচে প্রথম ফিফটি পেয়েছেন পোর্টারফিল্ড। স্টার্লিং ফিফটিকে রূপান্তর করেছেন সেঞ্চুরিতে, ২০১৮ সালের মার্চের পর তার প্রথম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি পেতে পারতেন পোর্টারফিল্ডও। তবে ৬ রানের আক্ষেপে পুড়েছেন আইরিশ অধিনায়ক (৯৪)। তাকে ফিরিয়ে ১৭৪ রানের বড় জুটি ভাঙেন রাহী।মাঝে মাশরাফি ষষ্ঠ বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে টানা সাত ওভারের স্পেলেও উইকেট পাননি। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এক ওভারে সর্বোচ্চ ২৩ রান খরচ করেছেন সাকিব। রাহী নিজের পরের ওভারে তিন বলের মধ্যে নিয়েছেন কেভিন ও’ব্রায়েন ও স্টার্লিংয়ের উইকেটও। ১৪১ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ১৩০ রান করেন স্টার্লিং।
গ্যারি উইলসনকে ফিরিয়ে রাহী পূর্ণ করেন পাঁচ উইকেট। তার পাঁচ উইকেটের চারটিই অবশ্য স্লগ ওভারে। শেষ দিকে নিয়মিত উইকেট পড়লেও আইরিশদের রানের চাকাও ঘুরেছে দ্রুতই। রাহী ৫ উইকেট নিয়েছেন ৯ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে। চোট কাটিয়ে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২টি ও রুবেল নিয়েছেন একটি উইকেট। আগের দুই ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করা সাকিব এদিন ৯ ওভারে দিয়েছেন ৬৫ রান!
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্যটা ছিল নাগালেই। বাংলাদেশ বড় লক্ষ্য পায় এবারই প্রথম। তামিমের সঙ্গে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন সৌম্য সরকারের বিশ্রামে সুযোগ পাওয়া লিটন। তিন ম্যাচে বাংলাদেশ পায় দ্বিতীয় শতরানের উদ্বোধনী জুটি। ১১৭ রানের জুটি ভাঙে তামিমের বিদায়ে (৫৭)।
সেঞ্চুরির ভালো সুযোগ ছিল লিটনের সামনে। কিন্তু ব্যারি ম্যাককার্থির স্লোয়ারে আগেই ব্যাট চালিয়ে তিনি বোল্ড হন ৭৬ রানে। ৬৭ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ডানহাতি ব্যাটসম্যান সাজান তার ইনিংসটি।
তৃতীয় উইকেটে ৮৪ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন সাকিব ও মুশফিক। মুশফিক ৩৫ করে ফিরলে ভাঙে জুটি। আর সাকিব ৫১ বলে ৫০ করে মাঠ ছাড়েন ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে। মোহাম্মদ মিথুনের জায়গায় সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেননি (১৪)।
মোসাদ্দেকের বিদায়ের পর টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমান। ২৯ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। আগের ম্যাচে ব্যাটিং না পাওয়া সাব্বির ৮ বলে করেন ৭ রান।
আগামী ১৭ মে ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সূত্র-সময় ও বিডি-প্রতিদিন
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.