আসুন বাংলাদেশের কিছু মাছ চিনে নেই (পর্ব -২)
কান পোনা, সুবর্ণ খরিকাঃ বাংলাদেশের এই ক্ষুদ্রাকার মাছের পেটের দিক রূপালী ও পিঠের দিকে গভীর ধূসর এবং পিঠ কালো ব্যান্ড যুক্ত। এদের সাধারাণত পুকুরে ও ডোবায় এবং কিছু কিছু নদীতেও পাওয়া যায়। খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের চেয়ে এদের মাছ ধরার টোপ হিসেবে বেশী ব্যবহার করা হয়।
ছবিঃ
ফাসা, ফেউয়া বা ফেউসাঃ ৭-৮ ইঞ্চি দৈর্ঘ বিশিষ্ট, লম্বাভাবাপন্ন, পৃষ্ঠদেশ সবুজাভ বর্ণযুক্ত এবং পেটের দিক সোনালী ভাব। পেটের দিকে দীর্ঘায়ীত ডানা রয়েছে। এই মাছ সর্বত্র প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যদিও এই মাছ কন্টকপূর্ণ তথাপি এটা জনপ্রিয়। ডিম ছাড়ার সময় হলে এরা নদীপথে উজানের দিকে চলতে থাকে।
ছবিঃ
রুইঃ রুই মাছ বহুল প্রচলিত মাছগুলোর মধ্যে একটি। এই মাছের পেটের দিকে রূপালী সাদা এবং পিঠ ও পিঠের কাছাকাছি অংশ কালচে ভাবাপন্ন। ২০-৩০ ইঞ্চি ও ততোধিক দৈর্ঘ বিশিষ্ট এই মাছ বাংলাদেশের সবখানে পাওয়া যায়।
ছবিঃ
মৃগেল মাছঃ মৃগেল মাছের অন্যান্য বাংলা নাম হলো, মিরকা, মিরগা ইত্যাদি। কিছুটা রুই মাছের মত দেখতে, কিন্তু আনিপাতিক হারে দীর্ঘ ও সরু দেহ, ছোট মাথা, ছোট মুখ, উজ্জ্বল রূপালী দেহ এবং লালচে দানা এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এদের মুখ কিছুটা নিচের দিকে স্থাপিত এবং সম্ভবত এ কারণে তারা পুকুরের নিচের দিকের তলানির খাদ্যসমূহ খেতে পারে। পরিণত বয়সের মাছ দুই লক্ষের অধিক ডিম দেয়।
ছবিঃ
কালবাউশ বা কালিবাউশঃ বাংলাদেশের কোথাও কোথাও এরা বাউশ, কালাঘনি, কালবাসু ইত্যাদি নামেও পরিচিত। কালচে দেহ ও ছোট নিম্নমূখী মুখ এদের বৈশিষ্ট্য। তাই মৃগেল মাছের মত এরাও পুকুরের নিচ এলাকার খাদ্য খেয়ে থাকে। নদী, নালা, খাল, পুকুর সর্বত্র এই মাছ ভালো জন্মে। বর্ষাকালে অগভীর পানিতে ডিম ছাড়ে।
ছবিঃ
ঘইন্যা, ঘনিয়া, গণি বা কুর্চিঃ রুই এর মত দেখতে এই মাছের প্রধান বৈশিষ্ট্য সামান্য সবুজাভ পৃষ্ঠ, রূপালী পেট ও আঁশের প্রান্তবর্তী কালচে দাগ। এই মাছ মূলত নদীর মাছ এবং কদাচিৎ দেখা যায়। এদের খাদ্যাভ্যাস অনেকটা মৃগেল ও কালবাউশের মত। এদের বর্শি দ্বারা ধরা যায়। এদের পিঠের ডানা অনেকখানি বিস্তৃত।
ছবিঃ
নন্দিনাঃ এই মাছ নন্দিল বা নন্দি নামেও পরিচিত। দেখতে প্রায় ঘনিয়া মাছের মত। এদের পিঠের দিকে ঘন সবুজাভ বর্ণ যা ক্রমশ নিচে এসে সাদায় পরিণত হয়েছে। কোন কোন আঁশের গায়ে কমলাভ লাল বর্ণ দেখা যায়। যদিও নদী নালার মাছ তবে পুকুরেও জন্মে। ঠোঁট পুরু ও কাটা। সাধারণত ১-২ ফুট লম্বা হয়।
ছবিঃ
বাটা বা খর্কি বাটাঃ এরা মৃগেল গণভুক্ত। কিন্তু আকারে অনেক ছোট। ৬-১২ ইঞ্চি হয়ে থাকে দৈর্ঘে। মলিন রূপালী, পেটের দিকটা সাদাটে। এরা নদীর মাছ এবং শামুক জাতীয় প্রাণি খেয়ে জীবন ধারন করে।
ছবিঃ
সরপুঁটি, সরালপুঁটি, স্বর্ণপুঁটি বা শের পুঁটিঃ এই মধ্যম হতে ছোট আকারের মাছ নদী, খাল ও পুকুরে দেখা যায়। এদের পৃষ্ঠভাগ কালচে ও মাথার কাছে সোনাল প্যাঁচযুক্ত এবং পেট সাদা। দৈর্ঘ ৫-১২ ইঞ্চি।
ছবিঃ
পুঁটিঃ বিভিন্ন পুঁটির মাঝে এটা প্রধান এবং বাংলাদেশের সর্বত্র প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই মাছ তেলে কড়া ভাবে খেতে চমৎকার, এর দেহ রূপালী ও পিঠের কাছে ধূসরাভ। মাথার কাছে দেহে একটি ধূসরাভ, লালচে পোঁচ দেখা যায়। দৈর্ঘে ১-৩ ইঞ্চি এবং পুকুরে, খালে, বিলে দেখা যায়। এরা মশা ও অন্যান্য কীটের শুককীট ও উদ্ভিজ পদার্থ খেয়ে জীবন ধারণ করে।
ছবিঃ
ফুটানী পুঁটিঃ পুঁটি হতে ছোট ১.৫-২.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। এই মাছ বেশ চটপটে ও সবসময় ওঠানামা করতে থাকে। এর বর্ণ ময়লা সাদা, লেজের গোড়া থেকে সামান্য ভেতরে এক ধরনের কালো এলাকা দেখা যায়।
ছবিঃ
তিতপুঁটিঃ সবচেয়ে ছোট আকারের পুঁটি মাছ। মাত্র ১.৫ থেকে ২ ইঞ্চি লম্বা। রূপালী রঙের দেহে দুটি কালো ফোঁটা থাকে। নদী, নালা, খাল, বিল, পুকুর, ডোবা সর্বত্র পাওয়া যায়।
ছবিঃ
ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভুল হলে ধরিয়ে দেবার জন্য পাঠকগণকে অনুরোধ করছি।
অারো পড়ুন- আসুন বাংলাদেশের কিছু মাছ চিনে নেই (পর্ব -১)
আসুন বাংলাদেশের কিছু মাছ চিনে নেই (পর্ব -৩)
ছবিঃ
ফাসা, ফেউয়া বা ফেউসাঃ ৭-৮ ইঞ্চি দৈর্ঘ বিশিষ্ট, লম্বাভাবাপন্ন, পৃষ্ঠদেশ সবুজাভ বর্ণযুক্ত এবং পেটের দিক সোনালী ভাব। পেটের দিকে দীর্ঘায়ীত ডানা রয়েছে। এই মাছ সর্বত্র প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যদিও এই মাছ কন্টকপূর্ণ তথাপি এটা জনপ্রিয়। ডিম ছাড়ার সময় হলে এরা নদীপথে উজানের দিকে চলতে থাকে।
ছবিঃ
রুইঃ রুই মাছ বহুল প্রচলিত মাছগুলোর মধ্যে একটি। এই মাছের পেটের দিকে রূপালী সাদা এবং পিঠ ও পিঠের কাছাকাছি অংশ কালচে ভাবাপন্ন। ২০-৩০ ইঞ্চি ও ততোধিক দৈর্ঘ বিশিষ্ট এই মাছ বাংলাদেশের সবখানে পাওয়া যায়।
ছবিঃ
মৃগেল মাছঃ মৃগেল মাছের অন্যান্য বাংলা নাম হলো, মিরকা, মিরগা ইত্যাদি। কিছুটা রুই মাছের মত দেখতে, কিন্তু আনিপাতিক হারে দীর্ঘ ও সরু দেহ, ছোট মাথা, ছোট মুখ, উজ্জ্বল রূপালী দেহ এবং লালচে দানা এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এদের মুখ কিছুটা নিচের দিকে স্থাপিত এবং সম্ভবত এ কারণে তারা পুকুরের নিচের দিকের তলানির খাদ্যসমূহ খেতে পারে। পরিণত বয়সের মাছ দুই লক্ষের অধিক ডিম দেয়।
ছবিঃ
কালবাউশ বা কালিবাউশঃ বাংলাদেশের কোথাও কোথাও এরা বাউশ, কালাঘনি, কালবাসু ইত্যাদি নামেও পরিচিত। কালচে দেহ ও ছোট নিম্নমূখী মুখ এদের বৈশিষ্ট্য। তাই মৃগেল মাছের মত এরাও পুকুরের নিচ এলাকার খাদ্য খেয়ে থাকে। নদী, নালা, খাল, পুকুর সর্বত্র এই মাছ ভালো জন্মে। বর্ষাকালে অগভীর পানিতে ডিম ছাড়ে।
ছবিঃ
ঘইন্যা, ঘনিয়া, গণি বা কুর্চিঃ রুই এর মত দেখতে এই মাছের প্রধান বৈশিষ্ট্য সামান্য সবুজাভ পৃষ্ঠ, রূপালী পেট ও আঁশের প্রান্তবর্তী কালচে দাগ। এই মাছ মূলত নদীর মাছ এবং কদাচিৎ দেখা যায়। এদের খাদ্যাভ্যাস অনেকটা মৃগেল ও কালবাউশের মত। এদের বর্শি দ্বারা ধরা যায়। এদের পিঠের ডানা অনেকখানি বিস্তৃত।
ছবিঃ
নন্দিনাঃ এই মাছ নন্দিল বা নন্দি নামেও পরিচিত। দেখতে প্রায় ঘনিয়া মাছের মত। এদের পিঠের দিকে ঘন সবুজাভ বর্ণ যা ক্রমশ নিচে এসে সাদায় পরিণত হয়েছে। কোন কোন আঁশের গায়ে কমলাভ লাল বর্ণ দেখা যায়। যদিও নদী নালার মাছ তবে পুকুরেও জন্মে। ঠোঁট পুরু ও কাটা। সাধারণত ১-২ ফুট লম্বা হয়।
ছবিঃ
বাটা বা খর্কি বাটাঃ এরা মৃগেল গণভুক্ত। কিন্তু আকারে অনেক ছোট। ৬-১২ ইঞ্চি হয়ে থাকে দৈর্ঘে। মলিন রূপালী, পেটের দিকটা সাদাটে। এরা নদীর মাছ এবং শামুক জাতীয় প্রাণি খেয়ে জীবন ধারন করে।
ছবিঃ
সরপুঁটি, সরালপুঁটি, স্বর্ণপুঁটি বা শের পুঁটিঃ এই মধ্যম হতে ছোট আকারের মাছ নদী, খাল ও পুকুরে দেখা যায়। এদের পৃষ্ঠভাগ কালচে ও মাথার কাছে সোনাল প্যাঁচযুক্ত এবং পেট সাদা। দৈর্ঘ ৫-১২ ইঞ্চি।
ছবিঃ
পুঁটিঃ বিভিন্ন পুঁটির মাঝে এটা প্রধান এবং বাংলাদেশের সর্বত্র প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই মাছ তেলে কড়া ভাবে খেতে চমৎকার, এর দেহ রূপালী ও পিঠের কাছে ধূসরাভ। মাথার কাছে দেহে একটি ধূসরাভ, লালচে পোঁচ দেখা যায়। দৈর্ঘে ১-৩ ইঞ্চি এবং পুকুরে, খালে, বিলে দেখা যায়। এরা মশা ও অন্যান্য কীটের শুককীট ও উদ্ভিজ পদার্থ খেয়ে জীবন ধারণ করে।
ছবিঃ
ফুটানী পুঁটিঃ পুঁটি হতে ছোট ১.৫-২.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। এই মাছ বেশ চটপটে ও সবসময় ওঠানামা করতে থাকে। এর বর্ণ ময়লা সাদা, লেজের গোড়া থেকে সামান্য ভেতরে এক ধরনের কালো এলাকা দেখা যায়।
ছবিঃ
তিতপুঁটিঃ সবচেয়ে ছোট আকারের পুঁটি মাছ। মাত্র ১.৫ থেকে ২ ইঞ্চি লম্বা। রূপালী রঙের দেহে দুটি কালো ফোঁটা থাকে। নদী, নালা, খাল, বিল, পুকুর, ডোবা সর্বত্র পাওয়া যায়।
ছবিঃ
ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভুল হলে ধরিয়ে দেবার জন্য পাঠকগণকে অনুরোধ করছি।
অারো পড়ুন- আসুন বাংলাদেশের কিছু মাছ চিনে নেই (পর্ব -১)
আসুন বাংলাদেশের কিছু মাছ চিনে নেই (পর্ব -৩)
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.