চেন্নাইকে হারিয়ে ফাইনালে মুম্বাই
চেন্নাই সুপার কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দ্বাদশ আইপিএলের ফাইনালে প্রথম দল হিসেবে পা রাখলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। চেন্নাইয়ের ছুঁড়ে দেওয়া ১৩২ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে মঙ্গলবার চিপকে বিশেষ বেগ পেতে হল না মুম্বাইকে। রান তাড়া করতে নেমে দ্রুত দুই ওপেনারের উইকেট হারালেও সূর্যকুমার যাদবের অপরাজিত অর্ধশতরানে ভর করে সহজেই পঞ্চমবারের জন্য ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করলো রোহিত বাহিনী।
বোলারদের দেখানো পথেই এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে এদিন বাজিমাত করলেন মুম্বাইয়ের ব্যাটসম্যানরা। চলতি আইপিএলে তিনবারের সাক্ষাতে তিনবারই মুম্বাইয়ের কাছে পরাজিত হতে হল চেন্নাইকে। ১৩২ রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে যদিও শুরুটা প্রত্যাশামতো করতে পারেননি মুম্বইয়ের দুই ওপেনার। মাত্র ৪ রানে অধিনায়ক রোহিতকে ডাগ-আউটের রাস্তা দেখান দীপক চাহার। মাত্র ৮ রানে অভিজ্ঞ হরভজনের শিকার হন ডি’কক।
২১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর সহজ লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ছিল একটা লম্বা পার্টনারশিপ। এরপর সেই কাজের কাজটি করে যান সূর্যকুমার যাদব ও ইশান কিষান। তৃতীয় উইকেটে দুই ব্যাটসম্যানের ৮০ রানের অবদান জয়ের কাজ সহজ করে দেয় আইপিএলে তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের। কিষান ২৮ ও ক্রুনাল শূন্য রানে ফিরলেও অ্যাডভান্টেজ অবস্থায় থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মুম্বাইকে।
ইশান কিষানকে নিয়ে চলতি আইপিএলের দ্বিতীয় অর্ধশতরানটি পূর্ণ করার পর হার্দিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেন যাদব। ৫২ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। হার্দিক অপরাজিত থাকেন ১০ বলে ১২ রানে। ২ ওভার বাকি থাকতেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলে রোহিতের দল।
প্রথম প্লে-অফে টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয় চেন্নাইয়ের জন্য। মুম্বাই বোলারদের দাপটে, সর্বোপরি দলের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্কোরবোর্ডে বড় রান তোলা হয়ে ওঠেনি চেন্নাইয়ের। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান তোলে ধোনির দল।
প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের তাড়াহুড়ার জেরে ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় সিএসকে। কেদার যাদবের পরিবর্তে এদিন দলে সুযোগ পাওয়া বিজয় করেন ২৬ বলে ২৬। এরপর রায়ডুর ৩৭ বলে ৪২ ও ধোনির ২৯ বলে ৩৭ রানে দৌলতে চেন্নাই নির্ধারিত ২০ ওভারে করে ১৩১ রান। পঞ্চম উইকেটে এই দুই ব্যাটসম্যানের ৪৭ বলে ৬৬ রানের অবদান লড়াইয়ে রাখে সিএসকে’কে।
৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান, সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ২টি উইকেট তুলে নিয়ে মুম্বাইয়ের হয়ে বল হাতে নজর কাড়েন রাহুল চাহার। এছাড়াও মার্জিত বোলিং করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচ করে নেন ১টি উইকেট। ১টি উইকেট জয়ন্ত যাদবের। বুমরাহ খরচ করলেন ৪ ওভারে ৩১ রান। মালিঙ্গা দিলেন ৩ ওভারে ২৬ রান।
ম্যাচ হারলেও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের ফাইনালে ওঠার লড়াই শেষ হয়ে যায়নি এখনও। এলিমিনেটরে দিল্লি বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচের বিজয়ীদের সঙ্গে দ্বিতীয় প্লে-অফে মুখোমুখি হবে সিএসকে। ওই ম্যাচের বিজয়ীরা ফাইনাল খেলবে রোহিতদের বিরুদ্ধে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.