মাশরাফিকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া ৬ চিকিৎসককে শোকজ
জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক এবং সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও কমেন্ট করায় ৬ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করা হয়েছে।মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে এ শোকজ নোটিশ জারি করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শামীমা নাসরীন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে অভিযুক্ত চিকিৎসককে নোটিশ প্রাপ্তির ৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত চিকিৎসকরা হলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হেমাটো অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম রেজাউল করিম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেসপিরেটরি মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. পঞ্চানন দাশ, বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিকসের রেজিস্টার ডা. আইরিন আফরোজ, নওগাঁ জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মৌমিতা জলিল জুলি ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহমিদী হাসান।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ফেসবুক টাইমলাইনে মাননীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা সম্পর্কে অশালীন এবং অযাচিত ভাষা ব্যবহার করে পাবলিক পোস্ট দেয়া হয়। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এ আচরণ অনুচিত ও অনভিপ্রেত উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এসব আচরণ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) মোতাবেক ‘অসদাচরণ হিসেবে গণ্য। তাই সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) মোতাবেক অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত করে কেন উক্ত বিধিমালার অধীনে যথাপযুক্ত দণ্ড প্রদান করা হবে না তা এ নোটিশ প্রাপ্তির ৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক এই সংসদ সদস্য গত ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৪টার দিকে আকস্মিকভাবে সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। এ সময় হাজিরা খাতায় ৩ চিকিৎসকের স্বাক্ষর না দেখে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস শাকুর এবং পরে অনুপস্থিত সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. আকরাম হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন মাশরাফি। কথা বলার এক পর্যায়ে সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আকরাম হোসেনকে উদ্দেশ্য করে মাশরাফি মোবাইল ফোনে বেশ রুঢ় ভাষায় বিভিন্ন বিষয়ে কৈফিয়ত চান। আর এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর চিকিৎসকসহ অন্যান্যদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে অনেক চিকিৎসক মাশরাফির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.