বাংলাদেশে স্মার্ট সিটি গড়তে চায় ভারত, যেন মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি!
ভারতের আদলে বাংলাদেশেও স্মার্ট সিটি তৈরিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস গতকাল শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট সিটি তৈরিতে আমাদের যথেষ্ট সম্ভাবনা ও স্থান রয়েছে। ভারত আগ্রহী হলে আমরা যে কোনো সময় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে স্মার্ট সিটি তৈরির জন্য প্রস্তুত। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রিভা গাঙ্গুলী আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের নির্মাণকাজ, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। সময়ের আবর্তনে এ সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাসের ওপর ভর করে পরিপক্বতা লাভ করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের সঙ্গে নানা সম্পর্ক গড়ে তুলছে। প্রকৃতপক্ষে ভালো সম্পর্ক, বিশ্বাস, পারস্পরিক স্বার্থ ও সম্মানের ভিত্তিতে গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। ‘তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণে ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ, রেলপথ, সড়ক, জাহাজ চলাচল, বন্দরসহ অবকাঠামো খাতে ১৭টি অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক গতিশীলতার কারণে শুধু শহরেই নয়, উন্নয়ন হয়েছে গ্রামীণ জনপদের। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, বাংলাদেশ আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতিম দেশ। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি এ অঞ্চলের সব দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালনা ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত চমৎকার। এজন্য আমরা ভারতের আদলে স্মার্ট সিটি নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে চাই।
সূত্র- বিডি প্রতিদিন
যেদেশ পাকিস্থানকে শুধু শায়স্তা করতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ কে স্বাধীন করতে সাহায্য করছিল। এবং ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে তারা বাংলাদেশের যুদ্ধাস্ত্র নিজেদের বলে নিয়ে গেছে। তারা স্বার্থের জন্য অস্থায়ী সরকারের সাথে ২৫ বছর মেয়াদী সামরিক চুক্তি করেছিল। দেশে ফিরে জাতির বঙ্গবন্ধু যার কথা শুনে প্রচন্ড রেগে গিয়ে ক্ষোপ প্রকাশ করেছিলেন। সীমান্তে দেশ বাংলাদেশীদের পাখির মত গুলি করে হত্যা করে, ধরে নিয়ে নির্যাতন করে, পদ্মা পানি, তিস্তার পানি যারা বাধ নিয়ে বন্ধ করে বাংলাদেশ কে মরুভূমি করতে চায় তারা অাবার বাংলাদেশকে উন্নয়ন করে স্মার্ট সিটি করে দিতে সাহায্য করবে তা ভাবাও বোকামি।
ভারত যখনই ঋণ চুক্তি করে তখনই শর্ত দেয় তাদের দেশ থেকে অস্ত্র কিনতে হবে বা তাদের সম্মতি ছাড়া অন্য দেশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করা যাবে না।
ভারত সর্বদাই বাংলাদেশকে ছলে বল কৌশলে শোষণ করে এসেছে এবং ভবিষ্যতে তাতে স্বার্থে শোষণ করা নীতি অব্যহত রাখবে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.