চোরের কুরবানি
এক চোর জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদে ইমাম সাহেবের মুখে কোরবানীর ফযিলত সম্পর্কে বয়াণ শুনে অন্তরটা নরম হয়ে গেছে৷
.
বাড়ি ফিরে প্রতিজ্ঞা করলো-- যা হয় হবে, এমন ফযিলত পূর্ণ কোরবানী বাদ দেওয়া যাবে না... তাই রাতেই পাশের গ্রাম থেকে একটি গরু চুরি করে আনতে গিয়েছে কোরবানী দেওয়ার জন্য৷
.
ইমাম সাহেব ফজরের নামাজ পড়তে উঠে দেখে ঐ চোর চুরি করা গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছে। ইমাম সাহেব তাকে জিঙ্গেস করলোঃ তুমি তো গরীব মানুষ, গরু কোথায় পাইলা? ওই মিয়া কার গরু চুরি করে নিয়া যাও?
.
চোর বলছে-- হুজুর আপনি জুমার নামাজে কোরবানীর ফযিলত সম্পর্কে যে বয়ান করেছেন তাতে আমার অন্তরটা নরম হয়ে গেছে ,তাই গরুটি কোরবানী দিতে নিয়ে যাচ্ছি।
.
ইমাম সাহেব বললো চুরি করে কোরবানী দিলে তো কোরবানী হবে না বরং গুনাহ হবে৷
.
চোর বলছে ,হুজুর এ নিয়ে আপনি টেনশন কইরেন না ৷ আমি এর হিসেবও মিলিয়ে রেখেছি, চুরি করলে যে গুনাহ হবে তা কোরবানীর দিলে যে সওয়াব পাওয়া যাবে তা দিয়ে কাটাকাটি ৷ মাঝখানে গোশত খাওয়া ফাও। হা-হা-হা...
.
.
উপসংহারঃ গল্পটি রূপক হলেও আমাদের দেশের অধিকাংশ মুসলমানদের কাহিনী সাথে মিলে যায়।তারা গরু চুরি করে কোরবানী না দিলেও সুদের টাকা, ঘুষের টাকা, শ্রমিকের টাকা মেরে, চিটারি বাটপারি করে টাকার পাহাড় গড়ে, মানুষের টাকা মেরে ঐ চুরির টাকা দিয়ে কিন্তু ঠিকই মানুষ অহরহ কোরবানী দিতেছে।
গল্পটি---- এক ওয়াজ থেকে শোনা (সংগৃহিত )🤫
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.