যুদ্ধের হুমকি দিলেন ইমরান
জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর বর্বরতার কারণে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।জাতিসংঘে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, কাশ্মীরে ৮০ লাখ মানুষকে বন্দি করে রেখেছে ভারত সরকার। এর মধ্যেই ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় তাদের কোনো আপত্তি নেই, তবে জঙ্গিদের মদদ দাতাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দফতরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় কাশ্মীর ইস্যুতেও আলোচনা করেন দুই নেতা। পরে সাংবাদিকদের কাছে মোদিকে নিজের একজন বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে ট্রাম্প জানান, কাশ্মীরের চলমান সঙ্কট সমাধানের একমাত্র পথ আলোচনায় বসা।ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমি সত্যই বিশ্বাস করি যে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন একে অপরের সঙ্গে বসবেন, তখন ভালো কিছুই হবে। তাদের মধ্যে একটা ভালো আলোচনা হবে বলে আশা রাখি। মোদি একজন দুর্দান্ত মানুষ, অসাধারণ নেতাও বটে। ভারতের সঙ্গে এর আগে খুব মতবিরোধ ছিল। কিন্তু তিনি আসার পর আমাদের সম্পর্ক অনেক সহজ সরল ও দৃঢ় হয়েছে।'
কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানও। জাতিসংঘে দেয়া ভাষনে তিনি বলেন, কোনো ধরণের সংঘাত বা সংঘর্ষের মাধ্যমে কাশ্মীর সঙ্কট সমাধান সম্ভব না।এদিন জাতিসংঘ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে, কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানে যে কোনো সময় ভয়াবহ সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি। একইসঙ্গে ইস্যুটি ঘিরে দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে, কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান ইমরান।
ইমরান বলেন, 'নিরীহ কাশ্মীরিদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালাচ্ছে ভারতের সেনাবাহিনী। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সে বিষয়টি জানাতেই এখানে এসেছি আমি। পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশ দুটি মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।' এদিকে, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়সঙ্কর। নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইস্যুটি নিয়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে আলোচনা করতে সমস্যা নেই দিল্লির। তবে, তবে জঙ্গিদের যারা স্থান দেয় তাদের সঙ্গে কোনভাবেই ভারত সংলাপে বসবে না বলেও জানান তিনি।
এরমধ্যেই ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, কাশ্মীরে নতুন কোরে হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিরা। এমনকি পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ভারতে প্রবেশ করানো হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.