যেভাবে ‘ভাই’ হলেন আজিজ মোহাম্মদ!
বাংলাদেশের রহস্যময় ব্যক্তিদের মধ্যে আজিজ মোহাম্মদ ভাই অন্যতম। রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেল থেকে গুলশানে তার বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অভিযানে মাদক ও ক্যাসিনোর সরঞ্জামসহ নানা মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে নিয়ে নানা মুখরোচক গল্প রয়েছে। তবে সব গল্পেই রয়েছে নারী চরিত্র। নারী ছাড়া আজিজ মোহাম্মদ ভাই চলাফেরাও করেন না বলে কথিত রয়েছে।
আজিজ মোহাম্মদ ভাই একজন বাংলাদেমি ব্যবসায়ী হলেও তিনি আদতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত নন। ১৯৪৭ এ দেশভাগের পর তাদের পরিবার ভারতের গুজরাট থেকে বাংলাদেশে আসে। ধনাঢ্য এই পরিবার পুরান ঢাকায় বসবাস শুরু করে।
তাদের পরিবার মূলত পারস্য বংশোদ্ভুত। তারা ‘বাহাইয়ান’ সম্প্রদায়ের লোক। ‘বাহাইয়ান’ কে সংক্ষেপে ‘বাহাই’ বলা হয়। উপমহাদেশের উচ্চারণে এই ‘বাহাই’ পরবর্তীতে ‘ভাই’ হয়ে যায়।
১৯৬২ সালে আজিজ মোহম্মদ ভাইয়ের জন্ম হয় আরমানিটোলায়। আজিজ মোহাম্মদ ভাই তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ইস্পাত প্রযোজকের পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত ছিলেন।
তিনি সার্ক চেম্বার অব কমার্সের আজীবন সদস্য। অলিম্পিক ব্যাটারি, অলিম্পিক বলপেন, অলিম্পিক ব্রেড ও বিস্কুট, এমবি ফার্মাসিটিউক্যাল, এমবি ফিল্ম ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাই।
এছাড়াও মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুরে রয়েছে তার হোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসা। মাদক ব্যাবসার সাথে তার জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে। তিনি সার্ক চেম্বারের আজীবন সদস্য। মুম্বাইয়ের ডন দাউদ ইব্রাহিমের সাথে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আমলে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাকে মুক্ত করতে আগা খান, প্রিন্স করিম আগা খান নিজেই বাংলাদেশে এসেছিলেন।
১৯৯৭ সালে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। যদিও হত্যাকাণ্ডের সময় থাইল্যান্ডে ছিলেন আজিজ। কিন্তু সেটাকে আত্মহত্যা বলেই প্রচার করা হয়। যদিও সালমান শাহের পরিবার ও তার ভক্তদের ধারণা এটা হত্যাকাণ্ড।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.