#সতর্কতা_মুলক_পোস্টঃ #ইমার্জেন্সি_ব্যালেন্স
✔বর্তমানে মুসলিম উম্মাহ খুবই সতর্ক। তাই ইসলামের শত্রুরা ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যাবহার করে মুসলিম উম্মাহকে পথভ্রস্ট করতে বদ্ধ পরিকর। এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে অত্যন্ত সুনিপুনভাবে মুসলিম উম্মাহর ঈমান নষ্ট করে দিচ্ছে, অথচ কেউ বুঝতেও পারছে না। আমি আজ সামান্য একটা উদাহরন দিব ইনশাআল্লাহ, আপনারা ভেবে দেখবেন।।
✔বর্তমান বাংলাদেশের প্রায় সকলেই মোবাইল ব্যাবহার করে। অনেক ঈমানদার মুমিন দ্বীনি ভাইও মোবাইল ব্যাবহার করেন। মোবাইলে কথা বলতে বলতে যখন মোবাইলের ব্যালেন্স শেষ হয়ে যায় তখন একটা বিব্রতকর অবস্থাতে পড়তে হয়। আর এই সুযোগে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলা আমাদের জন্য ইমারজেন্সি ব্যালেন্স এর ব্যাবস্থা করেছে। অর্থাৎ ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে আপনি নির্দিষ্ট একটা কোড ডায়াল করে নির্দিষ্ট পরিমান ব্যালেন্স নিতে পারবেন। ডিজিটাল ভাষায় একে বলে "ইমারজেন্সি ব্যালেন্স" ইংরেজিতে বলে "লোন" আর বাংলায় বলে "ঋন"। আপনি এই ঋন নিলেন। এরপর যখন মোবাইলে টাকা রিচার্জ করবেন তখন আপনার ব্যালেন্স থেকে আপনার গৃহীত ঋনের টাকা কেটে নেয়া হয়। সাথে কিছু পরিমান অতিরিক্ত টাকাও কেটে নেয়া হয়। ডিজিটাল ভাষায় এই অতিরিক্ত কেটে নেওয়া টাকাকে বলে " ভ্যাট", শুশীল ভাষায় বলে "মুনাফা" আর বাংলায় বলে "সুদ" (নাউজুবিল্লাহ)
✔আপনি পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করেন। সাথে সাথে আপনি সুদ ঘুষ সহ সকল ইসলাম বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু আপনি মোবাইলে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে সুদের সঙ্গে ডিজিটাল ভাবে জড়িয়ে গেলেন। লাভবান হয়ে গেল মোবাইল অপারেটর কোম্পানী। তারা এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করলো। সামান্য লোন দিয়ে সুদও নিল, আর আপনার ঈমানও নষ্ট করলো। আপনি এখানে সুদ দাতা। মুসলীম শরীফের ১৫৯৮ নং হাদিসে বলা হয়েছেঃ সুদের কারবারে জড়িত, ১- সুদদাতা ২-সুদগ্রহীতা ৩-সুদের সাক্ষী ৪-সুদ যে লিখে - সবার উপর আল্লাহর রাসুল (সাঃ) লানত করেছেন।
✔তাই আসুন মোবাইলে লোন নেয়া থেকে বিরত থাকি। বিরত থাকি সকল প্রকার সুদী কারবার থেকে। আল্লাহ আমাদের সুদী কারবার থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.