গাজীপুরের বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ী আলি আবেদীন বুলবুল গ্রেপ্তার!
গাজীপুরের বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ী আলি আবেদীন বুলবুলকে গ্রেপ্তার গাছা থানার পুলিশ। আজ রাত সাড়ে ৮টার দিকে গ্রেপ্তার করে তাকে গাছা থানায় নিয়ে আসা হয়।
সূত্র ও এলাকাবাসীর জানায়, আলি আবেদীন বুলবুল দেশের অন্যতম মাদক ব্যবসায়ী। যিনি তার মাদক ব্যবসাকে চালানোর পাশাপাশি মদ জুয়া, নারী, মারামারি,ভুমি দখল সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথেও জড়িত। আলি আবেদীন বুলবুল বছর দু বছর আগে বড় ভাইয়ের স্ত্রীর ৬ শতাংশ জায়গা স্থানীয় সন্ত্রাসী সোরহাব খানের সহায়তায় দখন করে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে বিক্রির চেষ্ঠা করছে। জায়গাটি দখলের সময় বর্তমান ৩৪,৩৫,৩৬ নং ওযার্ড মহিলা কাউন্সিলর পুষ্পা আক্তার মায়ার স্বামী ও সাবেক গাজীপুর সদর তথা জয়দেবপুর থানার এস আই আব্দুল হাই বিশেষ ভাবে সহায়তা করেছিল। তাছাড়া ক্ষমতাশীল সরকারি দলের কোন এক প্রতিমন্ত্রী চাচার ছত্রছায়ায় অনায়াশে এসব অপকর্ম এই আলি আবেদীন বুলবুল করছেন । তাই এলাকার লোজজন তার বিরুদ্ধে কথা বলতেও ভয় পায়। আলি আবেদীন বলবুলের রাজনৈতিক ছত্রছায়া ও টাকার কাছে তার বড় ভাইয়ের পরিবার অসহায় ছিল। তারা থানায় সাধারণ ডায়েরী করলেও আজ পর্যন্ত তার সুষ্ঠ তদন্ত হয়নি।
তারই ধারাবাহিকতায় এ ভূমিদস্যু তার দুই বোনের জায়গা দখন করে বেড়া নির্মাণ করে দোকান ঘর করতে শুরু করেছে। তার এ ভূমি দখলে তার অন্যতম সহযোগী গণ হলো পিতৃপরিচয়হীন মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল্লাহ, লম্বু আলামিন, নোয়াখাইল্লা সুমন, মাহাবুব আলম ওরফে ইয়াবা মাহাবুর, জাকির ও লুৎফর রহমান খান ওরফে লুৎফর কন্টাক্টার অন্যতম।
তার বড় বোন হাসনা হেনা সিরাজী ও খুরশিদা সিরাজী তাদের জায়গায় বেড়া নির্মাণ করতে নিষেধ করলে আলি আবেদীন বুলবুলের স্ত্রী তাদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে শারীরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে।
এঘটনার পর হাসনা হেনা সিরাজী ও খুরশিদা সিরাজী গাছা থানায় সাধারণ ডায়েরী করতে গেলে পুলিশ প্রথমে জিডি নিতে চায়নি বলে জানায় হাসনা হেনা সিরাজী ও খুরশিদা সিরাজী দু বোন, পরে অবশ্য সাধারণ ডায়েরী করে তারা। সাধারণ ডায়েরী করার পর পুলিশ ঘটনা স্থলে যায় এবং আসামী পক্ষ আলি আবেদীন বুলবুল গং কে সকল প্রকার নির্মাণ কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলে। পুলিশের সামনে স্বীকার করলেও আলি আবেদীন বুলবুল গং প্রতিদিন রাতের বেলায় নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। বাধ্য হয়ে আদালতে যায় লাঞ্ছিত দুই বো্ন। তারা মামলা দায়ের করে আলি আবেদীন বুলবুল গং এর বিরুদ্ধে।
যেহেতু ঘটনাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন আছে, তাই পুলিশ ঘঠনাস্থলে কয়েক বার আসামী পক্ষ আলি আবেদীন বুলবুল গং কে সকল প্রকার নির্মাণ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলে। কিন্ত পুলিশের ও আদালতের কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে আসামী পক্ষ আলি আবেদীন বুলবুল গং নিমাণ কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। অসহায় দুই বোন হাসনা হেনা সিরাজী ও খুরশিদা সিরাজী আজ থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে অবশেষে পুলিশ আলি আবেদীন বুলবুলকে তার কয়েক জন সহযোগী সহ গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.