মার্কিন তারকা লিন্ডসে লোহানের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের কী সম্পর্ক?
মার্কিন অভিনেত্রী ও গায়িকা লিন্ডসে লোহানের সঙ্গে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্পর্ক নিয়ে বিশ্ব তোলপাড়।এ নিয়ে কানাঘুষাও কম চলছে না। লিন্ডসে লোহানের সঙ্গে মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্পর্ক নিয়ে মার্কিন গণমাধ্যমে জল্পনামূলক খবরও প্রকাশিত হচ্ছে।
তাদের মধ্যে রোমান্টিক সম্পর্ক রয়েছে বলেও গুঞ্জন রটে। এ ছাড়া আরও খবর বের হয়, এই ‘মিন গার্লস’ তারকাকে মোহাম্মদ বিন সালমান একটি ক্রেডিট কার্ডসহ বিভিন্ন উপহার দিয়েছেন।অবশ্য গত আগস্টে এই মার্কিন তারকার এক প্রতিনিধি আন্তর্জাতিক সব সংবাদমাধ্যমে এসব খবর ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, লিন্ডসে লোহানের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের কোনো রোমান্টিক সম্পর্ক নেই। তাদের মধ্যে কোনো ক্রেডিট কার্ডও বিনিময় হয়নি।এর পরও লোহানের সেই প্রতিনিধির বক্তব্য সে গুঞ্জন থামাতে পারেনি।এবার এ বিষয়ে লিন্ডসে লোহানের বাবা মাইকেল লোহান মুখ খুললেন।
গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যের দি ইনডিপেনডেন্ট অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয় মাইকেল লোহান বলেছেন, আমার মেয়ের সঙ্গে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কোনো রোমান্টিক সম্পর্ক নেই। তবে সম্পর্ক একটি রয়েছে। একে বলে শ্রদ্ধার সম্পর্ক। এতে কামনা–বাসনা নেই। তারা ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’।
নিউইয়র্ক পোস্টের কাছে একই দাবি করে তার মেয়ের সঙ্গে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের কোনো ধরনের রোমান্টিক সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেন মাইকেল লোহান।মোহাম্মদ বিন সালমান ও লিন্ডসে লোহানের সম্পর্কের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মাইকেল লোহান বলেন, তারা শুধুই জাস্ট ফ্রেন্ড। মধ্যপ্রাচ্যে লিন্ডসের যাতায়াত বেশি। তাই সেখানে তার অনেক ভালো বন্ধু রয়েছে, তাদের মধ্যে সৌদি যুবরাজ অন্যতম।
তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে কাজের সুবাদে লিন্ডসে লোহানের সঙ্গে মোহাম্মদ বিন সালমানের দেখা হয়েছিল। তার কাজে যুবরাজ সন্তুষ্ট হয়েছেন। তাই দুজনের মধ্যে এক নিষ্কাম সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।তিনি ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, আমার মেয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যে এত সামাজিক কর্ম করছে, তা নিয়ে কেউ লিখছে না। সবাই সৌদি যুবরাজকে জড়িয়ে তাকে নিয়ে মুখরোচক গল্প বানাচ্ছে।প্রসঙ্গত মার্কিন এই জনপ্রিয় গায়িকা লিন্ডসে লোহান মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থীদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছেন।
এর আগে মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে কিম কারদেশীয়ানের সম্পর্কের কথা শোনা যায়। যেখানে এক রাতে কিমের দেহ ভোগের জন্য বিন সালমান মিলিয়ন ডলার অফার করেছিলেন বলে কিমের স্বামী জানায়।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.