তেল নিয়ে হুমকি সৌদি যুবরাজের!
ইরানের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায় এখনই কোনো ব্যবস্থা না নিলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অকল্পনীয়ভাবে বেড়ে যাবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।সৌদি-ইরান যুদ্ধ বৈশ্বিক অর্থনীতি ধ্বংস করে দেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এর মধ্যেই, সৌদি আরবের অভ্যন্তরে ড্রোন হামলা ও সেনাসদস্যদের আটকের ছবি প্রকাশ করেছে হাউথিরা। ঐ অভিযানে ৫শ সেনাকে হত্যা করারও দাবি তাদের।
শনিবার সৌদি আরবের নাজরানে সেনা স্থাপনায় এভাবেই মুহুর্মুহু বোমা বর্ষণ করে ইয়েমেনের হাউথি বিদ্রোহীরা। ড্রোন থেকে বোমা ছোড়ার পাশাপাশি ক্ষেপণাস্থ হামলা চালায় তারা। ব্যাপক এই বিমান অভিযানে পাঁচশ সেনাকে হত্যার দাবি করে হাউথি মুখপাত্র জানান, অত্যাধুনিক অস্ত্রসজ্জিত সামরিক যানের পাশাপাশি সেনা অফিসারসহ দুই হাজার সেনা সদস্যকে আটক করেছে তারা।
হাউথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেন, শত্রুপক্ষের সামরিক স্থাপনায় হামলার প্রথমদিকের ছবি এগুলো। প্রথম দিনের অভিযানে সৌদি আরবের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ব্যাপক অস্ত্র জব্দের পাশাপাশি কয়েক হাজার শত্রুকে আত্মসমর্পণ করাতে বাধ্য করা হয়।
এর আগে, চলতি মাসের ১৪ তারিখ সৌদি ভূখণ্ডে তেল স্থাপনায় হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করে হাউথিরা। যদিও পশ্চিমা বিশ্ব ও সৌদি আরবের দাবি তেল ক্ষেত্রে হামলার পেছনে হাউথিরা নয় ইরানই জড়িত। গণমাধ্যম সিবিএসের সিক্সটি মিনিট অনুষ্ঠানে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ঐ হামলার জন্য আবারো ইরানকে দায়ী করেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। দেশটির বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায় এখনই শক্ত ব্যবস্থা না নিলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অকল্পনীয়ভাবে বেড়ে যাবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের ৩০ শতাংশই এই অঞ্চল থেকে সরবরাহ করা হয়। ইরানের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া না হলে আরো উত্তেজনা বাড়বে যা বিশ্বের স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলবে। তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে, তেলের দাম অভাবনীয়ভাবে বেড়ে যাবে যা আমাদের এই জীবনে আগে কেউ কখনো দেখেনি।
সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ হলে বৈশ্বিক অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন সালমান। তবে সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেন তিনি।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.