ইয়েমেনে ‘মানবিক সাহায্য’ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা!
যুদ্ধ আর অবরোধে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ইয়েমেনের লাখ লাখ মানুষকে দাতা সংস্থাগুলোর দেয়া ‘মানবিক সাহায্য’ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।হুতি কর্তৃপক্ষের অগ্রহণযোগ্য বাধায় দাতাদের অসন্তোষের কারণে জীবন রক্ষাকারী ‘মানবিক সাহায্য’ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে বৃহৎ দাতা গোষ্ঠী ও বিশ্বের বড় বড় সাহায্য সংস্থাগুলো ইয়েমেনের সংকটাপন্ন নাগরিকদের মানবিক সাহায্য পাঠানোর পরিকল্পনা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে যৌথ পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিতে একটি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইয়েমেন সংক্রান্ত সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে যে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে, তা ইয়েমেনের ৬৭ লাখ মানুষের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।
এর জন্য ইরানঘনিষ্ঠ হুতি বিদ্রোহীদের বাধা ও অসহযোগিতাকে দায়ী করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।হুতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট কয়েক বছর ধরেই ইয়েমেনের আকাশ, বন্দরসহ চারপাশে অবরোধ দিয়ে রেখেছে।
ওই অবরোধ এবং সৌদিজোট সমর্থিত ইয়েমেনি বাহিনীর বাধার কারণেও অনেক এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না; অবশ্য একে হুতি অঞ্চলে পাওয়া বাধার তুলনায় ‘অনেক কম’ বলছেন দাতা সংস্থার কর্মকর্তারা।ইউনিসেফের হিসেব মতে, ১.৮ মিলিয়ন ইয়েমেনি শিশু বর্তমানে অপুষ্টিতে ভুগছে। যাদের মধ্যে চার লাখ গুরুতর অপুষ্টির সম্মুখীন এবং তাদের জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয়তার জরুরি প্রয়োজন।
এক হিসাব মতে, বিশ্বের ৪৫ দেশে ৮ কোটি ৩০ লাখ মানুষের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্যসহায়তা প্রয়োজন, যা ২০১৫ সালের চেয়ে এ বছর বেড়েছে ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্যের সবচেয়ে বেশি অভাব যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে।নারী, শিশুসহ ইয়েমেনের ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য নেই। এর মধ্যে ৩০ লাখের বেশি শিশু খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছে। ইয়েমেন, লিবিয়া, সিরিয়াসহ যুদ্ধকবলিত মধ্যপ্রাচ্যে খাদ্যসংকট একটি বড় সমস্যা।বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, আগামী ১৫ বছরে বিশ্বে খাদ্য চাহিদা বাড়বে ২০ শতাংশ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.