সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    মারকাভা। ইসরাইলের গর্বের ধন, ছিলো; এখন আর নেই! নেই কেন?

    Image may contain: one or more people and outdoor

    মারকাভা ইসরাইলের প্রধান মেইন ব্যাটল ট্যাংক। ১৯৭৮ সালে সারভিসে আসা এয়ার কন্ডিশন্ড এই ট্যাংকটির ওজন ৬৫ টন। ১৫০০ হর্স পাওয়ার টার্বোচার্জড ডিজেল ইন্জিনের এটিতে প্রধান অস্ত্র ১২০ এমএম স্মুথবোর গান। সেকেন্ডারি আর্মামেন্ট হিসেবে রয়েছে একটি ১২.৭ এমএম এন্টি এয়ারগান, দুইটা ৭.৬৬ এমএম মেশিনগান, ১২ টা স্মোক গ্রেনেড ও একটা ৬০ এমএম ইন্টারনাল মর্টার। এর অপারেশনাল রেঞ্জ ৫০০ কিলোমিটার।মারকাভা অপারেট করতে ৪ জন ক্রু (কমান্ডার, ড্রাইভার, গানার ও লোডার) প্রয়োজন, পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৬ জন যাত্রী বহন করতে পারে (অ্যামুনিশোন লোড অবস্থায়)।

    মারকাভা সারভিসে আসার পর প্রায় ২৪ বছর ছিলো অজেয়। ইসরাইল এটাকে অক্ষয় ভাবত। একে নিয়ে তাদের গর্বের শেষ ছিলো না; তারা এটাকে 'গডস চ্যারিওট' বা ঈশ্বরের রথ বলে ডাকত। এর শক্তিশালী আর্মর ও বিশেষ ডিজাইন এটাকে অনন্য বৈশিষ্ট দান করেছে। এর আর্মার তৈরি করা হয়েছে স্তরীভুত ষ্টিল এবং নিকেল দিয়ে যা ভেদ করা রীতিমত অসম্ভব। এই ট্যাংকে ফ্রন্ট মাউন্টেন্ড ইঞ্জিন বসানো যা এর আরোহীদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দৃঢ় করেছে। যদি সামনের দিকে কখনো এটিজিএম আঘাত হেনেও থাকে তাহলে ইঞ্জিনটা হয়ত ভর্তা হয়ে যাবে কিন্তু পিছনের ক্রুরা রক্ষা পাবে। প্রথমদিকে লেবাননের সাথে কয়েকটি যুদ্ধে মারকাভা তার মারাত্মক সক্ষমতার প্রমাণ দেয়। ১৯৮৪ সালে প্রথম লেবাননে এর ব্যবহার করা হয়, লেবাননের ৪ স্কোয়াড্রন ট্যাংক ধ্বংস করেছিলো মারকাভার ১ স্কোয়াড্রন ট্যাংক। এছাড়াও আরো সব যুদ্ধে শত্রুর সামনে বিভীষিকা হয়ে হাজির হত মারকাভা।



    মারকাভা প্রথম ধাক্কা খায় ২০০২ সালে ফিলিস্তিনের জিহাদি গ্রুপ সালাহুদ্দিন ব্রিগেডের কাছে। তারা রাস্তায় ৮০ কেজি ওজনের মাইন ফিট করে রাখে, মারকাভা আসার পর তা ডিটোনেট করা হয়। ইসরাইলের মারকাভা অহংকারের একাংশ চূর্ণ হয় এই প্রথম। যার কল্পনাও ইসরাইল করেনি কখনো। এর কয়েকদিন পর ফিলিস্তিনের আরেক গ্রুপ আল কুদস ব্রিগেডের রকেটের আঘাতে তুলার ন্যায় উড়ে যায় ঈশ্বরের রথ! তাদের প্রথম আরপিজি (আমার ধারণা ২৯) গিয়ে মারকাভার দরজা ভেঙ্গে ফেলে আর দ্বিতীয় আরপিজিটা সোজা ভিতরে রাখা ৪০ টি গোলার ওপর যেয়ে পরে। এরপর কী অবস্থা হয়েছিলো তা সহজেই অনুমেয়। ইসরাইলের মারকাভা দম্ভের আরেকটা অংশ যেন ধসে গেল।
    কিন্তু মারকাভা সবচেয়ে বড় ধাক্কা খায় ২০০৬ সালের লেবাননের হিজবুল্লার সাথে যুদ্ধে। ইসরাইল লেবাননের সাউথ গিরিখাত দিয়ে মারকাভা বহর প্রবেশ করানোর ১৭ থেকে ২০ মিনিটের মাথায় তাদের ১২ টা ট্যাংক ধ্বংস হয়ে যায় হিজবুল্লার কাছে থাকা রাশিয়ান কর্নেট মিসাইলের আঘাতে। দিশেহারা ইজরাইল ওয়াদি আহজাদ নামক আরেক পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে মারকাভা কে প্রবেশ করায়। সেখানেও হিজবুল্লার ফাঁদে পরে অনেকগুলো মারকাভা হারায় ইসরাইল। ৩৩ দিনের এই যুদ্ধে ইসরাইলের ৫ ভাগের পুরো ১ ভাগ ট্যাংক ধ্বংস হয়ে যায়। ২০০র মত মারকাভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর স্বাভাবিকভাবেই এরপর ইসরাইলের মারকাভা গর্বের অবশিষ্টটুকুও ধুলোয় মিশে যায়। ২০১৪ সালের সাপ্তাহ খানেকের যুদ্ধে ইজরাইল ১০ থেকে ১২ টির মত মারকাভা খুইয়েছিলো।

    এখন এটা ধ্বংস করা হামাসের জন্য কোনো ব্যাপার না; তারা এটা ধ্বংস করতে করতে ক্রমে অনেক দক্ষ হয়ে উঠেছে!

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !