সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    মহাসংক্রমণের পথে রাশিয়া!


    রাশিয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে গত দুই সপ্তাহেই প্রায় পাঁচগুণ বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যা। সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট আক্রান্ত ৮০ হাজার ৯৪৯। এর মধ্যে গত ১৪ দিনেই শনাক্ত হয়েছে ৬৫ হাজার। প্রতিদিন গড়ে শনাক্ত ৪ হাজার ৬৫৫।

    দুই সপ্তাহ আগেও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫ হাজার ৭৭০। এখন মহাসংক্রমণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে চীনের প্রতিবেশী দেশটি। তবে আক্রান্ত বেশি হলেও দেশটিতে মৃত্যুর হার কম। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৪৭ জনের। ১৪ দিন আগেও মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৩০।

    এখন পর্যন্ত মৃত্যুহার শতকরা দশমিক ৯২ ভাগ।  এদিকে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে তুরস্কে। তবে তুর্কি-সাইপ্রাসে সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তুরস্কের শাসনাধীন ভ‚-মধ্যসাগরীয় দ্বীপদেশটিতে এক সপ্তাহেও করোনা রোগী মেলেনি। তাস ও আনাদোলু এজেন্সি।  করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতে রাশিয়ার পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল।

    কিন্তু সপ্তাহ দুই আগে হঠাৎ করেই লাগামহীন হয়ে পড়ে কোভিড-১৯। প্রতিদিনই আশঙ্কাজন হারে বাড়তে থাকে শনাক্ত সংখ্যা। চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ রূপ নেয়ার পরপরই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে সীমানা বন্ধ করে দেয়াসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় রাশিয়া। ভাইরাস ঠেকাতে বেশিরভাগ শহরই লকডাউন ঘোষণা করা হয়। করোনা নিয়ন্ত্রণে ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলো হিমশিম খেলেও রাশিয়ার চিত্র দেখে অনেকেই দেশটির প্রকৃত অবস্থা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিলেন।

    তবে হঠাৎ করেই করোনার আক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে জানায় রুশ কর্তৃপক্ষ। রাশিয়ায় এখন যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আর একদিনের মধ্যেই চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।  রোববার রাশিয়ার ক্রাইসিস রেসপন্স সেন্টার জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬১ জন।

    এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার ৯৪৯ জনে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৬ জন। ফলে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৪৭ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৬ হাজার ৭৬৭ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, তুরস্কে এই পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগী সংখ্যা পাওয়া গেছে। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৭শ’ জনের।

    তুরস্কের অবস্থা ভয়াবহ হলেও উল্টোপথে হাঁটছে দেশটির অধ্যুষিত দেশ নর্থ সাইপ্রাস বা তুর্কি সাইপ্রাস। গ্রিক সাইপ্রাসের লাগোয়া দেশটির প্রায় ৫ লাখ জনসংখ্যার ৪ লাখই তৃর্কি বংশোদ্ভূত।  তুর্কি-সাইপ্রাসের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলী পিলি বলেছেন, গত এক সপ্তাহে ২ হাজার ৮৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কারও শরীরেই করোনা মেলেনি।

    দেশটিতে প্রথম শনাক্ত হয় এক জার্মান পর্যটকের শরীরে। তখন থেকে মোট ৮৮ হাজার ৪৩৩ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৮ জনের করোনা ধরা পড়েছে।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !