মক্কা-মদিনায় যেভাবে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ইফতার !
মক্কার মসজিদুল হারাম। মুসলিম উম্মাহর কেবলা ও মিলনস্থল। স্বাভাবিক সময়ে পবিত্র এ ভূখণ্ডটির একরকম চিত্র থাকলেও রমজান ও হজের সময় এখানকার পুরো দৃশ্যটাই পাল্টে যায়।
মুসলিম বিশ্বে এখন অতিবাহিত হচ্ছে রমজান মাস। শুদ্ধতায় সমৃদ্ধ হওয়ার মাস। এ সময় সাধারণত মক্কা-মদিনায় মুসল্লি ও ওমরাহকারীদের উপচে পড়া ভিড় সবার চোখে লাগে। কোথাও যেন তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না।
বাইতুল্লায় মুগ্ধতার এক চিত্র ইফতারের মুহূর্তটি। আগত মুসল্লিরা অনেকটা আগ্রহ নিয়ে যেমন স্থানীয়দের ইফতার গ্রহণ করেন; তেমনী পরিবেশনকারীরাও নিজেদের জন্য এটিকে বড় সৌভাগ্য হিসেবেই দেখেন। অপূর্ব এক পরিবেশে, এক দস্তরখানে বিভিন্ন ভাষা ও বর্ণের সবাই যেন এক দেহতুল্য।
বছরের যে সময়টি মক্কা-মদিনায় নানা প্রকারের খেজুর ও জমজমের সুপেয় পানি দিয়ে শত শত মিটার দস্তরখান সাজানো থাকত, আজ তা করোনার এক অদৃশ্য থাবায় অতীত মনে হচ্ছে। তবে সুখের বিষয় হল, আজ সে পরিসেবা অন্যভাবে পরিবর্তিত হয়ে প্যাকেটজাত করে মক্কার অসহায়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেয়ার কাজটি খুব যত্নের সঙ্গেই করা হচ্ছে। আর এটি ‘বিররান বি মাক্কাহ’ বা ‘মক্কার অধিবাসীদের প্রতি সদয় আচরণ’ প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত।
মক্কা ও মদিনা বিষয়ক অধিদফতরের প্রেসিডেন্ট শাইখ আব্দুর রহমান সুদাইসের নির্দেশে এবং মক্কা ও মদিনা সিটির সহযোগিতায় ‘রমজান ইফতার প্যাক’ নামে এ কার্যক্রম চালু হয়। মক্কায় যেটির দায়িত্বে আছে ‘বিররান বি মাক্কাহ্’ বা ‘মক্কার অধিবাসীরে প্রতি সদয় আচরণ’ আর ‘খাইরুল মদিনা’ নামে মদিনা শহরেও কার্যক্রম চালু আছে।
প্রসঙ্গত এখানে উল্লেখ করতে হয়, মক্কা-মদিনা বিষয়ক অধিদফতর সামাজিক ও মানবিক কল্যাণ বাস্তবায়নের নিমিত্তে নানা প্রকল্প পরিচালনা করে। যাতে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আদায়ের পাশাপাশি পবিত্র এ দুই শহরে বসবাসরতদের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.