সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    বাংলাদেশ থেকে ৪টি বিশেষ ফ্লাইটে নাগরিকদের ফেরত নেবে যুক্তরাজ্য!

    .com/

    পর্যটক, দর্শনার্থীসহ ব্রিটিশ নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল ঢাকা-লন্ডন রুটে চারটি বিশেষ বিমান পরিচালনা করবে যুক্তরাজ্য।  ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, বর্তমানে সিলেটে থাকা ব্রিটিশ দর্শনার্থীদের জন্য এসব ফ্লাইটের আগে অভ্যন্তরীণ রুটে সিলেট থেকে ঢাকায় আসার ক্ষেত্রে বুকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে। 

     প্রতিবছর কমপক্ষে দেড় লাখ ব্রিটিশ নাগরিক বাংলাদেশ সফর করে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত বিমানের বিধিনিষেধের কারণে বর্তমানে বাণিজ্যিক বিমানে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার সুযোগ নেই।  বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এক ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘ব্রিটিশ দর্শনার্থীদের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর জন্য বিশেষ বিমান কার্যক্রম শুরু করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’  এসব বিমান পরিচালনার ব্যয় যতটা সম্ভব কম রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনি ঢাকা বা সিলেট যেখান থেকেই যাত্রা শুরু করুন না কেন, জনপ্রতি বিমান ভাড়া পড়বে ৬০০ পাউন্ড।’  

    যুক্তরাজ্যে যেতে আগ্রহী ব্রিটিশ নাগরিকরা কর্পোরেট ট্র্যাভেল ম্যানেজমেন্ট (সিটিএম) বা ট্র্যাভেল ম্যানেজমেন্ট পার্টনারের মাধ্যমে এ বিমানগুলোর টিকিট বুকিং করতে পারবেন।  ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশি যে আমরা এই বিশেষ কার্যক্রমটি শুরু করতে পেরেছি। ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আমি আনন্দিত যে, খুব শিগগিরই আপনারা নিজ দেশ যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন’।  বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যুক্তরাজ্যসহ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার স্থগিতাদেশ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে।  চায়না সাউদার্ন এবং ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স 

    এখনও চীনে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তবে এগুলো শুধুমাত্র চীনা নাগরিকদের যাতায়াতের জন্য।  সর্বশেষ ভ্রমণ নির্দেশনা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের এসব বিশেষ ফ্লাইটে যেতে হলে একজনকে অবশ্যই যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে। টিকিট দেয়ার আগে বিষয়টি যাচাই করে নেয়া হবে।  প্রতিটি ফ্লাইটের টিকিট বুকিং ওই ফ্লাইট ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা আগে বন্ধ হয়ে যাবে এবং বিমানবন্দরে টিকিট বিক্রি হবে না।  ঢাকা বা সিলেট বিমানবন্দরে ভ্রমণের সময় সবাইকে অবশ্যই ফ্লাইট নিশ্চিতকরণ সম্পর্কিত কাগজ এবং পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে। 

     ভ্রমণ নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘একবার আপনার বুকিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেলে প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো চেক পয়েন্টে কর্তৃপক্ষকে দেখানোর জন্য আপনাকে ব্রিটিশ হাইকমিশনের একটি নথিও প্রদান করা হবে।’  এছাড়া ব্রিটিশ নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব যুক্তরাজ্যে ফেরার জন্য বিভিন্ন বিমান সংস্থা, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশন।  এর আগে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাতাদের পরিবারের সঙ্গে পুনরায় একত্রিত হওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় ঢাকা ত্যাগ করেন।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !