সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    বিশ্বে সামরিক ব্যয়ে তৃতীয় ভারত, দশের মধ্যে নেই পাকিস্তান!

    131340_bangladesh_pratidin_apache

    বিশ্বে সামরিক ব্যয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। তবে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ পাকিস্তান সামরিক বাজেটে তালিকার দশের মধ্যেও নেই। সুইডেনের ‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট’ বা সিপ্রি ২০১৯ সালে সামরিক খাতে বিভিন্ন দেশের খরচের তথ্য প্রকাশ করেছে। ওই তালিকায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। তবে প্রথমবারের মতো শীর্ষ তিনে এশিয়ার দুটি দেশের নাম এসেছে।

    ভারত তৃতীয় পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কে উত্তেজনা থাকায় ২০১৯ সালে ভারত সামরিক খাতে ৭১.১ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে, যা ২০১৮ সালে ছিল ৬৬.৫ বিলিয়ন ডলার। শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালে ব্যয় ৫.৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৩২ বিলিয়ন ডলার, যা পুরো বিশ্বের সামরিক ব্যয়ের ৩৮ শতাংশ। খরচ বাড়ার কিছু কারণের মধ্যে আছে পুরনো অস্ত্র ও পারমাণবিক বোমার সংগ্রহশালার আধুনিকীকরণ এবং প্রায় ১৬ হাজার নতুন সামরিক সদস্য নিয়োগ।

    এছাড়া চীনের জন্যও যুক্তরাষ্ট্র ব্যয় বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। চীন দ্বিতীয় সিপ্রির প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো সামরিক খাতে শীর্ষ তিন খরুচের তালিকায় এশিয়ার দুটি দেশের নাম এসেছে। তিনে থাকা ভারতের নাম আগেই বলা হয়েছে।

    সিপ্রির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন। ২০১৯ সালে তাদের ব্যয় ৫.১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৬১ বিলিয়ন ডলার। চতুর্থ রাশিয়া ২০১৯ সালে রাশিয়ার সামরিক ব্যয় সাড়ে চার শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৫.১ বিলিয়ন ডলার, যা দেশটির জিডিপির ৩.৯ শতাংশ। পঞ্চম সৌদি আরব আগের তালিকায় তিন নম্বরে ছিল সৌদি আরব। ২০১৯ সালে ১৬ শতাংশ ব্যয় কমিয়েছে দেশটি।

    গতবছর দেশটি ৬১.৯ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে৷ ইয়েমেনে সামরিক অভিযান ও ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে সৌদি আরবের সামরিক ব্যয় কমানোতে বিস্মিত হয়েছেন বিশ্লেষকরা। শীর্ষ পাঁচেই ৬২ শতাংশ সিপ্রি বলছে, ২০১৯ সালে সামরিক খাতে বৈশ্বিক খরচ ছিল ১৯১৭ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৬২ শতাংশই করেছে শীর্ষ পাঁচটি দেশ।

    প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি ২০১৯ সালে ২০১৮ সালের তুলনায় সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৩.৬ শতাংশ। এটি ২০১০ সালের পর কোনো এক বছরে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির হার। ইইউতে প্রথম ফ্রান্স, বিশ্বে ষষ্ঠ ২০১৯ সালে ফ্রান্স ৫০.১ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে, যা দেশটির জিডিপির ১.৯ শতাংশ। ২০১৮ সালে তাদের ব্যয় ছিল ৫১.৪ বিলিয়ন ডলার।

    সপ্তম জার্মানি ২০১৯ সালে জিডিপির ১.৩৮ শতাংশ ব্যয় করেছে জার্মানি, সংখ্যার হিসেবে যা ৪৯.৩ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালে ছিল ৪৬.৫ বিলিয়ন। অর্থাৎ, জার্মানির ব্যয় বেড়েছে ১০ শতাংশ, যা সিপ্রির তালিকার শীর্ষ ১৫টি খরুচে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

    রাশিয়ার কাছ থেকে হুমকি বাড়া এর একটি কারণ বলে মনে করছেন সিপ্রির বিশ্লেষকরা। অষ্টম যুক্তরাজ্য ২০১৯ সালে দেশটি জিডিপির ১.৭ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করেছে- ৪৮.৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ৪৯.৮ বিলিয়ন ডলার। শীর্ষ দশে এশিয়ার আরও দুই দেশ সিপ্রির তালিকায় শীর্ষ ১০ খরুচে দেশের তালিকায় নয় ও দশ নম্বরে যথাক্রমে আছে জাপান (৪৭.৬ বিলিয়ন ডলার) ও সাউথ কোরিয়া (৪৩.৯ বিলিয়ন ডলার)। সূত্র: ডয়েচে ভেলে ও সিপ্রি

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !