সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    পিপিই সংকট: পলিথিন পরেই চিকিৎসা দিচ্ছেন ব্রিটিশ ডাক্তাররা

    image-290766-1584596676

    মহামারীতে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মোকাবেলায় হিমসিম খাচ্ছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বজুড়ে দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় অতিরিক্ত চাপ পড়ছে চিকিৎসক-নার্সদের ওপর। নিজেদের সঠিক নিরাপত্তা না থাকা সত্ত্বেও পলিথিন দিয়ে পিপিই বানিয়েই চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকরা। বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) চাহিদার তুলনায় কম থাকায় দেশটির ডাক্তাররা পলিথিন পরেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। দেশটিতে আইসিইউ বাড়াচ্ছে সরকার। তবে তাদের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি কম থাকায় নিজেদের বাঁচাতেই এ উদ্যোগ। নাম না প্রকাশ করা শর্তে যুক্তরাজ্যের এক চিকিৎসক বিবিসিকে জানান, দেশটিতে খাদের কিনারায় থাকা একটি হাসপাতালের আইসিইউ কোভিড-১৯ রোগীতে পরিপূর্ণ। ওই হাসপাতালটিতে স্বাস্থ্যকর্মী, রোগীর বিছানা, সাধারণ এন্টিবায়োটিক ও ভেন্টিলেটরের অভাব আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস ১৪-১৫ এপ্রিলের মধ্যে বড় আঘাত হানবে। বিশ্লেষকদের ভাষায় যেটাকে বলা হচ্ছে ‘পিক টাইম’। 

    খবরে বলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যে ব্যক্তিগত সুরক্ষা দেয়া সরঞ্জামের অভাব প্রকট, এমনও হয়েছে যে পিপিইর অভাবে ময়লা ফেলার পলিথিন, প্লাস্টিকের অ্যাপ্রোন ও স্কিইং করার চশমা পরে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন তারা। যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই করোনাভাইরাস আক্রান্ত হতে পারেন এমন ব্যক্তির থেকে ২০ সেন্টিমিটারের মতো দূরত্বে থেকে কাজ করছেন চিকিৎসকরা; যেখানে সাধারণ মানুষকে বলা হচ্ছে ২ মিটার হতে হবে ন্যূনতম দূরত্ব। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওই ডাক্তার জানিয়েছেন, মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে তাদের জীবনে সেটা এখনই ভাবাচ্ছে। তারা এখন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছেন। নিজেদের পিপিই নিজেরাই তৈরি করছেন। তিনি বলেন, এটা বাস্তব চিন্তা, নিবিড় চিকিৎসা যে সব নার্স দিচ্ছেন তাদের এটা এখনই প্রয়োজন। তারা যেখানে কাজ করছেন সেখানে ভাইরাস অ্যারোসলের মতো করে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের বলা হচ্ছে খুব সাধারণ টুপি পরতে যেটায় ছিদ্র আছে। যেটা কোনো সুরক্ষাই দিচ্ছে না। এটা প্রচণ্ড রকমের ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কর্মীরা বিনের ব্যাগ ও অ্যাপ্রোণ পরে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা পহেলা এপ্রিল ১০ লাখ মাস্ক বিতরণ করেছে বলে জানিয়েছে এনএইচএস। তবে সেখানে মাথার সুরক্ষা ও গাউনের কথা বলা হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব লন্ডনের হেলথ কেয়ার সহকারী থমাস হারভে, সেন্ট্রাল লন্ডনের প্রফেসর মোহাম্মদ সামি সৌশা, দক্ষিণের ড. হাবিব জাইদি, পশ্চিম লন্ডনের ড. আদিল এল তাইয়ার এবং লেস্টারের ড. আমজেদ এল হাওরানি মারা গেছেন।a

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !