ঘরে ফিরলেই কোলে চড়ার জন্য বায়না ধরে শিশুরা। তবে বর্তমানে করোনাভাইরাসে যে ভয়াবহ রুপ নিয়েছে, তাতে শিশুদের কোলে নেয়া ও আদর করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
আপনার সামান্য অসাবধানতার কারণে আদরের শিশুটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। করোনা সংক্রমণ রোধে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে। তাই এখন তাদের চুমু না খাওয়াই ভালো।
করোনাভাইরাস লালারসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। কোনোভাবে আপনি যদি করোনার জীবাণু বহন করেন, সবার প্রথমে তা বাসা বাঁধবে নাক, নেসো ফ্যারিংস আর গলাতেই।
সে ক্ষেত্রে কথা বলতে বলতে মুখের কাছে মুখ নিয়ে আদর করার সময় বড়দের শরীর থেকেও ছোটদের শরীরে সংক্রমিত হয়ে যেতে পারে জীবাণু। আর ওদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকার কারণে সহজেই আক্রান্ত হতে পারে।
আসুন জেনে নিই শিশুদের আদর করতে গেলে কীভাবে সংক্রমণ ছড়াতে পারে?
১. আদর করার সময় গালে ও মুখে হাতের স্পর্শ থেকে করোনাভাইরাস আমাদের হাত থেকে শিশুর গালে লাগলে সেখান থেকে পরে নাক, চোখ ও মুখে প্রবেশ করতে পারে।
২. আদর করার সময় কথা বলতে বলতেই সাধারণত সবাই আদর করে। কথা বলার সময় যে ড্রপলেট তৈরি হয় তা অত্যন্ত সহজে পৌঁছে যায় শিশুটির নাক ও মুখে। সেখান থেকেই সোজা ঢুকে পড়ে শ্বাসনালিতে।
৩. আদর করার সময় কোনোভাবে লালা নাক ও মুখে লেগে সংক্রমিত হতে পারে রোগ।
৪. শিশুরা কাঁদলে আমরা অনেক সময় হাত দিয়ে বা শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখের পানি মুছে দিই।
ভেবেছেন কী হাত বা শাড়ির আঁচল কতটা পরিষ্কার? কী করবেন?
১. বাইরে থেকে এসে জামাকাপড়, হাত ও মুখ সাবান দিয়ে ধুয়ে তবে শিশুদের কাছে আসুন।
২. শিশুদের দূর থেকে চুমু দিতে শিখিয়ে দিন। মুখে মুখ লাগিয়ে চুমু খাওয়ার চেয়ে ওটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
৩. মুখ দিয়ে লালা বেরিয়ে এলে তা হাত ও শাড়ির আঁচল বা সালওয়ারের ওড়নাতেও না মুছে টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন।
৪. চোখের পানি মোছাতেও টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.