কেরালার কাছ থেকে যা শিখতে পারে গোটা বিশ্ব
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভারতের কেরালা রাজ্যের গৃহীত পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। প্রশংসায় ভাসছে ‘কেরালা মডেল’। ব্যাপক হারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা লোকজনকে দ্রুত খুঁজে বের করা, দীর্ঘ সময় কোয়ারেন্টিন–ব্যবস্থার পাশাপাশি হঠাৎ লকডাউনের কারণে আটকে পড়া হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিকের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা ও কয়েক লাখ শ্রমিকের কাছে নিয়মিত খাবার পৌঁছানোর মতো মানবিক উদ্যোগের কারণেই করোনা মোকাবিলায় সফল হয়েছে কেরালা।
তাদের গৃহীত পদক্ষেপগুলো কীভাবে পুরো বিশ্বের জন্য করোনা মোকাবিলায় শিক্ষণীয় হতে পারে, তা তুলে ধরা হয়েছে এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ। এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) একটি সাময়িকী। ১৮৯৯ সাল থেকে প্রকাশিত এই সাময়িকীর সম্পাদকীয় স্বাধীনতা আছে এবং এমআইটি এ ক্ষেত্রে কোনো হস্তক্ষেপ করে না। এমআইটির বিশ্লেষণে বলা হয়, কেরালায় অভিবাসনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
সেখানে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীরা নিয়মিত যাতায়াত করেন। নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে কেরালাতেও শুরু হয়েছিল সংকট। চীনের উহান থেকে আসা এক মেডিকেল শিক্ষার্থী প্রথম সেখানে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হন। জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে ওই রোগী শনাক্ত হওয়ার আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল সেখানে। তারা আগে থেকেই এ ধরনের পরিস্থিতিতে করণীয় ও কর্মপরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছিল। করোনার আক্রমণ টের পাওয়ার পরপরই তারা কাজে নেমে পড়ে। ভয়াবহ মহামারির বিরুদ্ধে অবশ্য কেরালার আগে থেকেই লড়াই করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১৮ সালে নিপা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে কেরালাকে। বাদুড় থেকে উদ্ভূত ওই ভাইরাস মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়েছিল।
সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার আলোকে কেরালা এবার প্রস্তুত ছিল। করোনাভাইরাসের যেখানে কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন নেই, সেখানে কেরালা এর প্রতিরোধে ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যে সাফল্য দেখিয়েছে, তা অনুকরণীয়। প্রযুক্তিগত ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ মহামারি ব্যবস্থাপনার জন্য কেরালাকে ‘সাফল্যের মডেল’ হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.