দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে অংশ নেয়া তাবলিগ জামাতের সদস্য ১২ জন বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৪৬ সালের ফরেনার্স অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, এই বাংলাদেশি নাগরিকরা দিল্লির তাবলিগ জামাতের সমাবেশে সমাবেশে অংশ নেন। পরে সেখান থেকে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় চিল্লায় বেরিয়েছিলেন তারা। রাজ্যের শামলি জেলার একটি মসজিদ থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে একটি সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে আটক রেখেছে।
এই ১২জনের মধ্যে অন্তত দুজন ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, বাকিদেরও পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। শামলির পুলিশ প্রধান ভিনিত জয়সোয়াল বিবিসিকে জানিয়েছেন, পর্যটক ভিসা নিয়ে ভারতে প্রবেশ করার পর এই বিদেশি নাগরিকরা বেআইনিভাবে ধর্মীয় কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছেন, এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, যে দুজন বাংলাদেশি নাগরিক এর মধ্যেই করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, তাদের এখন রাখা হয়েছে ঝিনঝিনা-র একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আইসোলেশন ওয়ার্ডে।
ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে বিশেষভাবে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্যই প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে তাবলিগের সদস্যরা অসহযোগিতা করছেন অভিযোগ করে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল সিকিওরিটি অ্যাক্টের মতো কড়া আইন প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাবলিগ জামাতের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের এই কঠোর নীতির অংশ হিসেবেই ১২ জন বাংলাদেশির বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছে, যে বিদেশিরা পর্যটক ভিসা নিয়ে ভারতে ঢুকে মারকাজে অংশ নিয়েছেন – তাদের প্রত্যেককে কালো তালিকাভুক্ত করে ভারতে প্রবেশ চিরতরে বন্ধ করে দেয়া হবে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.