সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    শ্রীকৃষ্ণ কি রাধাকে ধর্ষন করেছিল?


    ভাগ্নে কৃষ্ণ তার মামী রাধে কে বলছে-"রাধে, তোমার এই নব যৌবনের সুষমা অহরহ আমার মনে জাগিতেছে। তাহাতে আবার তোমার সহিত রমণেচ্ছা প্রবল হইয়া আমার হৃদয়কে অতিমাত্রায় কর্ষণ করিতেছে।" অ হ্যাঁ বলছিলাম কি, কৃষ্ণ রাধার ভাগ্নে হল কি করে?

    এমন ডাহা মিথ্যা কথা কি করে বানাও তুমিি? - সেটাই তো বলতে চাচ্ছিলাম... চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন এর বৃন্দাবন খণ্ডে পাওয়া যায় : মামা যখন রাধেকে বিয়ে করতে যায় তখন মামার কোলে ছিলো শিশু কৃষ্ণ। রাধে ফুলের মাল্য হাতে নিয়ে ৭পাক দিয়ে মামার গলায় ছস্ট বার পরিধান করায়।

    ৭ম বারে ভূল করে রাধে মালা পরিয়ে দেয় শ্রী কৃষ্ণের গলায়।, আর এতেই শ্রীকৃষ্ণ বড় হয়ে লুচ্চামির সুযোগ খুজে বেড়ায়! অতপর যৌবনের পদার্পনে লুচ্চা তার মামীর যৌনসুধা পানের নেশায় মামীর পেছনে লেগে যায়!! আমার কথা হলো ৬বার মাল্যদানে যদি মামা রাধের স্বামী হতে পারেনি, তবে একবার মাল্য দানে কৃষ্ণা কি করে তার সাথে পরিনয় ঘটায়??

    আসুন লুচ্চার দোখানি সোলক পড়ি!!

       .............................................
    এ তোর নব যৌবনে ল আহোনিশি জাগে মোর মনে। তাহাত তোক্ষা রমণে ল খেতি করে আক্ষার পরাণে\\ \\ শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন (চণ্ডীদাস বিরচিত) : বৃন্দাবন খণ্ড পৃষ্ঠা-৮৯

    \\ (শব্দার্থ : আহোনিশি- অহরহ, তোক্ষা - তোমার, খেতি করে - কর্ষণ করে বা আঘাত করে, আক্ষার - আমার) অর্থ : "রাধে, তোমার এই নব যৌবনের সুষমা অহরহ আমার মনে জাগিতেছে। তাহাতে আবার তোমার সহিত রমণেচ্ছা প্রবল হইয়া আমার হৃদয়কে অতিমাত্রায় কর্ষণ করিতেছে।" (শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন : ভাষাসবর্্বস্ব টীকা-২৫২পৃষ্ঠা)

    শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তনের যমুনা খণ্ডে বলা হয়েছে :

    আহা। গোপীর বসন হার লয়িআঁ দামোদর। উঠিলা গিআঁ কদম্ব তরুর উপর \\ তথাঁ থাকী ডাক দিআঁ বুইল বনমালী। কি চাহি বিকল হঅ সকল গোআলী \\১\\ নিকট আইস মোর মরণ সব গোপীগণে। আজি কথা সুণ মোর মরণ জীবনে \\ধ্রু\\ দেখি[ল] হরষে তা সব গোপযুবতী। গাছের উপরে কাহ্নাঞিঁ উল্লাসিত মতী \\ হরিআঁ গোপীর হার আঅর বসনে। হাসে হাসি খলখলি কাহ্নাঞিঁ গরুঅ মনে \\২\\ কুলে পরিধান নাহি দেখি গোপনারী। হৃদঞঁ জানিল তবে নিলেক মুরারী \\ তবে বড় গল করী বুইল জগন্নাথে। তোক্ষার বসন হের আক্ষার হাতে \\৩\\ যাবত না উঠিবেঁহে জলের ভিতর। তাবত বসন নাহি দিব দামোদর \\ এহা জাগী তড়াত উঠিআঁ নেহ বাস। বাসলী শিবে বন্দী গাইল চণ্ডীদাস\\৪\\ \\ শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন : যমুনা খণ্ড \\ পাহাড়ীআরাগ \\ পৃষ্ঠাঃ ১০২\\

    - এখানে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের বর্ণনা করা হয়েছে। রাধা তার অষ্ট সখিদের নিয়ে পুকুরে স্নান করতে যায়। সখিরা তাদের নিজ নিজ বসন খুলে বিবস্ত্র হয়ে জলেতে নামিল। বিবস্ত্র হয়ে জলে নামার কথাটা উল্লেখ আছে পরের শ্লোকে। পৃষ্ঠা : ১০৩,

    ধানুষীরাগ : \\ একতালী\\ আল বড়ায়ি সাত পাঁচ সখিজন লআঁ। জলেত ণাম্বিলী লাঙ্গট হআঁ \\ল\\

    .............................................

    \\ শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তন : যমুনা খন্ড : পৃষ্ঠা : ১০৩ : ধানুষীরাগ :\\

    (শব্দার্থঃ কদম্ব তরুর- কদম গাছ, তোক্ষার- তোমার, আক্ষার- আমার, যাবত- যতক্ষণ, উঠিবেঁহে- উঠিয়া আসিবে, জলের ভিতর- জল থেকে, তড়াত- তাড়াতাড়ি করে, বুইল- বলল, দিআঁ- দিয়ে, গিআঁ- গিয়ে, দামোদর - কৃষ্ণ, করী- করে, লআঁ- নিয়ে, ণাম্বিলী- নামিল, লাঙ্গট- উলঙ্গ।) এখানে, তোক্ষার বসন আক্ষার হাতে \\৩\\ তোমার কাপড় আমার হাতে। যাবত না উঠিবেঁহে জলের ভিতর। যতক্ষণ না উঠিয়া আসিবে জল থেকে। তাবত বসন নাহি দিব দামোদর \\ ততক্ষণ কাপড় নাহি দিবে কৃষ্ণ।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !