লকডাউন শিথিল হলো মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে!
বিশ্বজুড়ে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তারকারী করোনার প্রকোপ কিছুটা হলেও কমেছে। আর তাই বিশ্বের অনেক দেশই জারিকৃত কারফিউ, লকডাউন বা ছুটির কড়াকড়ি শিথিল করা শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশেও নেয়া হয়েছে একই ধরনের ব্যবস্থা। অনেক জায়গাতেই খুলে দেয়া হয়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শিল্পকারখানা।
তবে সব খুলে দেয়া হলেও স্বাস্থ্য সতর্কতা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করারও চেষ্টা রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের যেসকল দেশে লকডাউন শিথিল হচ্ছে- ইরান: করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় অন্যতম দেশ ইরান। ইতোমধ্যেই সেখানে ছয় হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, আক্রান্ত প্রায় এক লাখ।
তবে গত কয়েকদিনে সংক্রমণের হার কিছুটা কমে আসায় বেশ কিছু এলাকায় লকডাউন শিথিল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু ও মসজিদ খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। সৌদি আরব: সৌদি আরবে ২৯ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সবধরনের পাইকারি ও খুচরা পণ্য বিক্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা থাকবে।
বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলবে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। বাহরাইন: রমজানের শুরু থেকেই কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে বাহরাইন। তবে বাইরে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে দেশটিতে। তবে গত ৯ এপ্রিল থেকেই কিছু দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দিয়েছে বাহরাইন সরকার।
সংযুক্ত আরব আমিরাত: আমিরাতে সীমিত সংখ্যক ক্রেতা রাখার শর্তে কিছু শপিংমল খুলে দেয়া হচ্ছে। গত শনিবার আবুধাবির তিনটি শপিংমলে শারীরিক তাপমাত্রা মেপে ৩০ শতাংশ ক্রেতা প্রবেশ করতে দেয়া হয়। দেশটিতে বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলো খোলা থাকবে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
তবে খাবারের দোকান ও ফার্মেসিগুলো খোলা থাকবে ২৪ ঘণ্টাই। লেবানন: সোমবার থেকে রেস্টুরেন্টগুলো ৩০ শতাংশ ক্রেতা প্রবেশের শর্তে খুলে দিয়েছে লেবানন। তবে ক্যাফে, ক্লাব ও বারগুলো অন্তত জুন মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
ইসরায়েল: গত রোববার থেকে ইসরায়েলের কিছু এলাকায় স্কুলগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশটির ৮০ ভাগ স্কুল খুলে দেয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.