যে কারণে ব্রাজিলে এক মাসেই ২ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ!
করোনায় মৃত্যু |
বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যেই ব্রাজিলে এক মাসের মাথাতেই দুই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দেশটির সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেলসন টেইক পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সিএনএন জানিয়েছে, লকডাউন নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধের জেরেই নেলসন টেইক পদত্যাগ করেছেন। ঠিক একই কারণে গত মাসে পদত্যাগ করেন সে সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুইজ হেনরিক মেন্ডেটা। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশটির প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো লকডাউনকে সমর্থন করেন না।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মহামারী সংক্রমণের চরম অবস্থায় জিম এবং বিউটি পার্লার কোলার খোলার অনুমতি দেন প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো। এতে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেলসন টেইক। তিনি প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেন।
এর আগে ব্রাজিলে করোনা রোগীদের জন্য ‘হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন’ওষুধ বড় পরিসরে ব্যবহারে প্রেসিডেন্টের বিরোধিতা করেছিলেন টেইক। সে সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে একমত হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন করোনা রোগীর বেলায় এ ওষুধের কার্যকর প্রমাণ নেই।
সর্বশেষ জিম, বিউটি পার্লার ও সেলুন খুলে দেয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর সঙ্গে মতানৈক্য দেখা দেয় ও সম্পর্কে ফাটল ধরে টেইকের। যে কারণে বরখাস্তের আগেই পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। যদিও পদত্যাগের বিষয়ে কোনো কারণ উল্লেখ করেননি নেলসন টেইক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, জীবনটা নানা সিদ্ধান্তে পরিপূর্ণ। আমি আজ এই সিদ্ধান্ত নিলাম। গত এপ্রিলে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুইজ জনগণকে সামাজিক দূরত্ব অবলম্বন এবং বাড়ির ভেতরে থাকার জন্য অনুরোধ করায় প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করেছিলেন বোলসোনারো। সেসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথা ও পদক্ষেপে খুশি হননি তিনি।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে, তা নিয়ে দুজনে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এরপরই লুইজকে বরখাস্ত করেন বোলসোনারো। উল্লেখ্য, করোনা ব্রাজিলে যতওই তাণ্ডব চালিয়ে যাক না কেন এ ভাইরাসকে ‘সামান্য ফ্লু’ বলে মন্তব্য করে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো।
বর্তমানে লকডাউন বিরোধীদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। প্রসঙ্গত, লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত ব্রাজিল। আক্রান্তের তালিকায় ৬ষ্ঠ অবস্থানে আছে দেশটি।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারসে দেয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.