হোয়াইট হাউসে মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছেন ট্রাম্প!
হোয়াইট হাউসের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের পর সেখানকার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের এক সহকারী এবং ট্রাম্পের এক উপদেষ্টার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জরুরিভিত্তিতে ওই ঘোষণা দেন। খবর বিবিসির।
তবে সোমবার হোয়াইট হাউসের রোজগার্ডেনে এ ঘোষণা দেয়ার সময় ট্রাম্প নিজেই মাস্ক পরেননি। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, আমার মাস্ক পরার দরকার নেই। কারণ আমি সবার কাছ থেকে অনেক দূরে থাকি। তবে অন্যদের এখন থেকে অবশ্যই মাস্ক পরে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন এখানে শত শত মানুষের আগমন ঘটে। কে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস নিজের অজান্তে আক্রান্ত হয়ে অন্যদের ছড়িয়ে দিচ্ছে তা বামরা বলতে পারছি না। হোয়াইট হাউসে করোনা টাস্কফোর্সের তিন সদস্যও এখন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
এ ছাড়া কোভিড-১৯ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোকাল, সেই ডা. অ্যান্থনি ফাউসি হোম কোয়ারেন্টিনে গেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের (এনআইএআইডি) পরিচালক ও হোয়াইট হাউসের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং করোনাভাইরাসবিষয়ক টাস্কফোর্সের অন্যতম সদস্য।
এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকায় সেলফ কোয়ারেন্টিনে গেছেন হোয়াইট হাউসের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড এবং খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনের (এফডিএ) কমিশনার স্টিভেন হান হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
এবার তাদের সঙ্গে যোগ দিলেন ড. অ্যান্থনি ফাউসি। ডা. ফাউসি সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি কেটি মিলারের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও ভাষণ লেখক (স্পিচ রাইটার) স্টিফেন মিলারের স্ত্রী কেটির শরীরে গত শুক্রবার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এতে হোয়াইট হাউসের মধ্যেও প্রাণঘাতী ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.