তারকাদের রহস্যময় মৃত্যু!
মৃত্যু অমোঘ সত্য। এর হাত থেকে কেউই বাঁচতে পারে না। কিন্তু প্রতিটি মানুষই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চায়। অথচ নিয়তির নির্মম পরিহাস, নির্মমভাবে পৃথিবীকে বিদায় জানাতে হয় অনেককেই। অনেকের মৃত্যুর পেছনেই থাকে স্বার্থ, প্রতিহিংসা কিংবা রহস্যজনক কোনো ঘটনা। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অনেক খ্যাতিমান মানুষ রয়েছেন, যাদের মৃত্যুর মূল রহস্য আজও অজানাই রয়ে গেছে।
দিব্যা ভারতী
>> উঁচু ভবন থেকে পড়ে গিয়েছিলেন
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী। যিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তামিল সিনেমা ববি রাজায় কাজ করেন। পরবর্তীতে শোলা অর শাবনাম, দিল আসান হে, দিওয়ানার মতো সুপারহিট সিনেমার মাধ্যমে সফলতা পেয়েছেন। কিন্তু মাত্র ১৯ বছর বয়সে রহস্যময়ভাবে তার মৃত্যু হয় ৫ এপ্রিল, ১৯৯৩। দিব্যার মৃত্যু হয় মুম্বাইয়ের বারসোভার পাঁচতলা বিল্ডিং থেকে পড়ে যাওয়ার ফলে। কয়েকজন মনে করেন এটা আত্মহত্যা। আবার অনেকের মতে ষড়যন্ত্র করে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে মুম্বাই পুলিশ এই ক্ষেত্রে প্রমাণ সংগ্রহ করতে সফল হননি। ১৯৯৮ সালে এই মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যারা পুরো বিষয়টি ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখেছিলেন তারা স্বামী সাজিদ নাদিয়াওয়ালার ওপর আঙ্গুল তুলছিলেন। আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গেও মামলাটি জুড়ে দেখা হচ্ছিল।
মাইকেল জ্যাকসন
>>সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলে যে মৃত্যু
মার্কিন পপতারকা মাইকেল জ্যাকসন মাত্র পাঁচ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে পেশাদার সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি তখন জ্যাকসন ফাইভ নামের সংগীত দলে গাইতেন। ১৯৭১ সাল থেকে শুরু সলো ক্যারিয়ার তার গাওয়া পাঁচটি সংগীত অ্যালবাম বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত রেকর্ডের মধ্যে রয়েছে।
তাকে পপসংগীতের রাজা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ১৯৮০-এর দশকে মাইকেল সংগীতশিল্পীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছান। মাইকেল দুইবার রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেইমে নির্বাচিত হন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে মাইকেল সর্বকালের সবচেয়ে সফল শিল্পী। ২০০৯ সালে মাইকেল জ্যাকসন রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর জন্য দায়ী মার্কিন চিকিৎসক ড. কনরাড পার বছরের জন্য কারারুদ্ধ হন। এই চিকিৎসকই দাবি করেছেন, তারকার মৃত্যুর জন্য তার প্যারামেডিকরাই দায়ী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার লেখা নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করে মুরে। আর সে বইয়ে এমনটাই দাবি করেছেন জ্যাকসনের চিকিৎসক। জেল খেটে নতুন চেহারায় বের হয়েছেন তিনি। ওই হৃদয়বিদারক ঘটনা নিয়ে তিনি কি দাবি করেন তা মানুষের সামনে তুলে আনতে চান।
সালমান শাহ
>> আত্মহত্যা নাকি খুন
তিনি ১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নায়ক। প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। ১৯৮৫ সালে টেলিভিশন নাটক দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হলেও পরে বাংলা চলচ্চিত্রের সেরা নায়ক হয়ে ওঠেন। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় ২৭টি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ছাড়াও বেশকিছু দর্শকনন্দিত নাটকে অভিনয় করেন। খ্যাতির চূড়ায় থাকা অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ইস্কাটনের নিজ বাসভবনে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায় সালমান শাহর। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হলেও তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য এখনো কাটেনি। সালমান শাহর মৃত্যুর জন্য তার স্ত্রী সামিরা দায়ী বলে অভিযোগ করেন মা তার। এমনকি পরবর্তীকালে সালমানের পরিবারের পক্ষ থেকে স্ত্রী সামিরা ও আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর প্রায় ২২ বছর কেটে গেলেও সালমানের মৃত্যুরহস্য উদঘাটিত হয়নি। সালমানের মা প্রথম থেকেই সালমানকে খুন করা হয়েছে বলে খুনিদের বিচার দাবি করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এক সময়ের জনপ্রিয় এ অভিনেতার বিরুদ্ধে হওয়া ষড়যন্ত্রের বিচার কোনো অজানা কারণে আজও হয়নি। সম্প্রতি সালমান হত্যা মামলার এক আসামি রুবির একটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও প্রকাশ পেলে সালমানের হত্যারহস্য আবার নতুন করে আলোচনায় আসে।
পারভিন ববি
>> ছিলেন মানসিক রোগী
পারভিন ববি হলো বিস্মৃতির আড়ালে হারিয়ে যাওয়া একটি নাম। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন ডাক্তাররা। পাকস্থলীতে মদ ছাড়া অন্যকিছু পাওয়া যায়নি। একলা ঘরে কয়েকদিন পড়েছিল পারভিন ববির লাশ। সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত হওয়ায় ঘরে একটা কাজের লোকও রাখতেন না তিনি। মানসিক সমস্যাটা তাকে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে দেয়নি। জীবিত পারভিন ববিকে একটা সময়ের পর সবাই এড়িয়ে চলেছে। মৃত্যুর পরও কেউ আসেনি তার দেহের সৎকার করতে। ভালোবাসার টানে ছুটে এসেছিলেন শুধু একটা মানুষ, তিনি মহেশ ভাট। তিনিই উপস্থিত থেকে পারভিনের দাফনের ব্যবস্থা করেন। বলিউডের ‘ওহ লামহে’ নামের চলচ্চিত্রটি ছিল পারভিনের সেমি বায়োগ্রাফি ফিল্ম।
মার্ক স্যালিং
>> অনুশোচনায় মৃত্যু
আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের তুজুঙ্গা নদীর পাশের একটি এলাকায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সংগীতভিত্তিক কমেডি-ড্রামা টেলিভিশন সিরিজ ‘গ্লি’র অভিনেতা মার্ক স্যালিংয়ের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, এই অভিনেতা আত্মহত্যা করেছেন। স্যালিংয়ের আইনজীবী মাইকেল জে প্রেক্টর তার মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমকে জানান। স্যালিংয়ের আইনজীবী জানান, জীবনের গুরুতর কিছু ভুলের জন্য তিনি অনুশোচনায় ভুগছিলেন এবং সম্ভবত তারই প্রায়শ্চিত্ত করার চেষ্টা করেছেন আত্মহত্যা করে। এদিকে আত্মহত্যা নাকি খুন হয়েছেন স্যালিং সেটি তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনো প্রকাশ হয়নি।
মেরিলিন মনরো
>> এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি কেউ
এযাবৎকালের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অভিনেত্রী মনে করা হয় মেরিলিন মনরোকে। চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় এই মহাতারকার। ১৯৬২ সালের ৫ আগস্ট মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই মারা যান তিনি।
কারও ধারণা তিনি খুন হয়েছেন। তবে, অধিকাংশই মনে করেন মাত্রাতিরিক্ত মাদকাসক্তিই তার জীবন কেড়ে নিয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেন গাদাখানেক ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্ম নেওয়া মনরোর আসল নাম নর্মা জেন মর্টেনসন। মনরোর মা গ্লাডিস পার্ল বেকার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নেগেটিভ কাটার হিসেবে কাজ করতেন। দুইবার বিয়ে হয়েছিল তার। তবে, মনরোর পিতার পরিচয় অজ্ঞাত। মনরোর দুই ভাইবোন ছিল। রবার্ট ও বার্নিস ছিল তাদের নাম। মনরো অবশ্য খুব কমই নিজের ভাইবোনের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছিলেন।
বড় একটা সময় তাকে কাটাতে হয় অনাথ আশ্রমে।
বাইরের গণমাধ্যমগুলোর ভাষ্য অনুযায়ী ১১ বার পালক পিতা-মাতা পাল্টাতে হয়েছে মনরোকে। শিশু বয়স থকেই অনেক অবহেলায় বড় হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। ১৯৪২ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সেই মনরোর বিয়ে হয়। স্বামীর সংসার শুরু করেন মনরো। স্বামী জেমস ডগার্থির সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো ছিল না। বিয়ে খুব বেশিদিন টেকেনি। মোটকথা তার জীবনটা শুরুই হয়েছিল একরকম অভিশাপের মধ্য দিয়ে।
পরবর্তীতে সব ছেড়েছুড়ে ১৯৪৬ সালে মডেলিং শুরু করেন মনরো। ১৯৪৭ সালে টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স স্টুডিওর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দুনিয়া কাঁপানো শুরু করেন। ১৯৫০ সালে ‘অল অ্যাবাউট ইভ’ সিনেমায় প্রথমবার তাকে দেখা যায়। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই তারকাকে। হয়ে উঠেন মহাতারকা।
১৯৫৭ সালে মুক্তি পায় বিখ্যাত সিনেমা ‘দ্য সেভেন ইয়ার ইচ’। এই চলচ্চিত্রটির জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি পান মনরো। ‘হাও টু ম্যারি আ মিলিয়নিয়ার’, ‘দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য শোগার্ল’ ইত্যাদি সিনেমায়ও তিনি প্রশংসিত হন। ‘সাম লাইক ইট হট’ ছবির জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার পান। তবে মনরো একাডেমি অ্যাওয়ার্ড পাননি।
অভিনয় জীবন শুরু করার পর দুইবার বিয়ে করেন মনরো। ১৯৫৪ সালে জো ডিম্যাজ্জিওর সঙ্গে এক বছর সংসার করেন। এরপর ১৯৫৬ সালে বিয়ে করেন আর্থার মিলারকে। পাঁচ বছর সংসার করেন তার সঙ্গে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডির সঙ্গে মনরোর সম্পর্ক ছিল জানা যায়। দুইজন গোপনে মিলিত হতেন। তাদের একান্ত ছবি মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছিল। রাষ্ট্রপতির জন্মদিনে মনরো যে পোশাক পরেছিলেন সেটি ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশি মূল্যমানে প্রায় ১০ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি হয়।
মনরোর মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় স্বামী ডিম্যাজ্জিও প্রতীজ্ঞা করেন বেঁচে থাকলে ২০ বছর সাবেক স্ত্রীর কবরে ফুল দেবেন তিনি। সেই কথা রেখেছিলেন তিনি!
এলভিস প্রিসলি
>> মাদকদ্রব্যই হয়তো মৃত্যুর কারণ
বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়কদের একজন এলভিস প্রিসলি। তার গাওয়া প্রথম একক গান ১৯৫৬ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি পেয়েই আমেরিকান টপচার্টের শীর্ষে স্থান করে নেয়। এরপর তিনি টেলিভিশনে গান শুরু করেন। কণ্ঠশিল্পীর পাশাপাশি তিনি একজন চলচ্চিত্র অভিনেতাও ছিলেন। তার ব্যান্ডদলের নাম ছিল ‘দ্য ব্লু মুন বয়েজ’। এ দলের সদস্য সংখ্যা ছিল তিনজন। ১৯৫৮ সালে তিনি বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২ বছর পর তিনি সেনাবাহিনী ছেড়ে আবার সংগীত জগতে ফিরে আসেন কিছু তুমুল জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে। তিনি জীবনের শেষদিকে এসে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে জানা যায়। ১৯৭৭ সালের ১৬ আগস্ট হঠাৎ করেই মৃত্যু ঘটে এলভিস প্রিসলির। তার রহস্যজনক মৃত্যুর পর অনেকেই মাদকদ্রব্যকেই তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে অভিহিত করেন।
জিম মরিসন
>> যে মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল পৃথিবীকে
সেলিব্রেটিদের রহস্যজনক মৃত্যুর তালিকায় এবারের নামটি জিম মরিসনের। তালিকার অন্য দুই নাম মাইকেল জ্যাকসন এবং এলভিস প্রিসলির মতো তিনিও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ছিলেন। তার পুরো নাম জেমস ডগলাম মরিসন। ৮ ডিসেম্বর, ১৯৪৩-এ জন্ম নেওয়া মরিসন কেবল একজন গায়কই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একাধারে একজন সংগীতশিল্পী, গীতিকার, লেখক, চলচ্চিত্র পরিচালক এবং কবি। তিনি বেশি পরিচিত ছিলেন আমেরিকান রক ব্যান্ড দ্য ডোরসের প্রধান গায়ক ও গীতিকার হিসেবে। তাকে রক সংগীতের অন্যতম অগ্রদূত হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি বেশকিছু কবিতার বই রচনা করেন এবং একটি তথ্যচিত্র, একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও তিনটি মিউজিক ভিডিওর নির্মাতা। মরিসন মাত্র ২৭ বছর বয়সে প্যারিসে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যু পৃথিবীর মানুষকে দারুণভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল।।
সিল্ক স্মিতা
>> রয়ে গেছেন নিষিদ্ধ মুখ হয়েই
এক সময় অভাবের তাড়নায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পড়াশোনা। অন্ন সংস্থানের জন্যই ছবিতে শরীর প্রদর্শন। জনপ্রিয়তা পেয়েছেন কৌলীন্য পাননি। সমাধান হয়নি মৃত্যুরহস্যের। তিনি সিল্ক স্মিতা। ১৯৯৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সিল্ক স্মিতার ফোন পান বান্ধবী অনুরাধা। তাকে ডেকেছিলেন স্মিতা। কিন্তু নৃত্যশিল্পী অনুরাধা যেতে পারেননি। আর দেখা হয়নি। পরের দিন চেন্নাইয়ে নিজের বাড়িতে পাওয়া যায় নিথর সিল্ক স্মিতাকে। কেউ কেউ বলেন চলচ্চিত্র প্রযোজনা করতে গিয়ে ঋণের জালে পড়েছিলেন সিল্ক স্মিতা। এই থেকে তিনি দিন দিন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সেই হতাশা থেকেই আত্মঘাতী হন তিনি। অনেকের সন্দেহ ৩৬ বছর বয়সে সিল্ক স্মিতার মৃত্যু আত্মহত্যা নয়। এই রহস্যের সমাধান হয়নি। তিনি রয়ে গেছেন ডার্টি পিকচারের নিষিদ্ধ মুখ হয়েই।
রবিন উইলিয়ামস
>> হতাশা থেকে মৃত্যু
মার্কিন অভিনেতা রবিন উইলিয়ামসের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য চালানো হয় বিশদ তদন্ত। অবশেষে ঘোষণা আসে আত্মহত্যাই করেছিলেন তিনি। এমনকি মৃত্যুর সময় তার শরীরে কোনো মাদক বা মদের আলামত পাওয়া যায়নি। ক্যালিফোর্নিয়া তদন্ত কমিটি এই খবরটি নিশ্চিত করে। ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজ বাসায় উইলিয়ামসের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। সে সময়ই সন্দেহ করা হয়েছিল এটি আত্মহত্যা। শ্বাসরোধে অক্সিজেনের অভাবেই মৃত্যু ঘটে উইলিয়ামসের, এমনটাই জানা গেছে। সেলুলয়েডের প্রাণবন্ত রবিন উইলিয়ামস ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন হতাশাগ্রস্ত— এমনটা মানতে নরাজ অনেকেই। গণমাধ্যমে সর্বশেষ তাকে দেখা যায় তার মৃত্যুর আগের দিন। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী সুজান স্নাইডার।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.