ভারতে ১ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ!
আজ শনিবার ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার এক রিপোর্টে জানিয়েছে, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রপ্তানি সংক্রান্ত অনুমতিপত্র বৃহস্পতিবার রাতেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর হাতে পৌঁছায়। দিল্লি থেকে ‘স্যানিটারি ইমপোর্ট পারমিট’ আদায় করে ভারতে দ্রুত মাছ আমদানির তোড়জোড় চলছে।
অনুমতিপত্র অনুযায়ী, পূজার উপহার হিসেবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে ১ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা যাবে। গত বছর ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর ছাড়পত্র মিলেছিল। এ বার মোট নয়টি সংস্থাকে ১৫০ মেট্রিক টন করে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ঢাকা।
পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে উদ্ধৃত করে আনন্দবাজার জানিয়েছে, ‘নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে ইলিশ আনতে সব রকম সহযোগিতা করছে রাজ্য। ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, ‘মাঝে শুক্রবার বাংলাদেশে এবং রবিবার ভারতে ছুটি। বাধা কাটিয়ে আগামী সপ্তাহেই ইলিশ আমদানির চেষ্টা চলছে।’
তিনি জানান, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়েই ইলিশ ঢুকে কলকাতা, হাওড়া ও শিলিগুড়ি যাবে। এখন এক কেজি থেকে ১২শ’ গ্রামের বড় ইলিশের দাম কমবেশি ১,৩০০ টাকা পড়বে। ঢাকার বাজারে এরকমের বড় ইলিশের দাম সর্বেআচ্চ ১১ শ টাকা। আর মোকামে তা সর্বোচ্চ ন’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।
গত ২০১২ সালের জুলাইয়ে তিস্তা চুক্তি নিয়ে টানাপোড়েনে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে ঢাকা। গত বছর থেকে পূজার মৌসুমে তা শিথিল হচ্ছে বলে আনন্দিত পশ্চিম বাংলার মানুষ। এদিকে এবছর চলতি মৌসুমে বাংলাদেশের নদী ও সমুদ্রে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে এবং স্থানীয় বাজারে সরবরাহও প্রচুর।
এখন ঢাকার বাজারে এক কেজি থেকে ১২শ’ গ্রামের বড় ইলিশের দাম সর্বোচ্চ ১১ শ টাকা। আর মোকামে তা সর্বোচ্চ ন’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ৭০০ গ্রামের নিচে ওজন ঢাকায় এমন ইলিশের দাম পড়ছে ৬০০ কেজি। মা ও ঝাটকা ইলিশ ধরা বন্ধ রাখার কারণে বাংলাদেশের ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের মৎস ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রী শ, ম, রেজাউল করিম।
পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে এবার মৎস ব্যবসায়ীরাও ভারতে ইলিশ রপ্তানীর দাবি করে আসছে। উল্লেখ্য বিশ্বের ৮৬ শতাংশ ইলিশ উৎপন্ন হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশের মৎস অধিদপ্তর ও মৎস গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এবারের মৌসুমে শুধু পরিমাণের দিক থেকেই নয়, আকৃতিতেও বড় ইলিশ ধরা পড়ছে।
২০১৪ সালে যেখানে প্রতিটি ইলিশের গড় ওজন ছিল ৫১০ গ্রাম সেখানে এবছর পাওয়া যাচ্ছে গড় ওজন ৯১৫ গ্রাম।
সূত্রঃ পার্সটুডে
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.