সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    ট্রাম্পের করোনায় গুরুতর অসুস্থ হলে কী হবে?

       ট্রাম্পের অসুখ গুরুতর হলে কী হবে? 

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে ঝাঁকুনি দিয়েছে রিপাবলিকান শিবিরে। নির্বাচনের এক মাস আগে প্রার্থীর অসুস্থতায় তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের অসুস্থতা গুরুতর হলে দেশ পরিচালনার কি হবে সেটি নিয়েও এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।  

    করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে যে বয়সের মানুষদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, ৭৪ বছর বয়সী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই কাতারে পড়েন। তিনি দেশ পরিচালনায় অক্ষম হয়ে পড়লে কী ঘটতে পারে?

    সিএনএন লিখেছে, কয়েক দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টের এরকম গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে ট্রাম্পের এই অসুস্থতা নতুন সঙ্কটের ঝুঁকি তৈরি করেছে।  

    এ বিষয়ে ইউরেশিয়া গ্রুপের প্রধান ইয়ান ব্রেমার বলেন, যদি ট্রাম্প অসুস্থতার কারণে সরকার পরিচালনায় ‍অক্ষম হয়ে পড়েন সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী অনুযায়ী তিনি ‍অস্থায়ীভাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পারবেন এবং কাজে ফেরার মত সুস্থ হয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিতেও পারবেন।  

    চিকিৎসার প্রয়োজনে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ দুবার এভাবে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিলেন। এছাড়া, অস্ত্রোপচারের কারণে আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানও একবার ভাইস প্রেসিডেন্টের হাতে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিলেন।  

    যদি ট্রাম্পের বেলায় জরুরি প্রয়োজনে এমন কিছু করতে হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী অনুযায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভা দায়িত্ব হস্তান্তরের উদ্যোগ নিতে পারবে।  এমনকি যদি প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট দুজনেও যদি কোনো কারণে মারা যান বা একসঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনায় অক্ষম হয়ে পড়েন সেক্ষেত্রে কী করতে হবে তাও সংবিধানে বলা আছে।  

    জর্জ মাসন ইউনিভারর্সিটির আইনের অধ্যাপক ইলিয়া সমিন বলেন, এমনকি এই পরিস্থিতিতেও কার হাতে ক্ষমতা যাবে সেটা সংবিধানে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা আছে। এরকম হলে হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ক্ষমতা গ্রহণ করবেন।  

    পরিস্থিতি যদি তেমনই হয় এবং বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ন্যান্সি পেলোসিকে যদি ক্ষমতা গ্রহণ করতে হয় তবে আইনে যতই সেই ব্যবস্থার কথা উল্লেখ থাকুক, ‘বিশৃঙ্খলা নিশ্চিত’ বলে সতর্ক করছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।  

    এদিকে ট্রাম্পের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার এই খবর যুক্তরাষ্ট্রে নেতৃত্ব সঙ্কটের ঝুঁকি তৈরি করল এবং মহামারীর সঙ্কটকে আরও জটিল করে তুললো বলে মন্তব্য করা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে।  

    পত্রিকাটি লিখেছে, ৩ নভেম্বর ভোট সামনে রেখে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প এখন আর সশরীরে নির্বাচনী প্রচারে থাকতে পারবেন না। হোয়াইট হাউজে কতদিন তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর তার অসুস্থতা যদি বেড়ে যায়, সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনই জটিলতার মধ্যে পড়ে যেতে পারে।  

    ট্রাম্প এমন সময় করোনায় আক্রান্ত হলেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র এক মাস বাকি। ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় দেশটির গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের বহু কাজ এখনও বাকি। বেশ কয়েকটি প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট রয়েছে তার সামনে। কয়েকটি নির্বাচনী র্যা লিরও শিডিউল দেয়া।  

    ট্রাম্প-মেলানিয়া কোয়ারেন্টিনে চলে যাওয়ায় এগুলো নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিল। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে ট্রাম্পের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা হোপ হিকসও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।  

    বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, ট্রাম্প কোয়ারেন্টিনে চলে যাওয়ায় আগামী ১৫ অক্টোবর ফ্লোরিডার মিয়ামিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দ্বিতীয় টেলিভিশন বিতর্কের কী হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !