ট্রাম্পকে কি ডিভোর্স দিতে যাচ্ছেন মেলানিয়া?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্পের সংসারে ভাঙনের জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
মেয়াদ শেষ হলেই হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে প্রেসিডেন্টকে। তার পরই তাকে নাকি ডিভোর্স দেবেন মেলানিয়া! মেলানিয়ার সাবেক পরামর্শক স্টেফানি ওয়ালকফ এমন দাবি করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের সোমবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে গেছেন। তবে কি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার স্ত্রীকেও হারাতে বসেছেন?
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সময় মেলানিয়া কান্নায় ফেটে পড়েছিলেন। কারণ তিনি কখনই আশা করেননি ট্রাম্প জিতবেন।
এ রকম কথাবার্তাও শোনা যায় যে, নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার আগে মেলানিয়া ৫ মাস অপেক্ষা করেছিলেন। কারণ তখন তাদের ছেলে ব্যারনের ‘স্কুল শেষ করার দরকার ছিল’।
তবে মেলানিয়ার সাবেক পরামর্শক স্টেফানি ওয়ালকফের দাবি, মেলানিয়া একবার ছেলে ব্যারনকে ট্রাম্পের সম্পদের সমান ভাগ দেয়ার জন্য বিবাহপরবর্তী চুক্তির মাধ্যমে আপস রফা করেছিলেন। মিসেস ওয়ালকফের অভিযোগ, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের আলাদা শয়নকক্ষ রয়েছে। তাদের সম্পর্কটা অনেকটা ‘লেনদেনের বিয়ে’র মতো।
সাবেক সহকর্মী ও পরামর্শক ওমরোসা মনিগল্ট নিউম্যান দাবি করেছেন, এই দম্পতির ১৫ বছরের বিবাহিত সময় পার করেছেন। মেলানিয়া প্রতিটি মিনিট গণনা করছেন কখন ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে বের হবেন এবং তিনি তাকে ডিভোর্স দিতে পারবেন।
‘হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন যদি মেলানিয়া চলে যাওয়ার চেষ্টা করতেন, তবে তাকে শাস্তি দেয়ার উপায় খুঁজে পেতেন ট্রাম্প’, যোগ করেন নিউম্যান। দুজনের মধ্যে শীতল সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও জনসমক্ষে ৫০ বছর বয়সী মেলানিয়া দাবি করেছেন, ৭৪ বছর বয়সী ট্রাম্পের সঙ্গে তার ‘দুর্দান্ত সম্পর্ক’ রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে এও বলেছেন, তারা কখনও তর্ক করেন না।
দ্বিতীয় স্ত্রী মারলা ম্যাপলের সঙ্গেও বিয়ের আগে চুক্তি করেছিলেন ট্রাম্প। যাতে মারলা ট্রাম্পের সমালোচনা করে কোনো ধরনের সাক্ষাৎকার ও বই প্রকাশ করতে না পারেন।
আইনজীবী ক্রিস্টিনা প্রেভিট বলছেন, ‘সম্ভবত মেলানিয়া একই জাতীয় নীরবতার সঙ্গে সম্মত হয়েছিলেন।’
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.