উইঘুর নারীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় চীনা দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট ব্লক করল টুইটার!
ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আগেই উঠেছে চীনের স্মার্টফোন কোম্পানি হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে। চীনা সরকার ও চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) সঙ্গে জোট বেঁধে এ কাজ করছে প্রভাবশালী প্রযুক্তি কোম্পানিটি। এজন্য বিভিন্ন দেশ হুয়াওয়ের পণ্য ব্যবহারের ওপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
তবে চীন সাইবারস্পেসে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য এখন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। তাদের এ কার্যক্রমের প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে সাবমেরিন ক্যাবল। জিনিউজের এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
এ ঝুঁকি এড়াতে চীনা টেলিযোগাযোগ সংস্থাগুলোর ব্যাপারে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের স্মার্টফোন কোম্পানি হুয়াওয়েকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চীনের বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। তাদের অভিযোগ, হুয়াওয়ের মাধ্যমে চীন প্রযুক্তি চুরি এবং গুপ্তচরবৃত্তি করছে। দেশ দুটি হুয়াওয়ের সামগ্রী ব্যবহার এবং হুয়াওয়ের পণ্য ও সেবা বিক্রির ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে।
তারা জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণেই এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শনিবার জিনিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন শুধু হুয়াওয়ে নয়, জেডটিই-এর মতো চীনের অন্য সব বড় টেলিকম সংস্থাগুলোও যে বিপদ ডেকে আনতে পারে সে সম্পর্কে সচেতন রয়েছে। চীন সাবমেরিন ক্যাবল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ৩৮০টি সক্রিয় সাবমেরিন ক্যাবল বিশ্বের ৯৫ শতাংশ ডাটা বহন করে। এই সাবমেরিন ক্যাবলগুলো কোনো দেশের অর্থনীতি এবং জাতীয় সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগী সংস্থা হুয়াওয়ে মেরিন বিশ্বজুড়ে প্রায় ৯০টি সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্প নির্মাণে কাজ করছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এ চীনা সংস্থা ৩ হাজার ৭৫০ মাইলের একটি প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে, যা ব্রাজিলকে ক্যামেরুনের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এদিকে শিংজিয়াং-এ উইঘুর নারীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের কারণে চীনা দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট ব্লক করেছে টুইটার।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের দূতাবাস বলেছে, উইঘুর নারীদের সন্তান জন্মদানের মেশিন হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। এ ধরনের মন্তব্যকে অমানবিক আচরণ অভিহিত করে টুইটার কর্তৃপক্ষ চীনা দূতাবাসের টুইট অ্যাকাউন্ট ব্লক করেছে। জেরুজালেম পোস্ট। উইঘুর নারীদের জোরপূর্বক বন্ধ্যা করতে চীনা কর্তৃপক্ষের কর্মসূচি সম্পর্কে টুইটারে সহস্রাধিক মানুষ অভিযোগ তুলেছেন।
তারপর গত শনিবার এ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের চীনা দূতাবাস এ ধরনের বক্তব্য দেয়। টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পর্যালোচনার পর দেখা গেছে চীনা কর্তৃপক্ষ ধর্ম-বর্ণ বা বর্ণের ভিত্তিতে এ ধরনের অমানবিক নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা নিয়েছে, যা আমাদের নীতিমালার বরখেলাপ।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.