সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    কবুতরের সালমোনেলা রোগ ও ব্যবস্থাপনা

    কবুতরের সালমোনেলা রোগটি সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয় , টাইফয়েড জাতীয় মৃদু জ্বর ভিন্ন জীবাণু দ্বারা ঘাঁটিত, এটি কবুতরের খুবই সাধারণ এবং খুবই ব্যাপক রোগ, সাধারণত এটি যা গ্রাম-ঋণাত্মক ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ঘটিত হয় পৃথক লক্ষণ প্রকাশিত হয় অঙ্গ অনুযায়ী । সালমোনেলা রোগ বাচ্চা কবুতরের জন্য মরণশীল এবং এটি খুব দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। সালমোনেলা জীবাণুগুলো খাদ্য, পানি, বায়ু এবং ডিমের মাধ্যমে অন্য কবুতরের অন্ত্রে আক্রান্ত করে।
    Image result for কবুতরের সালমোনেলা রোগ

    কারনঃ

    ১) বুনো পায়রা সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ।

    ২)আবহাওয়া খুব ঘন ঘন পরিবর্তন হলে।

    ৩) নতুন পায়রা প্রবর্তনের মাধ্যমে হয়।

    ৪) খাদ্য বিষক্রিয়াগত কারনে , দূষিত মাটি বা জল থেকে, তেলাপোকা বা খাদ্য থেকে আক্রান্ত একটি প্রাণী থেকে খাদ্য খাওয়া, লালা, বায়ু, কাশি ইত্যাদি ।

    ৫)তীক্ষ্ণদন্ত প্রাণী দ্বারা সংক্রমিত(যেমন ইঁদুর), সংক্রামক জীব দ্বারা উত্পাদিত রোগ।

    ৬) সংক্রমিত মলের মাধ্যমে উত্পাদন চলতে থাকে।

    ৭) সংক্রামক এজেন্ট (খাদ্য হ্যান্ডলার মাধ্যমে) এই জ্বরএ আক্রান্ত হয়।

    ৮) জুতা পাতার নিচের অংশে সংক্রমিত ধুলো ইনফেকশনের মাধ্যমে ।



    সতর্কতা:

    প্রথমে হাত ভালো করে ধোয়া বা হেক্সিসল বা অন্য কোনো আণ্টী জীবাণু মুক্ত ঔষধ দিয়ে বা গ্লাভস ব্যবহার করতে পারলে ভাল হয় । আর আক্রান্ত কবুতরকে আলাদা করে রাখা।


    প্রতিরোধ:

     ১) সামান্য পোটাশ মিশ্রণ পানির সঙ্গে আপনার খাদ্য ভালো করে ধূতে হবে তারপর রোদে শুকিয়ে পরিবেশন করলে ভালো হয় । অথবা খাদ্য 2/৩ মিনিট আগুনে গরম/ শুষ্ক,/উষ্ণ করে প্রদান করতে হবে।

    ২) ইঁদুর/তেলাপোকা বা কোন অবাঞ্ছিত কোণ দর্শক থেকে আপনার খামার রক্ষা করুন।

    ৩) আপনার খামারে ফিল্টার/পানি ফুটিয়ে / নলকূপ পানি সরবরাহ করুন।

    ৪) খাদ্য ও পানির পাত্র সঠিকভাবে ধোবেন, কারণ পানি অনেকদিন পাত্রে রাখার জন্য এক ধরণের পাতলা মীঊকাশ/ঝীল্লী পড়ে যা সালমোনেলা জন্য অন্যতম কারণ।

    ৫) আপনার খামার/মাচা/ লফ্ট এলাকা নিদেনপক্ষে সপ্তাহে 2/৩ দিন জীবাণু মুক্ত স্প্রে করুন ।

    ৬) আপনার খামার/মাচা/ লফ্ট এলাকা নিদেনপক্ষে সপ্তাহে 2/৩ দিন পরিষ্কার করুন।


    সালমোনেলার  লক্ষণঃ

    সালমোনেলা রোগে গুরুতরভাবে আক্রান্ত কবুতরের শরীরের সর্বত্র পাওয়া যাবে. সুতরাং, উপসর্গ বিভিন্ন রকম হওয়া সম্ভব. 
    ১. অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ক কবুতর কিছুটা শিথিল, সবুজাভ মল, আমাশয় ভাব, সবুজাভ পাতলা মল, দ্রুত ওজন কমানোর প্রদর্শন করবে।
    ২. কিছু কবুতরের পায়ের সন্ধি বা পায়ে ফুলে যেতে পারে, অথবা গরূৎ boils হতে পারে.
    ৩. অন্য কবুতর সাধারণত PMV সাথে যুক্ত "ঘাড় বাকা" সিন্ড্রোম থাকতে পারে,
    ৪. বাচ্চা কবুতর প্রায়ই শ্বাস সমস্যা দেখা দিতে পারে বা ডিম ফুটার পরে দ্বিতীয় সপ্তাহ আগে বাসায় মারা যেতে পারে অথবা ডিমের মধ্যে মৃত্যুর আরেকটি উপসর্গ হতে পাড়ে। এই অবস্থায় খাদ্য থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করতে না পেয়ে কবুতর দিন দিন খুব দুর্বল হয়ে মারা যেতে পারে ।
    ৫. অনুর্বর ডিম।
    ৬. সালমোনেলা রোগে ভিটামিন D শোষিত হয় না।
    ৭. কবুতরের পাখা ঝূলে যেতে পারে,
    ৮. ঝিমানো,খাদ্য না খাওয়া
    তাই এসব লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর দ্রুত চিকিৎসা না করলে ৪/৫ দিনের মধ্যে কবুতর মারা যেতে পারে ।


    সালমোনেলার চিকিৎসাঃ

    রোগ অনুযায়ী দুই ধরনের চিকিৎসা সেবা দেয়া যেতে পারেঃ


    ক) রোগের আধিক্য এর ক্ষেত্রেঃ 0) সাল্মনেল্লা:--- হিউম্যান Orasin K সাস্পেন্সন নিয়ম অনুযায়ী মিক্স করে 1/2 cc Orsin K+1/2 grm  সেলাইন +1/2 cc ফ্লাজিল সিরাপ =5 cc পানিতে মিক্স করে 5 cc করে এভাবে প্রতিবার তৈরি করে দিনে ৩ বার ৩ দিন দিবেন। আর রাইছ সেলাইন দিবেন ঔশুধ দিবার 1 ঘণ্টা আগে ও পরে।

    খ) প্রাথমিক বা প্রতিরোধ এর ক্ষেত্রেঃ শাফি+ফেবনিল (হামদারদ)­ ২ চা চামচ করে এক লিটার পানিতে মিশাইয়া সাধারণ ভাবে পরিবেশন করতে হবে। অথবা হোমিও বাপ্তাসিয়া ৩০ এক সিসি এক লিটার পানিতে মিশাইয়া সাধারণ ভাবে পরিবেশন করতে হবে।

     রসুন বাঁটা ১ লিটার পানিতে ২ চা চামচ মিক্স করে সাধারণ ভাবে পরিবেশন করতে হবে মাসে ১-২ দিন।(অবশই কৃমির মেডিসিন খাওয়ানোর পর)

    অ্যাপেল সিডার(আমেরিকার তৈরি) মাসে ২ দিন সাধারণ ভাবে পরিবেশন করতে হবে।

    লেবুর রস পানির সাথে মিক্স করে সাধারণ ভাবে পরিবেশন করতে হবে মাসে ১-২ দিন।

     ভিটামিন “কে”, “বি” ও “ডি” কমপ্লেক্স খামারে সরবরাহ করতে হবে মাসে ২-৩ দিন।

    তবে খেয়াল রাখবেন যে প্রতিকারের থেকে প্রতিরোধ ভাল। তাই নিয়মিত এই রোগের প্রতিরোধ চিকিৎসা করা উচিৎ ।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !