স্ত্রী-পুরুষ বাজরীগার সনাক্ত করার উপায়
আমরা অনেকেই বাজরীগার কিনার সময় স্ত্রী-পুরুষ চেনতে ভুল করে ফেলি ফলে আমরা কেনার সময় একই লিঙ্গের দুটি পাখি কিনে ফেলি যার ফলে আমাদের আমাদের আশা অনুরুপ ফল পাই না এবং বাজরীগার পালন থেকে সরে পরি।
কিন্তু আমরা জানি না যে কিছু বিষয় জানা থাকলে বাজরীগার স্ত্রী-পুরুষ চেনা খুবই সহজ। বাজরীগার বয়স ৩ মাস হলেই ঠোঁট দেখে বাজরীগার স্ত্রী-পুরুষ সনাক্ত করা যায়। সাদা এবং হলুদ, হারলে কুইন, ইনো, ফ্যালো বর্নের বেলায়ও লাল চোখের পাখি ছাড়া যে কোন বর্ণের পাখির নাকের অংশ নীল বর্ণের হলে বুজতে হবে এটা পুরুষ পাখি, প্রথম দিকে সাদা এবং পরে ধীরে ধীরে বাদামি বা ময়লাটে হলে বুজতে হবে এটা স্ত্রী পাখি। ৮ মাস বয়সে এরা প্রজনন উপযোগী হয়।
স্ত্রী ও পুরুষ এবং ছোট বড় চেনার উপায়
৪ মাস বয়স হলেই নাকের উপরের রং দেখেই সনাক্ত করা হয়। যেমন- পুরুষ পাখির প্রথমে নাকের বর্ণ থাকবে গোলাপি রংয়ের। বয়স বাড়ার সঙ্গে রং হবে নীল। আর স্ত্রী পাখির নাকের বর্ণ হবে সাদা। বয়স বাড়ার সঙ্গে হবে খয়েরি বা চকলেট। স্ত্রী পুরুষ ভেদে ডাকের পার্থক্য দেখেও নির্ণয় করা সম্ভব।
ছোট বড় চেনার উপায় হচ্ছে প্রধানত চোখ দেখে। ছোট পাখির চোখের আকার হবে বড়। বড় হওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চোখের আকার হবে ছোট। কারণ বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত চোখের বৃত্ত তৈরি হয় না। সেই সঙ্গে নাকের বর্ণ হবে গাঢ়।
নিম্নোক্ত ছবি দেখলে পুরুষ বাজরীগার সনাক্ত করা যাবেঃ
নিম্নোক্ত ছবি দেখলে স্ত্রী বাজরীগার সনাক্ত করা যাবেঃ
সাদা এবং হলুদ বা এই দুই বর্ণের পাইড মিউটেশ্ন এর ক্ষেত্রে পুরুষ পাখির নাকের অংশ গোলাপি বর্ণের ও মসৃণ হয়া থাকে এবং স্ত্রী পাখির নাকের অংশ বাদামী বর্ণের ও খসখসে এবং ময়লাটে হয়।
নিম্নোক্ত ছবি দেখলে স্ত্রী-পুরুষ বাজরীগার সনাক্ত করা অনেক সহজঃ
অারোও পড়ুন- বাজরিগারের বাচ্চা জন্মানোর পর করনীয়
অারোও পড়ুন- বাজেরিগার পাখি পালন, পরিচর্যা ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.