সুপার-ঘূর্ণিঝড়-আম্পান!

  • ব্রেকিং নিউস

    কবুতরের গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীতকালীন ঔষধ খাওয়ানোর নিয়ম বা ঔষধের কোর্স

    অনেক সময় অনেক রোগের জীবানু শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। তাছাড়া কবুতরকে ভিটামিন এর অভাব জনিত রোগ, সঠিক দৈহিক বৃদ্ধি নিশ্চিত রাখা  কবুতরকে ক্রিমি মুক্ত রাখতে মাসিক কোর্সের গুরুত্ব অনেক। নতুবা হটাত রোগের আক্রমনে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে আপনার ভালবাসার কবুতরের । অামরা লাখ টাকা খরচ করতে পারি কিন্তু প্রতি মাসে ৫০০ টাকার ঔষধ কবুতরকে খাওয়াতে পারি না । হ্যাঁ পারি কখন ??? যখন পুরা পাল মরে শেষ । বেশী নয় এই ৪/৫ টা ওষুধ প্রতি মাসে ৫ দিন করে ,আমরা খাওয়ালে অন্তত মহামারি হবে নাহ ইনশাআল্লাহ । একটি কবুতরের পায়খানা দেখে তার রোগের ৭০% খবর পাওয়া যায়, আর বাকিটুকু তার শারীরিক ব্যাবহার দেখে। তাহলে আপনার কবুতরের রোগের ব্যাপারে কি ভাবে জানবেন? কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজার চেষ্টা করবেনঃ কি সেগুলো…
    ১) পায়খানার রঙ কেমন? বা পাতলা না শক্ত? বা গন্ধযুক্ত কিনা?
    ২) খাওয়া দাওয়া করে কিনা? করলে কেমন? বা পানি কম না বেশী খাই?
    ৩) খাবার ঠিকমত হজম হয় কিনা?
    ৪) কবুতরের ঠাণ্ডা ভাব আছে কিনা? বা ঘড় ঘড় শব্দ করে কিনা? মুখের ভিতর কফ বা লালা আছে কিনা? লালার রঙ কেমন? বা সাদা সাদা কোন ঘা বা লম্বা সুতার মত কিছু আছে কিনা?
    ৫) হা করে শ্বাস নেয় কিনা?
    ৬) নাকে বা চোখে পানি আছে কিনা?
    ৭) অ্যালার্জি ধরনের খাবার দিয়া হয় কিনা? জেমনঃ রেজা, ধান ইত্যাদি
    ৮) কি ধরনের কবুতর ও এর বয়স? বা বাচ্চা আছে কিনা? বা ঘন ঘন ডিম বাচ্চা নিয়া হয় কিনা?
    ৯) কোন ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছে কিনা?
    ১০) কৃমির ঔষধ শেষ কবে প্রয়োগ করা হয়েছে? আর সাল্মনিল্লা কোর্স (প্রাকৃতিক টা) করা হয় কিনা? ইত্যাদি। 
    আমরা উপরের বিষয় গুলো যদি পর্যালোচনা করি তাহলে, তিনটি জিনিষ পরিলক্ষিত হয়ঃ
    ক)  মাল্টি ভিটামিন প্রয়োগ 
    অথবা, 
    খ)  রোগের প্রতিরোধ 
    অথবা, 
    গ) রোগের প্রতিকার বা চিকিৎসা


    Image result for কবুতরের ভিটামিন ঔষধের নাম

    কবুতরের গ্রীষ্ম কালীন মাসিক ছকঃ

    একটা কথা মনে রাখতে হবে, কবুতর পালন আমাদের, নেশা,পেশা,সখ বা তার থেকেও বেশি কিছু। তাই এটা নিয়ে ছেলে খেলা বা অন্যের খেয়াল খুশির উপর নির্ভর করা যাবে না। অনেক সময় পার হয়ে গেছে এখন আমাদের জেগে উঠার পালা। তাই জেগে উঠুন আপনার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় কে কাজে লাগান। আপনার শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগান। যাই হোক আমার এবার কাজের কথাই আসি। শীত প্রায় গত হয়েছে আর গ্রীষ্ম প্রায় আগত, আর শীতের আগামন ও গত এই সময় তাই বেশি রোগ হয়। আর একজন খামারির সফলতা ও ব্যার্থতা এই সমটাতেই নির্ভর করে। আশা করি অন্য যেকোনো শীতের থেকে এই শীত আপনারা ও আপনাদের খামারে তেমন বেশি রোগের প্রকোপ হয়নি। তার কারন আপনি একটু সচেতন ছিলেন। এমন অনেক শীত গেছে যে শীতে খামার কে খামার উজাড় হয়ে গেছে। যায় হোক শীতের আগমন ও গত এর সময় যে রোগের বেশি প্রাদুর্ভাব হয়, আর তা হল ঠাণ্ডাপাতলা পায়খানাডিপথেরিয়া ইত্যাদি। আর আপনার যদি এ সব রোগের সম্পর্কে সাধারন জ্ঞান থাকে। তাহলেই হয়ত আপনি উতরে যেতে পারবেন, অনর্থক ঔষধ ব্যাবহার করে এর কোন ফল পাবেন না। আসুন আমরা মাসে কিভাবে ঔষধ ও ভিটামিন প্রয়োগ করব তারই একটি ধারনা নেবার চেষ্টা করি-
    প্রথম পর্যায়ঃ (প্রতিরোধক)
    ১) সাল্মনেল্লা কোর্স- ২ টেবিল চামচ শাফি+ ২ টেবিল চামচ ফেবনিল ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ৪-৫ দিন সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (একটানা)। (হোমিও ব্যাপ্তেসিয়া ৩০, ১ সিসি =১ লিটার পানিতে মিক্স করেও আপনি এই কোর্স করাতে পারবেন। (একটানা ৪-৫ দিন।)
    বিঃদ্রঃ এই কোর্স চলাকালীন কবুতর সবুজ পায়খানা করতে পারে, আর এই অবস্থাই ঔষধ বন্ধ করা যাবে না, এটা ভিতরের জীবাণুকে বের করতে সাহায্য করে।

    ২) অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে মাসে ১-২ দিন দিবেন। (২ দিন আলাদা ভাবে।)
    বিঃদ্রঃ আবেগের বশে বেশি দিবার চেষ্টা করবেন না বা বেশীদিন দিবেন না তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
    ৩) রসুন বাঁটা ১ চামচ(চা) + মধু ১ চামচ+লেবুর রস ১ চামচ= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ছেকে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরবেশন করবেন ১ দিন মাসে।

    বিঃদ্রঃ ৩ নং টি করার সময় অনেক কবুতর বমি করতে পারে যা ভয়ের কারন নাই, তবে যদি ক্রিমির কোর্স করা না থাকে, বা সাল্মনেল্লা কোর্স করা না থাকে তাহলে এই কোর্স করাবেন না অনুগ্রহ করে।

    (উপরের ৩ টি সাল্মনেল্লার জন্য বিশেষ উপকারি তাই ছকে ৩টাই আলাদা দূরত্বে রাখবেন।)
    ৪) হোমিও deptherinum 200 , ১ সিসি= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (মাসে ১-২ বার আলাদা ভাবে।)
    ৫) হোমিও Tiberculinum 30, ১ সিসি= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (মাসে ১ বার)।
    ৬) হোমিও Belodona 30, ১ সিসি= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (মাসে ১ বার)।
    ৭) হোমিও Borax 30, ১ সিসি= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (মাসে ১ বার)।
    ৮) হোমিও Eupatorium Perfo. ১ সিসি= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (মাসে ১ বার)।
    (সতর্কতাঃ ২ ধরনের হোমিও ঔষধ একসঙ্গে ব্যাবহার করবেন না একটানা প্রয়োগ করবেন না অনুগ্রহ করে।)
    দ্বিতীয় পর্যায়ঃ (প্রতিকার)
    ৯) মাল্টি ভিটামিন (pawer max,made in Vietnam), All Vit Ma (Made in Germany), Max grower (made in Holland) ১ সিসি/গ্রাম= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ৩-৪ দিন সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (একটানা)।
    ১০) ক্যালসিয়াম ও ই ভিটামিনের জন্য ( Calcium Forte+AD3e ) এইধরনের ভাল মানের ভিটামিন প্রয়োগ করতে পারেন, ১ সিসি/গ্রাম= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ৩-৪ দিন সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (একটানা)।
    ১১) লিভার টনিক হিসাবে হামদারদ এর (Cinkara, Icturn, Karmina) করতে পারেন ২ টেবিল চামচ = ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ২-৩ দিন সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (একটানা)।
    ১২) ভিটামিন বি হিসাবে (toxynil, biovit, vita B+C) ১ সিসি/গ্রাম= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ২-৩ দিন সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (একটানা)।
    ১৩) এছাড়াও আলভিরা, স্যালাইন( ভেট এর), লেবুর রস বা ভিটামিন সি প্রয়োজন মত ব্যাবহার বা প্রয়োগ করতে পারেন। (গরমের সময় পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কবুতর পানি শূন্যতাই না ভুগে।)
    তৃতীয় পর্যায়ঃ( প্রতিষেধক)
    ১৪) কবুতরের ক্রিমির ঔষধ শীতে ৪৫ দিন পর পর ও গ্রীষ্মে ২ মাস পর পর অবশ্যই প্রয়োগ করতে হবে। (wormazole/avinex/panacure) আদর্শ ক্রিমির ঔষধ হিসাবে দিতে পারেন। (খেয়াল রাখবেন ক্রিমির ঔষধ প্রয়োগ রাতে করুন, আর পরিমান টা নির্দিষ্ট করুন। সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন না, আর মানুষের কোন ক্রিমির ঔষধ কখনও দিবেন না। আর প্রয়গের আগে ও পরে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলুন।)
    ১৫) যারা PMV এর জন্য ভাক্সিন বা পক্স বা অন্য রোগের ভাক্সিন দিতে চান তারা একটু নিয়ম মেনে তারপরই দিবেন (আর এটা অবশ্যই বাইরের টা যদিও পক্স ও অন্য রোগের ভাক্সিন এ তেমন ভুমিকা রাখে না) , আর যারা মনে করেন যে মুরগির ভাক্সিন দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলবেন, তারা এই পোস্ট টা এড়িয়ে চলুন। কারন তাদের জন্য এই পোস্ট না।
    ১৬) আপনার কবুতর কে অবশ্যই ৩ মাস পর পর উকুন নাশক শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাতে হবে, যাতে মাইট ও কবুতরের গায়ের মাছি থেকে নিরাপদ থাকা যায়। যা বিভিন্ন রোগের কারন হিসাবে দায়ী। সাধারন অবস্থাই প্রতি সপ্তাহে গোসল এর ব্যাবস্থা করা ভাল, আর রোগ থেকে আরোগ্য লাভের পর অবশ্যই গোসল দিয়াবেন।
    ১৭) প্রবায়টিক মাসে ২ বার অবশ্যই দিবেন, সেটা প্রাকৃতিক হোক বা প্রস্তুত করাই হোক। আর অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহারের পর এটা দিতে কোনদিন যেন ভুলে না যান, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
    এই ছকটি দিন আকারে বা তারিখ হিসাবে দেয়া হয়নি কারন, অনেকেই মনে করেন যে, তারিখ আকারে নিয়ম টা এদিক ওদিক হয়ে গেলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে, যা আসলেই ঠিক না, এমনকি কবুতরের অসুস্থ অবস্থাতেও এর ব্যাতিক্রম করতে চান না। তাই এমন ভাবে উপস্থাপন করা হল যাতে আপনার পছন্দ মত আপনি সাজিয়ে নিতে পারেন। অবশ্যই এগুলো প্রয়োগ করতে গিয়ে পরিবেশ পরিতস্থিতির ও আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রাখবেন। যাতে আপনি নিজে একজন পরনির্ভরশীল খামারিতে পরিনত না হন। বা এটা করতে গিয়ে আপনাকে আরেকজনের উপর নির্ভর করতে না হয়। পরিশেষে কোরআন এর একটি আয়াত দিয়ে শেষ করতে চায়,
    “আর যে সম্পদকে আল্লাহ তোমাদের জীবন-যাত্রার অবলম্বন করেছেন, তা অর্বাচীনদের হাতে তুলে দিও না। বরং তা থেকে তাদেরকে খাওয়াও, পরাও এবং তাদেরকে সান্তনার বানী শোনাও।” (সূরা আন নিসাঃআয়াত- ৫)

    কবুতরের বর্ষা কালিন মাসিক ছকঃ

    এই ছক কোন অসম্ভব কে সম্ভব করার কোন চাবিকাঠি না আপনার কবুতর কে সুস্থ ও সবল রাখার একটা কৌশল মাত্র। আর এর সফলতা ও ব্যর্থতা আপনার উপরই নির্ভর করে। অনেকেই আছেন যারা ভিটামিন কে ঔষধ বলে ভুল করেন সেই চিন্তাধারা থেকে বের হয়ে আসুন, ভিটামিন খাদ্য সম্পূরক একটি উপাদান বা Food Supplement মাত্র। আর আপনি যদি এই ছকটি সঠিক ভাবে পালন করতে পারেন তাহলে, এর ফলাফল আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন খুব তাড়াতাড়িঃ





    ১লা-৪তম দিনঃ সাল্মনেল্লা কোর্স- ২ টেবিল চামচ শাফি+ ২ টেবিল চামচ ফেবনিল+মারবেলাস টেবিল ১ চামচ= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ৪-৫ দিন সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (একটানা)। অথবা (হোমিও ব্যাপটেসিয়া ৩০, ১ সিসি =১ লিটার পানিতে মিক্স করেও ৫ দিন আপনি এই কোর্স করাতে পারবেন। (বিঃদ্রঃ এই কোর্স চলাকালীন কবুতর সবুজ পায়খানা করতে পারে, আর এই অবস্থাই ঔষধ বন্ধ করা যাবে না, এটা ভিতরের জীবাণু তাকে বের করে সাহায্য করে। একটানা করাতে হবে ও ধরে খাওয়ান যাবে না ও অসুস্থ কবুতর কে খাওয়ান যাবে না,তাতে বমি করতে পারে বা সরাসরি খাওয়ান যাবে না। বাচ্চা থাকলেও বাবা-মা কে খাওয়াতে পারবেন। কারন এ সময় তারা সরাসরি কোন খাবার দেয় না। এ সময় তারা কর্প মিল্ক খাওয়ায়।)


    ৫তম দিনঃ স্যালাইন(ভেট এর) বা লেবুর রস ও লবন যোগ করে দিতে পারেন বা ভিটামিন সি প্রয়োজন মত ব্যাবহার বা প্রয়োগ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনি অ্যাপেল সিডার ভিনেগার বা প্রবায়টিক প্রয়োগ করতে পারেন ১ মিলি/সিসি/গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিক্স করে।


    ৬তম-১০তম দিনঃ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স হিসাবে (toxynil, biovit, Rena B+C) ১ সিসি/গ্রাম= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। আপনি ২ দিন (toxynil) ও ৩ দিন (biovit, Rena B+C) একটানা দিতে পারেন।


    ১১তম দিনঃ স্যালাইন(ভেট এর) ১ লিটার পানিতে ১-২ গ্রাম মিক্স করে সাধারন পানি হিসাবে সরবরাহ করুন।


    ১২তম দিনঃ হোমিও Belodona 30, ১ সিসি= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (মাসে ১ বার)। অথবা ১ ফোটা করে প্রতি কবুতর কে দিতে পারেন।


    ১৩তম-১৫তম দিনঃ ক্যালসিয়াম জন্য (Virvac বা Calcium Forte বা Calfast etc ) বা ভাল মানের Calcium প্রয়োগ করতে পারেন, ১ সিসি/গ্রাম= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ৩-৪ দিন একটানা সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন ।


    ১৬তম দিনঃ রসুন বাঁটা +মধু+লেবুর রস।(১ লিটার পানিতে ২ চা চামচ রসুন বাটা,২ চা চামচ মধু আর ১ চামচ লেবুর রস মিক্স করে দিলে ভাল।তবে পানি অবশ্য ছেকে নিতে হবে। আর লেবু চিপার সময় গ্লভস বা লেমন ইস্কুইজার ব্যাবহার করবেন।


    ১৭তম দিনঃ যে সব খামারে বেশি মশা আর এর জনিত রগের ভয় আছে সেক্ষেত্রে EUPOTORIUM PERFO 200 = ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। এটী ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরের রোগ প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।


    ১৮তম দিনঃ Hiprachock Amino Acid ১ মিলি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন পানি হিসাবে সরবরাহ করবেন।


    ১৯তম দিনঃ লিকার চা বা গ্রীন টি দিতে পারেন । ১ কাপ ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে সরবরাহ করুন।


    ২০তম-২২তম দিনঃ পর্যন্ত লিভার টনিক দিন।( অধিকাংশ কবুতর লিভার জনিত সমস্যায় বেশি ভুগে থাকে। তাই লিভার এর ব্যাপারে একটু খেয়াল রাখা জরুরি।১-২ টেবিল চামচ ১ লিটার পানিতে মিক্স করে। এক্ষেত্রে হামদারদ এর Icturn, Karminaইত্যাদির যেকোনো ১টি ব্যাবহার করা যেতে পারে।)


    ২৩তম দিনঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার দিতে পারেন ১ মিলি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন পানি হিসাবে সরবরাহ করবেন।।


    ২৪তম দিনঃ হোমিও Calcaria Curb 200, ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন। এটি বর্ষাকালীন সাধারন ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকবে।


    ২৫তম দিনঃ আলভেরার সাথে তাল মিশ্রী পানি অথবা প্রবায়টিক দিতে পারেন।


    ২৬-২৮তম দিনঃ মাল্টি ভিটামিন হিসাবে= ১) Vitamix/ polyvit/ Tweet Gold/ Pushtikona(Renata) এগুলো সাধারন ফার্মেসী তে পাবেন। ১ গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ২ দিন। (Multivit Mix (Made in Netherland) দিয়া যেতে পারে অথবা Max grower (made in Holland) ১ সিসি= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে মাসে ১ দিন সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন।


    ২৯তম দিনঃ Kali Mur 6x = ১টি করে ট্যাবলেট ১ টি কবুতর কে বা ৪-৫ টি ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন পানি হিসাবে সরবরাহ করুন। মাসে একবার দিলে ডীপথেরিয়া রোগ প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।


    ৩০তম দিনঃ লেবুর রস ও লবন যোগ করে দিতে পারেন ১ লিটার পানিতে ১ টি লেবুর রস ১ চা চামচ লবন মিক্স করে সরবরাহ করতে পারেন বা ভিটামিন সি প্রয়োজন মত ব্যাবহার বা প্রয়োগ করতে পারেন।
    শর্ত ও সতর্কতাঃ

    • নিয়মিত ভাল মানের গ্রিট দিবেন।

    • বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করবেন (টিউব ওয়েল বা ফিল্টার বা ফুটানো পানি সরবরাহ করতে হবে)
    • খাবার ঝেড়ে দিবার ব্যাবস্থা করতে হবে ও হালকা গরম করে নিলে ভাল।ঔষধ ও ভিটামিন ভাল ভাবে সংরক্ষন করুন। যেমন অনেকেই আছেন প্যাকেট ভাঁজ করে রাখেন এতে এর গুনাগুন নষ্ট হয়। তাই এটি এয়ার টাইট বৈয়ামে ও বোতল গুলো ভাল করে বন্ধ করে রাখুন ব্যাবহারের পরে।
    • ৪৫ দিন পর পর কৃমির ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। মানুষের ক্রিমির ঔষধ ব্যাবহার থেকে বিরত থাকবেন।
    • এ ছাড়াও সপ্তাহে ১ দিন না মাঝে মাঝে আপনি যদি মাঝে মাঝে কালজিরা+মেথি+মউরি+জাউন এই উপাদানের মিক্স করে (৪০%+৩০%+১৫%+১৫%) খেতে দেন আপনার কবুতর কে তাহলে দেখবেন আপনার খামারে অনেক অনাখাঙ্কিত রোগ থেকে মুক্ত থাকবে। আর আপনার সেই ছটফটে, চঞ্চল ও সুস্থ কবুতর গুলোকে দেখে মন এক অনাবিল প্রশান্তিতে ভরে উঠবে। তখনই আপনাকে সফল খামারি বলে আখ্যায়িত করা হবে।



    কবুতরের জন্য শীতের মাসিক ছকঃ



    আসুন আমরা শীতের মাসিক ছক টি জেনে নেই। মাসের ১-৪ তারিখ পর্যন্ত সাল্মনিল্লা কোর্স করাতে হবে। যেটা বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে করে থাকে, কিন্তু সবচেয়ে উপযুক্ত সাফি+ফেবনিল এর মিক্স কোর্স করার।
    মাসের ৫ তারিখ স্যালাইন দিন। অথবা এর বদলে ভিটামিন সি দিতে পারেন যেমন লেবুর রস। ১ টি লেবু ১ লিটার পানিতে।
    মাসের ৬-৯ তারিখ পর্যন্ত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দিন। এক্ষেত্রে toxynil, biovit, vita B+C ইত্যাদি ভিটামিন দিতে পারেন। কারন এর অভাবে বেশীর ভাগ টাল রোগ হয়।) মাসের ৯-১০ তারিখ পর্যন্ত হমিও Kali Curb 30 দিন।
    মাসের ১১ তারিখ রসুন বাতা+মধু+লেবুর রস। ১ লিটার পানিতে ২ চা চামচ রসুন বাতা,২ চা চামচ মধু আর ১ চামচ লেবুর রস মিক্স করে দিলে ভাল। তবে পানি অবশ্য ছেকে নিতে হবে। আর লেবু চিপার সময় গ্লভস বা লেমন ইস্কুইজার ব্যাবহার করবেন। এটা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে এই কোর্স করার আগে ক্রিমির ঔষধ দিয়া আছে কিনা টা জেনে নিবেন। কারন ক্রিমি থাকলে এটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
    মাসের ১২ তারিখ হমিও Belodona 30 এটা আপনার কবুতর কে প্যারামক্সি ভায়রাস থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।
    মাসের ১৩-১৬ তারিখ পর্যন্ত ক্যাল ডি,ভিতামিন কে ও ই ভিটামিন দিয়া ভাল। এক্ষেত্রে Calcium Forte+AD3e+k Vit অথবা Calbo D+Ad3e+k Vit দিয়া যেতে পারে। এতে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে ও ভিটামিন কে ডিমের ভিতর বাচ্চা মারা যাওয়া ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
    মাসের ১৭ তারিখ হমিও Borax 30 দিন। এটি বায়ু বাহিত রোগ থেকে প্রতিরোধ করবে।
    মাসের ১৮ তারিখ অ্যাপেল সিডার দিন। এক্ষেত্রে আমিরিকার তৈরি অ্যাপেল সিডার দিয়া উত্তম। এটা সাল্মনিল্লা প্রতিরোধে সাহায্য করবে। ১ লিটার এ ১ সিসি বা তার কম, বেশি প্রয়োগ করবেন না তাতে বিপরিত ফল হতে পারে। মাসের ১৯ তারিখ স্যালাইন দিন। অথবা এর বদলে ভিটামিন সি দিতে পারেন যেমন লেবুর রস। ১ টি লেবু ১ লিটার পানিতে।
    মাসের ২০-২১ তারিখ পর্যন্ত লিভার টনিক দিন। অধিকাংশ কবুতর লিভার জনিত সমস্যায় বেশি ভুগে থাকে। তাই লিভার এর ব্যাপারে একটু খেয়াল রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে হামদারদ এর Cinkara, Icturn, Karmina ইত্যাদি ব্যাবহার করা যেতে পারে। মাসের ২২ তারিখ হমিও Tiberculinum 30 দিন। এটি ধুলা জনিত সমস্যা থেকে প্রতিরোধ করবে। মাসের ২৩ তারিখ লিকার চা দিয়া ভাল। এটা কাঙ্কার প্রতিরোধ ও ভাল ব্যাকটেরিয়া উৎপাদনে সাহায্য করবে।
    মাসের ২৪-২৮ তারিখ পর্যন্ত মাল্টি ভিটামিন দিয়া ভাল। এক্ষেত্রে pawer max (made in Vietnam), All Vit Ma (Made in Germany), Max grower (made in Holland) দিয়া যেতে পারে। এতে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে। সকল ভিটামিন ও মিনারেলস এর অভাব পুরন করবে।
    মাসের ২৯ তারিখ স্যালাইন দিন।(অথবা এর বদলে ভিটামিন সি দিতে পারেন যেমন লেবুর রস। ১ টি লেবু ১ লিটার পানিতে। অথবা সাধারন পানিও দিতে পারেন। মাসের ৩০ তারিখ নিম বা করলা পাতা বেঁটে দিতে পারেন পানিতে। অথবা সাধারন পানিও দিতে পারেন। ১ লিটার পানিতে ১ চামচ।
    এই ছক যে আপনাকে অনুসরন করতেই হবে এমন কন বাধ্যবাধকতা নাই, এটা আপনার পছন্দ অনুযায়ী পরিবর্তন করে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন অসুস্থ কবুতর কে ভিটামিন V কমপ্লেক্স ছাড়া অন্য কোন ভিটামিন দিবেন না। এটা টার ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর অনেকে বয়লার গ্রয়ার বা এই ধরনের খাবার দিতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে অসুস্থ কবুতরকে এই ধরনের খাবার দিয়া ঠিক না। একটা কথা খুব ভাল করে খেয়াল রাখতে হবে শীতে ক্রিমির ঔষধ ৪৫ দিন পর পর দিতে হবে, যদিও ছকে এটা উল্লেখ করা হয়নি। অনুরূপ ভ্যাকসিন এর ব্যাপারেও, অনেকে মনে করেন ভ্যাকসিনই সকল সমস্যার সমাধান। কিন্তু আসলে এটা ঠিক না। এমন কি অনেকে বড় বড় খামারিরা জানেনই না কিভাবে এর সঠিক প্রয়োগ করা হয়। আর এর কার্যকারিতা কততুকু? আসলেই কি এটা সঠিক কাজ করে কিনা? এসব নিয়ে এখন বিতর্কে যাব না। পরে এই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করার আশা রাখি।

    কবুতরের গ্রীষ্ম কালীন মাসিক ছক,কবুতরের বর্ষা কালিন মাসিক ছক, কবুতরের জন্য শীতের মাসিক ছক,কবুতরের ঔষধের/ওষুধের নামের তালিকা, কবুতররের কোন রোগর কি ওষুধ,কবুতরের কৃমি রোগ, কবুতরের টাল রোগ বা ঘাড় বাকা রোগ, কবুতরের রোগ ও চিকিৎসা, কবুতরের রোগ ও ওষুধ, কবুতররের কোন রোগর কি ঔষধ, কবুতরের কৃমি রোগের ঔষধ, কবুতরের টাল রোগ বা ঘাড় বাকা রোগের ঔষধ, কবুতরের রোগের ঔষধ ও চিকিৎসা, কবুতরের রোগ ও ঔষধ,বাজরিগারের ঔষধের/ওষুধের নামের তালিকা, বাজরিগারের কোন রোগর কি ওষুধ, বাজরিগারের কৃমি রোগ, বাজরিগারের টাল রোগ বা ঘাড় বাকা রোগ, বাজরিগারের রোগ ও চিকিৎসা, বাজরিগারের রোগ ও ওষুধ, বাজরিগারের কোন রোগর কি ঔষধ, বাজরিগারের কৃমি রোগের ঔষধ, বাজরিগারের টাল রোগ বা ঘাড় বাকা রোগের ঔষধ, বাজরিগারের রোগের ঔষধ ও চিকিৎসা, বাজরিগারের রোগ ও ঔষধ, লাভ বার্ডের, ঔষধের/ওষুধের নামের তালিকা, লাভ বার্ডের কোন রোগর কি ওষুধ,লাভ বার্ডের কৃমি রোগ, কবুতরের টাল রোগ বা ঘাড় বাকা রোগ, লাভ বার্ডের রোগ ও চিকিৎসা, লাভ বার্ডের রোগ ও ওষুধ, লাভ বার্ডের কোন রোগর কি ঔষধ, লাভ বার্ডের কৃমি রোগের ঔষধ, লাভ বার্ডের টাল রোগ বা ঘাড় বাকা রোগের ঔষধ, লাভ বার্ডের রোগের ঔষধ ও চিকিৎসা, লাভ বার্ডের রোগ ও ঔষধ, ময়নার রোগ ও ঔষধ, টিয়ার রোগ ও ঔষধ, ককাটেলের রোগ ও ঔষধ, জাভার রোগ ও ঔষধ, ফিঞ্চের রোগ ও ঔষধ, ঘুঘুর রোগ ও ঔষধ, শালিক রোগ ও ঔষধ, কাকাতুয়ার রোগ ও ঔষধ।

    No comments

    If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.

    পৃষ্ঠা

    সর্বশেষ খবর

    COVID-19 থেকে বাঁচার উপায় !