টাক আজই ঢেকে যাক
চুল সৌন্দর্যের একটি অপরিহার্য অংশ। চুলের এই সৌন্দর্য বুঝতে পেরে কবি হয়ত এই লাইনটি লিখে গেছেন “ চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার দিশা ”। কিন্তু রাস্তার ধুলোবালি আর চুলে বিভিন্ন ক্যামিকাল প্রয়োগের ফলে চুল তার আসল সৌন্দর্য হারিয়ে বসে।
ধীরে ধীরে শুরু হয় চুল পড়া। কখনও কখনও এই চুল পড়া আবার দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দাড়ায়। তাতে কি আর চুল পড়া বন্ধ হয় দুশ্চিন্তার কারনে চুল পড়া আরও বাড়ে। ধীরে ধীরে মাথায় টাক পড়ে। হারানো চুল পুনঃরুদ্ধার করার জন্য অনেকেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন কিন্তু তাতেও বেশি একটা লাভ হয় না।
তা ছাড়া চুল ভেঙ্গে যাওয়া, চুলের আগা ফেটে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা তো আছেই। প্রাকৃতিক ভাবেই আপনি আপনার এই চুলের সমস্যা দূর করতে পারেন। ডাক্তারি ভাষ্য মতে আমাদের শরীর থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০০ টির মত চুল পড়ে এবং প্রতি মাসে ১.২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। প্রতিদিন যে হারে চুল পড়ে তার পরিমানে নতুন চুল গজায় না।
সে জন্যই তৈরি হয় টাক। তো জেনে নিন কিভাবে এই টাক সমস্যার সমাধান করবেন। তার আগে একটু জেনে নেই কি কি কারনে আমাদের চুল ঝরে পড়ে।
কি কি কারনে চুল পড়ে :
১. পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে।
২. ভিটামিন বি ৬ এর অভাব হলে
৩. মানসিক বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা ও চাপের ফলে
৪. আকস্মিক মানসিক আঘাত
৫. অপরিস্কার মাথার ত্বক যা আপনার চুলের গোড়াকে দুর্বল করে
৬. বংশগত
৭. রোগের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
২. ভিটামিন বি ৬ এর অভাব হলে
৩. মানসিক বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা ও চাপের ফলে
৪. আকস্মিক মানসিক আঘাত
৫. অপরিস্কার মাথার ত্বক যা আপনার চুলের গোড়াকে দুর্বল করে
৬. বংশগত
৭. রোগের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
আমরা যদি আমাদের চুলের জত্ন নেওয়া শুরু করি তাহলে কিছু দিনের মধ্যেই আমরা আমাদের হারানো চুল পুনরদ্ধার করতে পারি। আর এই চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য আমাদের কোন ওষূধ খেতে হবে না কোন ক্যমিকাল এর সাহায্যও নিতে হবে না। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়েই আপনি আপনার হারানো চুল ফিরে পেতে পারেন। আসুন দেখে নেই কিভাবে হারানো চুল পুনরুদ্ধার করবেন।
কিভাবে হারানো চুল পুনরদ্ধার করবেন?
মাথার ত্বক ম্যাসাজ করাঃ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধোয়ার পর আনগুল দিয়ে চুলের গোড়া ম্যাসাজ করুন এতে আপনার চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। যা আপনার চুলের গোড়ায় হরমোন এবং বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পৌছাতে সাহায্য করবে। এই ম্যাসাজ করার ফলে মাথার যেখানে টাক পড়েছে সেখানে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং যেখানে চুল আছে সেখানকার চুল স্বাস্থ্যকর এবং মজবুত হয়।
আমলকীর তেলঃ সমপরিমান আমলকীর রস এবং লেবুর রস মিক্স করে শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং চুল পড়া প্রতিরোধ করবে। আমলকী চুল ঘন ও কালো করতে সাহায্য করে লেবু প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
নিম পাতাঃ নিম পাতা চুল পড়া ও টাক সমস্যার মহাঔষধ। এটি চুলের উকুন এবং অন্যান্য ছত্রাক থেকে আপনার চুল এবং মাথার ত্বককে মুক্ত রাখে। এটি চুলের বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। নিম পাতা বেটে মাথায় লাগাতে পারেন। চুল পড়া কমে যাবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
সরিষার তেল এবং মেহেদি পাতাঃ ৬৫ গ্রাম মেহেদি পাতা এবং ২৫০ এমএল পরিমান সরিষার তেল নিন। তারপর সরিষার তেলে মেহেদি পাতাকে সেদ্ধ করুন। একটি কাপড় দিয়ে তেলটিকে ছেঁকে একটি বোতলে সংরক্ষণ করুন। নিয়মিত মাথার ত্বকে তেলটি লাগান। এটি আপনার মাথায় মতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
নারিকেল দুধঃ নারিকেলকে বেটে অথবা ব্লেন্ড করার পড়ে ছাঁকনি অথবা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নারিকেল দুধ তৈরি করে নিতে পারেন। মাথার ত্বকে নারিকেল দুধ মাখলে এটি আপনার চুলকে আরও মজবুত করবে এবং টাক পড়া স্থানে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
পেঁয়াজঃ পেঁয়াজ টাক মাথায় চুল গজানোর জন্য সবচেয়ে উপকারি। এক টুকরা পেঁয়াজ নিন। আক্রান্ত স্থানে ঘষতে থাকুন যতক্ষননা পর্যন্ত আক্রান্ত স্থানটি লাল হয়। এরপর মধু দিয়ে ম্যাসাজ করুন। দিনে তিনবার এই পদ্ধতিতে ম্যাসাজ করুন। কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন চুল গজাবে।
তো আর দেরি কেন? চুল নিয়ে হীনমন্যতায় না ভুগে উপরের যে কোন একটি পদ্ধতি অনুসরন করুন। কিছুদিনের মধ্যেই আপনার মাথা ঢেকে যাবে চুলে।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.