ডাইনোসরেরা ফিরে আসবে!
হলিউড চলচ্চিত্র আর বই পত্র পড়ে প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসরদের চেনেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
অথচ এসব প্রাণী পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত কোটি কোটি বছর আগেই।
ডাইনোসরকে নিয়ে গবেষণা হয়েছে বিস্তর। অনেকেই প্রশ্ন ছুড়েছেন, একসময় পৃথিবী দাপিয়ে বেড়ানো দৈত্যাকার এসব ডাইনোসরদের কী ফিরিয়ে আনা সম্ভব!
শুনতে হাস্যকর মনে হলেও এ সম্ভাবনাকে ‘আজগুবি’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেননা প্রাণী ও বিবর্তন নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাদের হাতে এসেছে জুরাসিক যুগের মশার জীবাশ্ম।
যার মধ্যে পাওয়া গেছে প্রাণ সৃষ্টির প্রধান উপকারক ডিএনএ।
শুধু তাই নয়, অন্য একটি স্থানে পাওয়া গেছে ডাইনোসরের জীবাশ্ম, যেখানে পাওয়া গেছে রক্তনালী ও কোলাজেন নামে বিশেষ এক ধরনের প্রোটিনের।
আর তা থেকেই ক্লোনিং প্রক্রিয়ার ডাইনোসর জন্ম দেওয়ার সম্ভবনা নিয়ে কৌতূহলী বিজ্ঞানীরা।
এ বিষয়ে ব্রিটেনের নর্দাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনতত্ত্ববিদ জামাল নাসির বলেন, ‘অসম্ভবের কিছু নয়। বিবর্তন প্রক্রিয়ার এমন কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই নেই যে যা হারিয়ে যাবে তা আর কোনোদিন ফিরবেনা। বিবর্তনের গতি কোন পথে যাবে তা আগে থেকে ঠিক করা থাকে না। তাই জীবাশ্ম থেকে ডাইনোসরদের একেবারেই ফিরিয়ে আনা যাবে না, এটা মনে করা ঠিক নয়।’
তবে ডাইনোসরদের ফিরে আসার জন্য যথাযথ পরিবেশের প্রয়োজন জানিয়ে নাসির জানান, আমাদের জিনোমে হঠাৎ একটা বড়সড় পরিবর্তন ঘটে গেলে পৃথিবীতে আবারও দেখা দিতে পারে জুরাসিক যুগ।
তবে নাসিরের এমন ব্যাখ্যাতে দ্বিমত রয়েছে অন্য বিজ্ঞানীর।
লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের ভার্টিব্রেট প্যালিয়েন্টোলজিস্ট সুসি মেডমেন্ট বলেন, ‘ডাইনোসর যুগের মশার জীবাশ্মতে জীবন্ত কলার সন্ধান মেলেনি। তাই সেখান থেকে ডাইনোসরদের ফিরিয়ে আনা অসম্ভব।’
রক্তনালী ও কোলাজেন নামে প্রাচীন ওই প্রোটিনে বয়স নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুসি।
তিনি বলেন, ‘যে প্রাচীনতম ডিএনএ-র সন্ধান মিলেছে, তার বয়স ১০ লক্ষ বছর। কিন্তু ডাইনোসররা বিলুপ্ত হয়ে গেছে ৬ কোটি ৬০ লক্ষ বছর আগে।
সে হিসেবে এই ডিএনএ দিয়ে বহু বহু কোটি বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ডাইনোসরদের ফিরিয়ে আনা একেবারেই অসম্ভব।’
তবে অনেকেই বলছেন, বিবর্তনের নিয়মেই ডাইনোসররা হারিয়ে গিয়েছে। বিবর্তন চলমান। তাই আবার কোন বিবর্তন প্রক্রিয়ার মধ্যে ডাইনোসর ফিরে আসতে পারে এ কথা অস্বীকার করা যাবেনা।
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.