প্রেসক্রিপশনে ‘সুরা আর-রহমান’, সুস্থ হয়ে ফিরলেন মৃত্যুপথযাত্রী রোগী!
সৃষ্টিকুলের কাছে মহান আল্লাহ তায়াল্লা পবিত্র কোরআন মাজিদকে শ্রেষ্ঠ নিয়ামত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। কোরআনের প্রতিটি আয়াত সৃষ্টিকুলের জন্য আশীর্বাদ। আল-কোরআনের বাণি রিসার্স করে আজ বিজ্ঞান অনেক দুরে এগিয়েছে। বিশেষ করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে সফলতা চোখে পড়ার মতো। পবিত্র কোরআনের প্রতিটি শব্দই আল্লাহ তায়ালার কথা। আর সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার কথা মানেই তো সকল মুশকিল আসান।
তেমনি একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের লাহোরের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা এক মুমূর্ষ রোগীর জীবনে। তীব্র বিষাক্ত পিল খেয়ে ফেলেছিলেন ২২ বছর বয়সী হাফিজ আব্বাস। তাকে নেয়া হয়েছিল লাহোরের সার্ভিসেস হাসপাতালের আইসিইউতে। তার অবস্থা দেখে ডাক্তার অপর ডাক্তারের কাছে মন্তব্য করলেন, ‘তেমন আশা নেই, বাঁচার সম্ভাবনা ১০ শতাংশেরও কম।’
এমন অবস্থায় একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন উপায় নেই। তাই আইসিইউতে হাফিজের চিকিৎসাপত্রে ডাক্তার লিখলেন ‘সুরা আর-রহমান ১-১-১’, অর্থাৎ প্রতিদিন তিনবার সুরাটি তেলাওয়াত করতে হবে রোগীকে। এরপরই ঐ হাসপাতালের আইসিইউতে রোগীর বিছানার পাশে অনবরত কুরআন তেলাওয়াত বাজানো হতে থাকে। ক্রমশ সুস্থ হতে থাকে হাফিজ। ফিরে পায় নতুন জীবন। কুরআনের আয়াতই অলৌকিকভাবে রক্ষা করেছে হাফিজ নামের সেই রোগীকে।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডন ডাক্তারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এরপর মাত্র তিন দিনের মাথায়ই সুস্থ হয়ে হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন হাফিজ। অথচ আইসিইউতে ১৫০ বার হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো তার!
কিভাবে বাঁচলেন হাফিজ? জানাচ্ছেন তার ডাক্তার মোহাম্মদ জাবেদ। তার ভাষায়, ‘৬ ঘণ্টার চেষ্টায় তার হার্ট সচল রাখতে ১৫০ বার ইলেকট্রিক শক দিতে হয়। বারবার তার কিডনি ও পাকস্থলি পরিষ্কার করা হয়। এবং অবশেষে তার চেতনা ফিরে আসে।’
তিনি বলেন, ‘আমি জীবনেও শুনিনি ১৫০ বার হৃদযন্ত্র বন্ধ হওয়া কোন রুগী বেঁচে ফিরেছে।’
ডাক্তার জাবেদ নিশ্চিত, আইসিইউতে হাফিজের বিছানার পাশে অনবরত কুরআন তেলাওয়াত বাজানোর কারণেই জীবন রক্ষা হয়েছে তার। কুরআনের আয়াতই অলৌকিকভাবে রক্ষা করেছে হাফিজকে।
ডা. জাবেদ বলেন, ‘হাফিজের চিকিৎসা চলাকালে আমি অনবরত সুরা আর-রহমান বাজাতে থাকি। কোন ওষুধ বা চিকিৎসা নয়, মহিমাময় এই সুরাটির কারণেই রক্ষা পেয়েছে সে।’
No comments
If you have any doubt, please let me know that with your valuable comments.